শেখ মুজিবুর রহমান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

[অপরীক্ষিত সংশোধন][পরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Abtahi Lama (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
Abtahi Lama (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
৪২৮ নং লাইন:
রাজনৈতিক গুরু সোহ্‌রাওয়ার্দীর মতোই শেখ মুজিব ছিলেন পশ্চিমা মডেলের সংসদীয় গণতন্ত্রের নিঃশর্ত সমর্থক। পাকিস্তান আমলের পুরোটা সময় জুড়ে এর জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করেন এবং স্বাধীন বাংলাদেশে ক্ষমতা গ্রহণ করে প্রথম দিকে [[সংসদীয় গণতন্ত্র]] প্রতিষ্ঠা করেন।<ref name="মানবাধিকার">{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=বঙ্গবন্ধুর মানবাধিকার-দর্শন|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|বছর=২০১৩|সম্পাদক-শেষাংশ=হোসেন|সম্পাদক-প্রথমাংশ=আবু মোঃ দেলোয়ার|সম্পাদক-শেষাংশ২=উল্লাহ|সম্পাদক-প্রথমাংশ২=মোঃ রহমত|প্রকাশক=জাতীয় মানবাধিকার কমিশন|অবস্থান=ঢাকা|পাতাসমূহ=১–১৯}}</ref> পাকিস্তান সৃষ্টির পর তিনি ক্রমাগত সমাজতন্ত্রের প্রতি আকৃষ্ট হতে থাকেন৷ বিশেষ করে পঞ্চাশের দশকে দুইবার ''গণচীন'' ও একবার ''সোভিয়েত ইউনিয়ন'' সফরে জনগণের জীবনমান ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে তাদের সাফল্য প্রদর্শন করে সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির প্রতি শেখ মুজিবের আগ্রহ বাড়তে থাকে।<ref name="মানবাধিকার"/> তিনি আওয়ামী লীগকে ব্রিটিশ লেবার পার্টির মতো সামাজিক গণতন্ত্রী দল হিসেবে গড়ে তুলতে চাইতেন। তিনি অর্থনৈতিক মুক্তির উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের সংবিধানের একটি মূলনীতি হিসেবে সমাজতন্ত্রকে অন্তর্ভুক্ত করেন।<ref name="মুনতাসীর"/> তবে তিনি স্বাধীন বাংলাদেশে বিরোধীদের দমন-নিপীড়ন ও ''বাকশাল'' প্রবর্তন করে একদলীয় শাসন কায়ম করেন; সারাজীবন গণতন্ত্রের জন্য জেল-জুলুম সহ্য করে শেষে নিজেই তা থেকে সরে যাওয়ায় অনেকে একে আদর্শচ্যুতি হিসেবে অভিহিত করেন।<ref name="JSTOR3" />
 
১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি টাঙ্গাইলে এক জনসভায় শেখ মুজিব বলেন:
তিনি নিজের এক বক্তৃতায় বলেন:
{{quote|text=“কোনো ‘ভুঁড়িওয়ালা’ এ দেশে সম্পদ লুটতে পারবে না। গরিব হবে এই রাষ্ট্র ও সম্পদের মালিক, শোষকরা হবে না। এই রাষ্ট্রে হিন্দু-মুসলমান ভেদাভেদ থাকবে না। এই রাষ্ট্রের মানুষ হবে বাঙালি। তাদের মূলমন্ত্র ‘সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই’।” <ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|শিরোনাম=বঙ্গবন্ধুর উন্নয়ন দর্শন ও জাতীয় পুনর্গঠন|ইউআরএল=https://uttarannews.net/site2/?article=%e0%a6%ac%e0%a6%99%e0%a7%8d%e0%a6%97%e0%a6%ac%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a7%e0%a7%81%e0%a6%b0-%e0%a6%89%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a8%e0%a7%9f%e0%a6%a8-%e0%a6%a6%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%b6%e0%a6%a8|প্রকাশক= উত্তরণ (সপ্তম বর্ষ, নবম সংখ্যা)|তারিখ=আগস্ট ২০১৭|সংগ্রহের-তারিখ= ১ অক্টোবর ২০২০ }}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|শিরোনাম=আগস্ট হোক মুজিবাদর্শে দীক্ষিত হওয়ার মাস : শেখ ফয়সল আমীন|ইউআরএল=http://www.bhorerkagoj.com/print-edition/2016/08/15/102493.php|প্রকাশক=দৈনিক ভোরের কাগজ |তারিখ=১৫ আগস্ট ২০১৬|সংগ্রহের-তারিখ=১ অক্টোবর ২০২০}}</ref>}}
 
মুসলিম লীগের মাধ্যমে রাজনীতির হাতেখড়ি হলেও শেখ মুজিব পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা পরবর্তী জীবনে ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত রাজনীতি করেন৷ তিনি পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর সাম্প্রদায়িক বৈষম্যমূলক নীতির প্রকাশ্য সমালোচনা করতেন। তার দল আওয়ামী লীগ পূর্ব বাংলার সকল ধর্মের বাঙালির সংগঠন হিসেবে আবির্ভূত হয়। এই দল ও পরবর্তীকালে মুজিবের নেতৃত্বে বাংলাদেশ রাষ্ট্র ধর্মনিরপেক্ষতাকে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করে।<ref name="রওনক" /> ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি রাষ্ট্রীয় দায়বদ্ধতা থাকা স্বত্ত্বেও মুজিব ব্যক্তিগত ও রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ইসলামি অনুশাসনের পথে অগ্রসর হন।<ref name="SAAGI" /> জনসাধারণের সামনে উপস্থিতি ও ভাষণের সময় শেখ মুজিব ইসলামিক সম্ভাষণ ও শ্লোগান ব্যবহার বাড়িয়ে দেন এবং ইসলামিক আদর্শের উল্লেখ করতে থাকেন। শেষ বছরগুলোতে মুজিব তার স্বভাবসুলভ “জয় বাংলা” অভিবাদনের বদলে ধার্মিক মুসলিমদের পছন্দনীয় “খোদা হাফেজ” বলতেন।<ref name="SAAGI">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.saag.org/papers3/paper232.html |শিরোনাম=মুজিব অ্যান্ড ইসলাম |শেষাংশ=রমন |প্রথমাংশ=বি |তারিখ=২৯ আগস্ট ২০০৬ |ভাষা=ইংরেজি |বিন্যাস=পিএইচপি |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20070611031127/http://www.saag.org/papers3/paper232.html |আর্কাইভের-তারিখ=১১ জুন ২০০৭ |সংগ্রহের-তারিখ=২৯ আগস্ট ২০০৬ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}</ref> শেখ মুজিবুর রহমান মনে করতেন মানুষ ভুল থেকেই শেখে। তার মতাদর্শ নিজের ভুল স্বীকার ও সংশোধনের পক্ষে ছিল।<ref group="টীকা">“আজকে এই যে নতুন এবং পুরান যে সমস্ত সিস্টেমে আমাদের দেশ চলছে, আমাদের আত্মসমালোচনা প্রয়োজন আছে। আত্মসমালোচনা না করলে আত্মশুদ্ধি করা যায় না। আমরা ভুল করেছিলাম, আমাদের বলতে হয় যে, ভুল করেছি। আমি যদি ভুল করে না শিখি, ভুল করে শিখব না, সে জন্য আমি সবই ভুল করলে আর সকলেই খারাপ কাজ করবে, তা হতে পারে না। আমি ভুল নিশ্চয়ই করব, আমি ফেরেশতা নই, শয়তানও নই, আমি মানুষ, আমি ভুল করবই। আমি ভুল করলে আমার মনে থাকতে হবে, আই ক্যান রেকটিফাই মাইসেলফ। আমি যদি রেকটিফাই করতে পারি, সেখানেই আমার বাহাদুরি। আর যদি গোঁ ধরে বসে থাকি যে, না আমি যেটা করেছি, সেটাই ভালো। দ্যাট ক্যান নট বি হিউম্যান বিইং।”</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/bangladesh/বঙ্গবন্ধুর-অমর-বাণী |শিরোনাম=বঙ্গবন্ধুর অমর বাণী |তারিখ=১৮ আগস্ট ২০১৮ |কর্ম=প্রথম আলো |সংগ্রহের-তারিখ=১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০}}</ref>