কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
G C Dey (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
ভুল তথ্য মুছে ফেলা হলো। সংশোধন, পরিষ্কারকরণ
ট্যাগ: ২০১৭ উৎস সম্পাদনা
১২ নং লাইন:
|nationality = [[বাঙালি হিন্দু]]
}}
'''কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ''' (জন্ম: আনুমানিক ১৬০০-১৬১০ খ্রি:)  ছিলেন সপ্তদশ শতকের এক উচ্চস্তরের তন্ত্রসাধক, যিনি [[নদিয়া জেলা|নদিয়া জেলার]] [[নবদ্বীপ]] শহরে জন্মগ্রহণ করেন। বাসুদেব সার্বভৌমের টোলে একসাথে পড়াশোনা করতেন শ্রী চৈতন্য ও কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ। তন্ত্রশাস্ত্রে সুপন্ডিত এই তন্ত্রসাধক ১৭০ টি গ্রন্থ থেকে নির্যাস গ্রহণ করে বিখ্যাত '''''"[[তন্ত্রসার]]"''''' গ্রন্থটি রচনা করেন এবং সমগ্র দেশে এই গ্রন্থটি সমাদৃত হয়। কৃষ্ণানন্দ ছিলেন উদারচেতা, ধর্মবিষয়ে তাঁর কোনো গোড়ামি ছিল না। তাই তন্ত্রসার গ্রন্থে শৈব, গণপত্য, শাক্ত, বৈষ্ণব ও সৌর সম্প্রদায়ের তন্ত্রগ্রন্থগুলির সার গ্রহণ করে সন্নিবেশন হয়েছে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=নবদ্বীপের ইতিবৃত্ত|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|প্রকাশক=মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডল|বছর=জানুয়ারী ২০১৩|আইএসবিএন=|অবস্থান=নবদ্বীপ, নদিয়া|পাতাসমূহ=৪১০}}</ref> তিনি তন্ত্র বিষয়ে ''তত্ত্ববোধিনী'' নামে আরও একটি গ্রন্থ লেখেন।
 
তাঁর প্রকৃত নাম কৃষ্ণানন্দ ভট্টাচার্য। তন্ত্র সাধনার আগম পদ্ধতিতে সিদ্ধি লাভ করে তিনি ''''আগমবাগীশ'''' উপাধি পান। তিনি বাংলায় কালী সাধক কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ নামে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। তিনি ছিলেন শ্রীশ্রী রামপ্রসাদ সেনের তন্ত্রগুরু। নবীন লেখক অভীক সরকারের ''এবং ইনকুইজিশন'' গ্রন্থের ছোটগল্প অনুসারে ''[[পূর্ব পশ্চিম দক্ষিণ]]'' একটি [[বাংলা ভাষা|বাংলা]] আসন্ন আধিভৌতিক [[রহস্যকাহিনি|রহস্যকাহিনী]] মূলক চলচ্চিত্র জিও স্টুডিওর ব্যানারে প্রকাশিত হয়েছে অক্টোবর, ২০১৯ সালে। এই চলচ্চিত্রে কৃষ্ণানন্দর ভূমিকায় অভিনয় করছেন [[পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়]]।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.sangbadpratidin.in/entertainment/bengali-web-series-release/|শিরোনাম=Bengali web-series release|তারিখ=2018-11-16|ওয়েবসাইট=Sangbad Pratidin Home|ভাষা=en-US|সংগ্রহের-তারিখ=2019-09-12}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://anandalok.in/index.php/bengali-paranormal-movie-purba-paschim-dakkhin-uttor-ashbei-shooting-begins-soon/|শিরোনাম=নতুন বিষয়, দর্শক তৈরি তো?|ওয়েবসাইট=Anandalok Bengali Magazine|ভাষা=en-US|সংগ্রহের-তারিখ=2019-09-12}}</ref>
৩৫ নং লাইন:
 
কৃষ্ণানন্দ মা কালীর রূপ কিভাবে পেলেন, এই নিয়ে বাংলার ঘরে ঘরে এক প্রচলিত শ্রুতি পাওয়া যায়। ক’দিন ধরেই পুজোয় বসে কালীসাধক কৃষ্ণানন্দ বায়না করেন, {{cquote|এ বার সাকার রূপে দেখা দাও মা, মূর্তি গড়ে তোমার অর্চনা করি!}} সন্তানের আকুতি মা ফেলতে পারলেন না। বিধান দিলেন, মহানিশার অবসানে প্রাতঃমুহূর্তে কৃষ্ণানন্দ প্রথম যে নারীমূর্তি দর্শন করবেন, সেই মূর্তিই হবে ইচ্ছাময়ীর যথার্থ সাকার মূর্তি। পরের দিন ভোরে গঙ্গাস্নানে বেরিয়ে কৃষ্ণানন্দ দেখলেন, এক দরিদ্র বধূ গাছের গুঁড়ির উপর নিবিষ্ট মনে ঘুঁটে দিচ্ছেন। বাঁ হাতে গোবরের মস্ত তাল, ডান হাত উঁচুতে তুলে ঘুঁটে দিচ্ছে। নিম্নবর্গীয় কন্যা, গাত্রবর্ণ কালো, বসন আলুথালু, পিঠে আলুলায়িত কুন্তল, কনুই দিয়ে কপালের ঘাম মুছতে গিয়ে সিঁদুর লেপ্টে গেছে। এ হেন অবস্থায় পরপুরুষ কৃষ্ণানন্দকে দেখে লজ্জায় জিভ কাটলেন সেই বধু।— এই ছবিটিই মানসপটে এঁকে গঙ্গামাটি নিয়ে মূর্তি গড়তে বসলেন কৃষ্ণানন্দ। কৃষ্ণানন্দের এই মূর্তিই পরবর্তীতে দুই বাংলায় জনপ্রিয় হয়ে উঠল।
আরেকবারএছাড়াও কথিত আছে, কৃষ্ণানন্দ কোনো এক ধনী নবশাকের বাড়ি দুর্গাপূজা করতে গেছিলেনগিয়েছিলেন; সেখানে দুর্গাপূজার শেষে ওই বাড়ির কর্তা নিজের অহংবোধের বশবর্তী হয়ে কৃষ্ণানন্দকে বলেন যে তিনি প্রতিমার প্রাণপ্রতিষ্ঠা করেননি। কৃষ্ণানন্দ ক্রুদ্ধ হয়ে বলেন যে তিনি যদি প্রাণপ্রতিষ্ঠা না করে থাকেন এক্ষুনি তার প্রমাণ দেবেন; কিন্তু প্রমাণ হওয়ার পরে ওই গৃহের কেউ আর জীবিত থাকবেনা। কর্তা সম্মতি জানালে কৃষ্ণানন্দ একটি কুশি ছুঁড়ে দেন দেবী প্রতিমার ঊরুতে। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিমার ঊরু ফেটে রক্তপাত হয়; এবং ওই গৃহের প্রত্যেকেও মুখে রক্ত উঠে মারাতৎক্ষণাৎ যানমারা তৎক্ষণাৎ।যান।
 
==কৃষ্ণানন্দের সময়কাল বিতর্ক==
৫১ নং লাইন:
কৃষ্ণানন্দ জীব যদুরাম-কবিচন্দ্র।।}}
অর্থাৎ, চৈতন্যভাগবতে উল্লিখিত কৃষ্ণানন্দ ছিলেন জন্মলগ্ন থেকেই কৃষ্ণভক্ত, শাক্ত নন। তার তিন ভাই ছিলেন- কৃষ্ণানন্দ, জীব ও যদুরাম।
বর্তমান ইতিহাসবিদরা এই বিষয়টি বিশ্লেষন করে উক্ত ভ্র্মটিভ্রমটি দূর করেন।<ref>সংবাদ খোঁজখবর, ১৬-৩১ অক্টবর, ২০১৭, পৃষ্ঠা: ৪</ref> কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ সম্পর্কে এশিয়াটিক সোসাইটির পত্রিকায় ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে তথ্যনিষ্ঠ আলোচনা করেছেন ড: দীনেশচন্দ্র সরকার। ড: দীনেশচন্দ্র সরকার লিখেছেন-
<blockquote>
In any case, however, there is no doubt, that Tantrasara was composed by the great Krishnananda Agambagisa Bhattacharya some time in the seventeenth century. It may not be improbable that Krishnananda flourished in circa 1595-1675 A.D. and composed the Tantrasara in the earlier part of his life.
</blockquote>
১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দে নবদ্বীপ পুরাতত্ব পরিষদ পত্রিকায় যজ্ঞেশ্বর চৌধুরীও তথ্য়প্রমাণতথ্যপ্রমাণ সহকারে প্রমাণ করেছেন যে, ১৬০০-১৬১০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে কৃষ্ণানন্দ জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৬৩৫-১৬৪০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে তন্ত্রসার রচনা করেন।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=নবদ্বীপের ইতিবৃত্ত|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|প্রকাশক=মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডল|বছর=২০১৩|আইএসবিএন=|অবস্থান=নবদ্বীপ, নদিয়া|পাতাসমূহ=৪১১}}</ref>
 
==আরও দেখুন==