চাঁদ সদাগর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
২৮ নং লাইন:
মনসা সহিত বাদ করে নিরন্তর৷৷"<ref>{{cite book|last1=Chowdhuri|first1=Jagyeswar|title=Bardhaman Itihas O Sanskriti Vol.3|date=1994|publisher=Pustak Bipani|location=Calcutta|page=239|edition=1994}}</ref>
 
অনেকে মনে করেন অধুনা [[পশ্চিমবঙ্গ|পশ্চিমবঙ্গের]] [[পূর্ব বর্ধমান জেলা]]তে অবস্থিত চম্পাইনগরী বা কসবা-চম্পাইনগরীই হল চাঁদ সদাগরের চম্পকনগরী৷<ref>{{cite namebook|last1="archiveChowdhuri|first1=Jagyeswar|title=Bardhaman Itihas O Sanskriti Vol.org"3|date=1994|publisher=Pustak Bipani|location=Calcutta|page=239|edition=1994}}</ref> তাঁদের মতে চাঁদ সদাগর ও মনসাদেবীর দ্বন্দ্বের কাহিনীটি গড়ে উঠেছিল একালের কসবা-চম্পাইনগরী গ্রামকে ঘিরেই৷ "আইন-ই-আকবরী"তে সরকার মাদারণ-এর অন্তর্গত চম্পাইনগরী পরগণারও উল্লেখ পাওয়া যায় যা বর্তমানের [[পূর্ব বর্ধমান জেলা]]তে অবস্থিত৷ [[বর্ধমান]] শহরের ষোল ক্রোশ পশ্চিমে ও বুদবুদের দক্ষিণে [[দামোদর নদ|দামোদর নদের]] উত্তর তীরে কসবা-চম্পাইনগরী অবস্থিত ৷
মনসামঙ্গলের কাহিনি থেকে আমরা জানি, চাঁদ সদাগর ছিলেন পরম শৈব এবং তিনি তাঁর বসতভিটায় শিবমন্দির তৈরি করে শিবের আরাধনা করতেন। কিম্বদন্তী অনুসারে বর্ধমানের এই গ্রামে দুটি প্রাচীন শিবমন্দিরে প্রতিষ্ঠিত দুটি শিবলিঙ্গ (যার মধ্যে একটি হল রামেশ্বর শিবলিঙ্গ) স্বয়ং চাঁদ সদাগরের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত৷<ref>{{cite namebook|last1="archiveChowdhuri|first1=Jagyeswar|title=Bardhaman Itihas O Sanskriti Vol.org"3|date=1994|publisher=Pustak Bipani|location=Calcutta|page=239|edition=1994}}</ref> ডিভিসি ক্যানেলের দক্ষিণদিকে একটি উঁচু ঢিবিতে রয়েছে একটি সুন্দর শিবমন্দির। এক বিশাল অশ্বত্থ গাছের পাশে অবস্থিত শিবমন্দিরটিতে রয়েছে গৌরীপট্টহীন এক বিশাল শিবলিঙ্গ, যেটি রামেশ্বর নামে পরিচিত৷
এছাড়াও গ্রামের মধ্যে দুটি তৃণগুল্মাচ্ছিত উঁচু ঢিবি আছে যার একটিকে [[বেহুলা]]র বাসরঘর (সতীতীর্থ) ও চাঁদ সদাগরের বাসগৃহের ধ্বংসাবশেষ বলে মনে করা হয় এবং অপরটি স্থানীয় লোকেরা সাঁতালী পর্বত বলে মনে করে৷<ref>{{cite namebook|last1="archiveChowdhuri|first1=Jagyeswar|title=Bardhaman Itihas O Sanskriti Vol.org"3|date=1994|publisher=Pustak Bipani|location=Calcutta|page=239|edition=1994}}</ref>
[[চিত্র:BD Mahasthangarh8.JPG|thumb|right|180px|[[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] [[বগুড়া|বগুড়ার]] নিকটবর্তী এই ধ্বংসাবশেষটিকে বেহুলা-লখিন্দরের লৌহবাসর বলে দাবি করা হয়।]]
অনেকে মনে করেন, চম্পক নগর [[বঙ্গদেশ|বঙ্গদেশে]] অবস্থিত ছিল।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি| ইউআরএল = http://bihula.rediffblogs.com/2005_31_07_bihula_archive.html| শিরোনাম = Bihula, the legendary lady of Anga/ Ang Desh| সংগ্রহের-তারিখ = 2007-12-12| শেষাংশ = | প্রথমাংশ = | কর্ম = | প্রকাশক = rediff.com, 1 August 2005| আর্কাইভের-ইউআরএল = https://web.archive.org/web/20070621054155/http://bihula.rediffblogs.com/2005_31_07_bihula_archive.html| আর্কাইভের-তারিখ = ২০০৭-০৬-২১| অকার্যকর-ইউআরএল = হ্যাঁ}}</ref> [[মহাস্থানগড়|মহাস্থানগড়ের]] ৩ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং [[বগুড়া]] শহরের ৯ কিলোমিটার উত্তরে বগুড়া-রংপুর সড়ক থেকে ১ কিলোমিটার দূরে গোকুল মেধ নামে একটি জায়গা রয়েছে। এই জায়গাটির স্থানীয়ভাবে বেহুলার বাসরঘর বা লখিন্দরের মেধ নামে পরিচিত। ১৯৩৪-৩৬ সালে এখানে খননকার্যের সময় একটি সারিবদ্ধ অঙ্গনে ১৭২টি আয়তাকার বদ্ধঘরের সন্ধান মিলেছে। এটি খ্রিষ্টীয় ষষ্ঠ অথবা সপ্তম শতাব্দীতে নির্মিত হয়। স্থানীয় লোকবিশ্বাস অনুযায়ী, এই স্থানটি বেহুলা ও লখিন্দরের সঙ্গে যুক্ত। মহাস্থানগড়ের চেঙ্গিসপুর গ্রামে ধ্বংসস্তুপের উত্তর-পশ্চিম কোণ থেকে ৭০০ মিটার পশ্চিমে একটি মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। এটিকে [[খুল্লনার ধাপ|খুল্লনার ঢিবি]] বলা হয়। এই অঞ্চলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত [[করতোয়া নদী|করতোয়া]] নদী এখন শীর্ণকায়া হলেও অতীতে এই নদী বিশালাকার ছিল বলে জানা যায়।<ref>Hossain, Md. Mosharraf, ''Mahasthan: Anecdote to History'', 2006, pp. 56-65, Dibyaprakash, 38/2 ka Bangla Bazar, Dhaka, ISBN 984 483</ref>