সু ফেলজ, সাউথ ডাকোটা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন:
সু ফেলজ (লাকুটা:ইনিয়ান ওকাবলেকা ওতুনওয়াহে<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20161018034145/http://www.lakotadictionary.org/nldo.php|শিরোনাম=NLD Online v.3.0|তারিখ=2016-10-18|ওয়েবসাইট=web.archive.org|সংগ্রহের-তারিখ=2020-09-27}}</ref>,বা পাথর চূর্ণকারী নগরী) জনসংখ্যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের [[সাউথ ডাকোটা]] অঙ্গরাজ্যের বৃহত্তম শহর। জনসংখ্যায় এটি সমগ্র যুক্তরাষ্ট্রের ১৪০-তম বৃহত্তম শহর। শহরটি মিনেহাহা কাউন্টির সদর দপ্তর। এছাড়াও [[আইওয়া]] অঙ্গরাজ্যের সীমান্তবর্তী লিংকন কাউন্টিতে শহরটির সম্প্রসারণ ঘটেছে।
২০১৯ সালের হিসাব অনুযায়ী, সু ফেলজের জনসংখ্যা ১,৮৩,৭৯৩।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.argusleader.com/story/news/city/2019/02/04/city-hall-4-000-more-moved-sioux-falls-2018/2773237002/|শিরোনাম=City Hall: 4,000 more moved to Sioux Falls in 2018|শেষাংশ=Sneve|প্রথমাংশ=Joe|ওয়েবসাইট=Argus Leader|ভাষা=en-US|সংগ্রহের-তারিখ=2020-09-27}}</ref> ১৮৫৬ সালে বিগ সু নদীর তীরে শহরটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ২৯ ও ৯০ নং আন্তঃরাজ্য সড়কের সংযোগস্থলে পার্বত্য এলাকায় শহরটি গড়ে ওঠেছে।
বেস্ট লাইফ ম্যাগাজিনের তথ্যানুসারে, সু ফেলজ যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে স্বাস্থ্যসম্মত শহর। অনেক সংস্থা ও বিশ্লেষকের মতে, স্বাস্থ্য পরিস্থিতি বিবেচনায় সু ফেলজ যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শহর।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://bestlifeonline.com/healthiest-cities/|শিরোনাম=The 50 Healthiest Cities in America|শেষাংশ=August 15|প্রথমাংশ=Alex Daniel|শেষাংশ২=2017|তারিখ=2017-08-15|ওয়েবসাইট=Best Life|ভাষা=en|সংগ্রহের-তারিখ=2020-09-27}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.argusleader.com/story/news/business-journal/2015/09/02/sioux-falls-ranked-among-healthiest-cities/71511730/|শিরোনাম=Sioux Falls ranked among healthiest cities|শেষাংশ=Journal|প্রথমাংশ=Sioux Falls Business|ওয়েবসাইট=Argus Leader|ভাষা=en-US|সংগ্রহের-তারিখ=2020-09-27}}</ref>
==ইতিহাস==
বিগ সু নদী থেকে সৃষ্ট জলপ্রপাতগুলোর সাথে সু ফেলজের ইতিহাস ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ১৪০০০ বছর পূর্বে সর্বশেষ বরফ যুগে জলপ্রপাতগুলো সৃষ্টি হয়। ইউরোপীয়দের আগমনের পূর্বে হো-চাঙ্ক, আইউয়ে, উটোয়ে,মিজুরি, ওমাহা, কোয়াপাউ, কানসা, ওসেজ, আরিকিরা, ডাকোটা ও চেয়েন জাতির লোক এখানে বসবাস করত। বিগ সু নদীর তীরে উঁচু খাঁড়িতে এখনো আদিবাসীদের টিলাকৃতির কবরস্থান পরিলক্ষিত হয়। তারা এখানে কৃষিভিত্তিক সমাজ গড়ে তুলে। লাকুটা ও ডাকোটা জাতির অনেক লোক আজও সু ফেলজ শহরে বসবাস করছে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20080304030725/http://www.americanindianservicesinc.org/|শিরোনাম=American Indian Services Inc - WELCOME -|তারিখ=2008-03-04|ওয়েবসাইট=web.archive.org|সংগ্রহের-তারিখ=2020-09-27}}</ref>
অষ্টাদশ শতাব্দীতে ফ্রেঞ্চ অভিযাত্রীরা সু ফেলজ পরিদর্শন করেন। ফিল্যান্ডার প্রেসকট প্রথম ইউরোপীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান হিসেবে সু ফেলজ ভ্রমণ করেন। ১৮৩২ সালের ডিসেম্বরে তিনি জলপ্রপাতের নিকটে ক্যাম্প স্থাপন করেন। ১৮৪৪ সালে ক্যাপ্টেন জেমস অ্যালেন এখানে সামরিক অভিযান পরিচালনা করেন। জ্যাকব ফেরিস ১৮৬৫ সালে '''পশ্চিমের রাজ্য ও ভূখণ্ড''' বইয়ে জলপ্রপাতগুলোর বর্ণনা দিয়েছেন।
[[সেন্ট পল, মিনেসোটা|সেন্ট পলের]] ডাকোটা ভূমি কোম্পানি ও আইওয়া অঙ্গরাজ্যের দুবুকে শহরের ওয়েস্টার্ন টাউন কোম্পানি ১৮৫৬ সালে জলপ্রপাতের আশপাশে ভূমি নিজেদের মালিকানার আওতাভুক্ত শুরু করে। উভয় প্রতিষ্ঠান ৩২০ একর ভূমি দাবি করে এবং পরস্পরকে সুরক্ষাদানে সম্মত হয়। আদিবাসীরা ভূমির অধিকার ছাড়তে অসম্মত হলে তারা ''ফোর্ট সড'' নামক তৃণ-নির্মিত সুরক্ষাপ্রাচীর গঠন করে। সতেরোজন ১৮৫৬ সালের শীতকালে সু ফেলজে বসতি স্থাপন করে। পরবর্তী বছরে সু ফেলজের জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৪০।
১৫ নং লাইন:
মিনেহাহা কাউন্টিতে বসবাসরত আদিবাসী আমেরিকান ও শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে শুরুতে বিরোধ না থাকলেও ১৮৬২ সালের ডাকোটা যুদ্ধের ফলে সংঘাত তীব্র হয়ে ওঠে। ঐ বছর আগস্টে দুইজন বসতি স্থাপনকারী মৃত্যুবরণ করলে শহর ছেড়ে ইউরোপীয়রা পালিয়ে যান। তখন এখানে ব্যাপক লুটতরাজ ও অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয়েছিল।
১৮৬৫ সালের মে মাসে সু ফেলজ শহরে ডাকোটা দুর্গ প্রতিষ্ঠিত হয়।
রেলসড়ক নির্মাণ এর জনসংখ্যা বৃদ্ধির ধারাকে আরো বেগবান করে। ১৮৮০ সালে সু ফেলজের জনসংখ্যা ছিল ২,১৬৭। ১৮৮০-র দশকের শেষভাগে জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১০,১৬৭। কিন্তু [[ঘাসফড়িং]]-সৃষ্ট [[প্লেগ]] মহামারি ও মহামন্দার ফলে এর জনসংখ্যা বৃদ্ধির গতি শ্লথ হয়ে পড়ে। পরবর্তী দশ বছরে জনসংখ্যা মাত্র ৮৯ বৃদ্ধি পায়।
২৩ নং লাইন:
১৯৫৫ সালে দক্ষিণ সু ফেল ও সু ফেল শহর একীভূত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ১৯৫০ এর আদমশুমারি অনুযায়ী,দক্ষিণ সু ফেল শহরের জনসংখ্যা ছিল ১,৬০০। ১৯৫৫ সালের ১৮ অক্টোবর ৭০৪-২২৭ ভোটে দক্ষিণ সু ফেলের বাসিন্দারা একীভূতকরণের পক্ষে রায় দেয়। ১৫ নভেম্বর ২৭১৪-৪৫০ ভোটে সু ফেলের বাসিন্দারা একীভূতকরণ প্রক্রিয়া অনুমোদন করে।
ঋণ নীতিমালা শিথিল করায় ১৯৮১ সালে সিটিব্যাংক নিউ ইয়র্ক থেকে সু ফেলজ শহরে ক্রেডিট কার্ড কেন্দ্র স্থানান্তরিত করে। অনেকেই বলেন, সিটিব্যাংকের কার্যালয় স্থানান্তরের ফলে এখানে অভাবনীয় উন্নতি সাধিত হয়েছে।
১৯৮০ সালে সু ফেলজে ৮১,০০০ বাসিন্দা ছিলেন। ২০১৮ সালে এর জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১,৮৩,২০০।
২০১৯ সালে তিনটি ই-এফ মাত্রার [[ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়]] সু ফেলজকে আঘাত করে। এতে ৩৭টি ভবন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ও সাতজন আহত হন। এর ফলে কমপক্ষে ৫০ লক্ষ ডলারের আর্থিক ক্ষতি সাধিত হয়।
==ভূগোল==
আদমশুমারি ব্যুরোর তথ্যানুযায়ী, সু ফেলজ শহরের আয়তন ৭৩.৪৭ বর্গমাইল। এর ৭২.৯৬ বর্গমাইল স্থল ও ০.৫১ বর্গমাইল জল।
সু ফেলজ শহরে ৭০টির বেশি পার্ক ও উদ্যান রয়েছে। ফেলজ পার্ক এর সবচেয়ে বিখ্যাত বিনোদনকেন্দ্র।
|