সু ফেলজ, সাউথ ডাকোটা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
লেখা যোগ
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
→‎ইতিহাস: লেখা যোগ
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
১১ নং লাইন:
বিগ সু নদী থেকে সৃষ্ট জলপ্রপাতগুলোর সাথে সু ফেলজের ইতিহাস ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ১৪০০০ বছর পূর্বে সর্বশেষ বরফ যুগে জলপ্রপাতগুলো সৃষ্টি হয়। ইউরোপীয়দের আগমনের পূর্বে হো-চাঙ্ক, আইউয়ে, উটোয়ে,মিজুরি, ওমাহা, কোয়াপাউ, কানসা, ওসেজ, আরিকিরা, ডাকোটা ও চেয়েন জাতির লোক এখানে বসবাস করত। বিগ সু নদীর তীরে উঁচু খাঁড়িতে এখনো আদিবাসীদের টিলাকৃতির কবরস্থান পরিলক্ষিত হয়। তারা এখানে কৃষিভিত্তিক সমাজ গড়ে তুলে। লাকুটা ও ডাকোটা জাতির অনেক লোক আজও সু ফেলজ শহরে বসবাস করছে।<ref>https://web.archive.org/web/20080304030725/http://www.americanindianservicesinc.org/</ref>
 
অষ্টাদশ শতাব্দীতে ফ্রেঞ্চ অভিযাত্রীরা সু ফেলজ পরিদর্শন করেন। ফিল্যান্ডার প্রেসকট প্রথম ইউরোপীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান হিসেবে সু ফেলজ ভ্রমণ করেন। ১৮৩২ সালের ডিসেম্বরে তিনি জলপ্রপাতের নিকটে ক্যাম্প স্থাপন করেন। ১৮৪৪ সালে ক্যাপ্টেন জেমস অ্যালেন এখানে সামরিক অভিযান পরিচালনা করেন। জ্যাকব ফেরিস ১৮৬৫ সালে '''পশ্চিমের রাজ্য ও ভূখণ্ড''' বইয়ে জলপ্রপাতগুলোর বর্ণনা দিয়েছেন। <ref>https://web.archive.org/web/20080705075009/http://www.siouxfalls.org/Information/history/siouxfalls.aspx</ref>
 
[[সেন্ট পল, মিনেসোটা|সেন্ট পলের]] ডাকোটা ভূমি কোম্পানি ও আইওয়া অঙ্গরাজ্যের দুবুকে শহরের ওয়েস্টার্ন টাউন কোম্পানি ১৮৫৬ সালে জলপ্রপাতের আশপাশে ভূমি নিজেদের মালিকানার আওতাভুক্ত শুরু করে। উভয় প্রতিষ্ঠান ৩২০ একর ভূমি দাবি করে এবং পরস্পরকে সুরক্ষাদানে সম্মত হয়। আদিবাসীরা ভূমির অধিকার ছাড়তে অসম্মত হলে তারা ''ফোর্ট সড'' নামক তৃণ-নির্মিত সুরক্ষাপ্রাচীর গঠন করে। সতেরোজন ১৮৫৬ সালের শীতকালে সু ফেলজে বসতি স্থাপন করে। পরবর্তী বছরে সু ফেলজের জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৪০।
 
মিনেহাহা কাউন্টিতে বসবাসরত আদিবাসী আমেরিকান ও শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে শুরুতে বিরোধ না থাকলেও ১৮৬২ সালের ডাকোটা যুদ্ধের ফলে সংঘাত তীব্র হয়ে ওঠে। ঐ বছর আগস্টে দুইজন বসতি স্থাপনকারী মৃত্যুবরণ করলে শহর ছেড়ে ইউরোপীয়রা পালিয়ে যান। তখন এখানে ব্যাপক লুটতরাজ ও অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয়েছিল।
 
১৮৬৫ সালের মে মাসে সু ফেলজ শহরে ডাকোটা দুর্গ প্রতিষ্ঠিত হয়। <ref>http://www.angelfire.com/mn3/rambow/vtour.html</ref> এখানে নতুন করে বসতি স্থাপন শুরু হয়। ১৮৭৩ সালে এর জনসংখ্যা বেড়ে হয় ৫৯৩। ১৮৭৬ সালে সু ফেলজ গ্রাম স্থানীয় শাসনের আওতাভুক্ত করা হয়। ডাকোটা আইনসভা ১৮৮৩ সালের ৩ মার্চ একে শহর হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।<ref>http://www.factmonster.com/ce6/us/A0845380.html</ref>
 
==তথ্যসূত্র==