বুনো রামনাথ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
তথ্যসূত্র যোগ/সংশোধন
ট্যাগ: ২০১৭ উৎস সম্পাদনা
তথ্যসূত্র যোগ
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
২৪ নং লাইন:
 
==কর্মজীবন==
রামনাথ তাঁর পাণ্ডিত্যের অসামান্য খ্যাতি অর্জন করার পর [[নবদ্বীপ|নবদ্বীপে]] চতুষ্পাঠী স্থাপন করে রামনাথ শিক্ষকতা করতেন।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.co.in/books?id=PFlEdW9MLCwC&printsec=frontcover&source=gbs_ge_summary_r&cad=0#v=onepage&q=buno&f=false|শিরোনাম=Education In India Vol# 4|শেষাংশ=Tiwari|প্রথমাংশ=Ed Shubha|তারিখ=2007-10-01|প্রকাশক=Atlantic Publishers & Dist|ভাষা=en|আইএসবিএন=978-81-269-0850-9|পাতা=১২৫}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://bn.wikisource.org/wiki/%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%98%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%9F:%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC_%E0%A6%AD%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AE%E0%A6%A3_-%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC_%E0%A6%96%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1.pdf|শিরোনাম=বাংলায় ভ্রমণ -দ্বিতীয় খণ্ড.pdf - উইকিসংকলন একটি মুক্ত পাঠাগার|ওয়েবসাইট=bn.wikisource.org|সংগ্রহের-তারিখ=2020-06-15|পাতা=১০২}}</ref> জ্ঞানার্জনের সাধনায় তিনি সবসময় মগ্ন থাকতেই। তাঁর পাণ্ডিত্যের খ্যাতি চারিদিকে ছড়িয়ে পরলে অগণিত ছাত্র তাঁর কাছে শিক্ষা নিতে তাঁর চতুষ্পাঠীতে আসে। তাঁর চতুষ্পাঠীতে [[প্রসন্নচন্দ্র তর্করত্ন]] সহ অনেকে শাত্রচর্চা করতেন। তাঁর ছাত্রদের মধ্যে ধর্ম্মদহ বহিরগাছীর কৃষ্ণনন্দ বিদ্যা-বাচস্পতি সরস্বতী মহারাজ শ্রীশচন্দ্রের সভায় থেকে ''অন্তর্ব্যাকরণ নাট্য-পরিশিষ্ট'' নামক গ্রন্থ রচনা করে প্রসিদ্ধ হন।<ref name=":0" /> রামনাথ খুবই দারিদ্র্যের মধ্যে দিতে টোল চালালেও কখনও রাজ অনুগ্রহ নেননি। [[নদিয়া রাজপরিবার|নদিয়ারাজ]] [[নবদ্বীপ|নবদ্বীপে]] এসে তাঁর দারিদ্র্যের অবস্থা দেখে তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন, তাঁর কোন সাংসারিক বিষয়ে অনটন আছে কিনা। তাঁর উত্তরে তিনি বলেন<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://archive.org/details/bub_man_418e42c8c34e9cd4059f600f65afd3b6|শিরোনাম=সেকাল আর একাল|শেষাংশ=বসু|প্রথমাংশ=রাজনারায়ন|তারিখ=|বছর=১৮৭৪|প্রকাশক=বাল্মীকি যন্ত্র|অবস্থান=কলিকাতা|পাতাসমূহ=৯|ভাষা=বাংলা|আইএসবিএন=}}</ref>- {{cquote|না, আমার কিছুই অনটন নাই; আমার কয়েক বিঘা ভূমি আছে, তাহাতে যথেষ্ট ধান্য উৎপন্ন হয়, আর সম্মুখে এই তিস্তিড়ী বৃক্ষ{{#tag:ref|তিস্তিড়ী বৃক্ষের অর্থ ''তেঁতুল গাছ''|group=পাদটিকা}} দেখিতেছেন, ইহার পত্র আমার গৃহিণী দিব্য পাক করেন, অতি সুন্দর লাগে, আমি স্বচ্ছন্দে তাহা দিয়া অন্ন আহার করি।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://bn.wikisource.org/wiki/%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%98%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%9F:Intermediate_Bengali_Selections.pdf|শিরোনাম=Intermediate Bengali Selections.pdf - উইকিসংকলন একটি মুক্ত পাঠাগার|ওয়েবসাইট=bn.wikisource.org|সংগ্রহের-তারিখ=2020-06-15|পাতা=৭৭}}</ref>}} অর্থাৎ, তাঁর কোন অভাব নেই, ঘরে মোটা চাল আছে আর গাছে তেঁতুল পাতা আছে, সুতরাং উদরপূর্তির কোনও চিন্তা নেই।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://hinduvoice.in/2020/05/06/বুনো-রামনাথ-এক-শিক্ষকের-গ/|শিরোনাম=বুনো রামনাথ- এক শিক্ষকের গল্প|শেষাংশ=hvadmin|তারিখ=2020-05-06|ওয়েবসাইট=Hindu Voice|ভাষা=en-US|সংগ্রহের-তারিখ=2020-06-15}}</ref>
==কিংবদন্তি==
কলকাতার মহারাজ নবকৃষ্ণের সভায় এক নৈয়ায়িক দিগবিজয়ের উদ্দেশ্যে আসলে সেখানে একটি সভার আয়োজন করা হয়। সেই সভায় নবদ্বীপেরপণ্ডিতমণ্ডলী থেকে নৈয়ায়িক শিবনাথ বিদ্যাবাচস্পতি ও বংশবাটীর [[জগন্নাথ তর্কপঞ্চানন]] উপস্থিত ছিলেন। সেখানে আয়োজিত তর্কসভায় কেউই আগত নৈয়ায়িকের সঙ্গে যুক্তিতে পেরে না উঠলে বুনো রামনাথ সেখানে উপস্থিত হয়ে যুক্তিতর্কের মাধ্যমে তাঁকে পরাজিত করে নবদ্বীপের ন্যায়চর্চার মান বজায় রাখে। তখন রাজা নবকৃষ্ণ খুশি হয়ে তাঁকে প্রচুর ধনসম্পদ দিতে চাইলে রামনাথ '''কাক-বিষ্ঠা''' বলে সেগুলো স্পর্শ করেন না। রামনাথ মনে করতেন ''অর্থই অনর্থের মূল। ''<ref name=":0" />