অপারেশন ওভারলর্ড: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Atlantikwall.gif কে চিত্র:Atlantikwall.png দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে, কারণ: file renamed, redirect linked from other project।
InternetArchiveBot (আলোচনা | অবদান)
Adding 5 books for যাচাইযোগ্যতা) #IABot (v2.0.7) (GreenC bot
৩০ নং লাইন:
==== মিত্রবাহিনীর অভিযান সমূহ ====
 
[[অ্যাডলফ হিটলার|হিটলার]] বলেছিলেন, স্থানের ব্যাপ্তির কারণে পূর্বে অর্থাৎ [[সোভিয়েত ইউনিয়ন|সোভিয়েত ইউনিয়নের]] সাথে লড়াইয়ে পরাজয়ের ফলে জার্মানি বিশাল এলাকা হারাবে কিন্তু তা হয়তো জার্মানির জন্য ধ্বংসাত্মক হবে না। কিন্তু পশ্চিমের পরিস্থিতি অনুরূপ নয়। ঐদিকে শত্রুরা সফল হলে এর ধ্বংসাত্মক পরিণতি অল্প সময়ের মাঝেই কার্যকর হবে।<ref name="Directive51">{{বই উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Ambrose|প্রথমাংশ=Stephen|লেখক-সংযোগ=Stephen Ambrose|বছর=1995|প্রকাশক=Simon & Schuster|শিরোনাম=D-Day June 6, 1944: The Climactic Battle of World War II|ইউআরএল=https://archive.org/details/ddayjune61944cli00ambr}}</ref>
 
১৯৪০ সালের জুন মাসে জার্মানির হাতে ফ্রান্সের পতনকে অ্যাডলফ হিটলার ‘ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ বিজয়’ আখ্যা দিয়েছিলেন। ব্রিটিশ বাহিনী, পরাস্ত হলেও [[ডানকির্ক]] থেকে তিন লক্ষ সৈন্যের এক [[ঐতিহাসিক পশ্চাদপসরণ|ঐতিহাসিক পশ্চাদপসরণের]] মাধ্যমে চূড়ান্ত ভাবে পর্যদুস্ত হওয়াকে এড়াতে পেরেছিল। এরপর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী [[উইন্সটন চার্চিল]] এক বিখ্যাত বিবৃতিতে জার্মানির হাত থেকে ফ্রান্সকে মুক্ত করার জন্য ফ্রান্স অভিযান করবেন বলে জানিয়েছিলেন।
৩৮ নং লাইন:
[[প্রথম বিশ্বযুদ্ধ|প্রথম বিশ্বযুদ্ধের]] অভিজ্ঞতার কারণে ব্রিটেনে চার্চিল প্রশাসন এবার ব্যয়বহুল সম্মুখযুদ্ধ এড়িয়ে যাবার ব্যাপারটিকে বিবেচনায় আনে। অবদান স্বরূপ ব্রিটিশরা সম্মুখ যুদ্ধের পরিবর্তে তাদের গোয়েন্দা সংস্থা [[স্পেশাল অপারেশানস এক্সিকিউটিভ]] (এসওই)-এর দ্বারা শত্রু এলাকায় অস্থিরতা সৃষ্টিকে প্রাধান্য দেয়ার কথা বিবেচনা করে। পাশাপাশি তারা অক্ষশক্তির তুলনামূলক ভাবে কম শক্তিশালী [[ইটালি|ইটালির]] বিরুদ্ধে আগ্রাসন করার কথা বিবেচনা করে যারা মাধ্যমে [[ভূমধ্যসাগর]] থেকে [[ভিয়েনা]] অভিমূখে ও জার্মানির দক্ষিণ ভাগে আঘাত হানার সুবিধা হতে পারত। ব্রিটিশরা এই পরিকল্পনার আরেকটি সুবিধা বিবেচনা করে যে এর দ্বারা ইউরোপের গভীরে প্রবেশের ক্ষেত্রে তাদের সাম্রাজ্যবাদের স্বঘোষিত প্রতিপক্ষ [[সমাজতন্ত্র|সমাজতন্ত্রী]] সোভিয়েত ইউনিয়নের পথে সামান্য বাধা সৃষ্টি করা সম্ভব হবে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এসব পরিকল্পনা অনেকটা নাকচ করে দেয় কারণ তারা জার্মানিতে পৌছবার জন্য সংক্ষিপ্ততম পথের অভিযানকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়ার কথা বলেছিল। এই লক্ষ্যে ১৯৪২ সালে ''[[অপারেশান স্লেজহ্যামার]]'' ও ১৯৪৩ সালে ''অপারেশান রাউন্ডআপ'' নামের দুটি অভিযান প্রস্তাব করা হয়। পরবর্তীকালে ''অপারেশান রাউন্ডআপের'' প্রস্তাবনা গৃহীত হয় যা আরও এক বছর দেরি করে ১৯৪৪ সালে এই অপারেশান ওভারলর্ড নামে পরিচালিত হয়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=The Second World War book 5, Closing the Ring|শেষাংশ=Churchill|প্রথমাংশ=Winston|লেখক-সংযোগ=Winston Churchill|বছর=1948|সংগ্রহের-তারিখ=2007-11-03|পাতাসমূহ=Chapter 16, paragraph 1|nopp=true}}</ref>
 
১৯৪৩ সালের জানুয়ারিতে [[ক্যাসাব্ল্যাঙ্কা সম্মেলন]] ও একই বছরের শেষভাগে [[তেহরান সম্মেলন|তেহরান সম্মেলনের]] পর এই অভিযান সংক্রান্ত পরিকল্পনা প্রথম উপস্থাপিত হয়<ref name="gilbert1">{{বই উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Gilbert|প্রথমাংশ=Martin|শিরোনাম=Second World War|ইউআরএল=https://archive.org/details/secondworldwar00gilb|বছর=1989|পাতাসমূহ=[https://archive.org/details/secondworldwar00gilb/page/397 397], 478|আইএসবিএন=9-78-0805017885|সংগ্রহের-তারিখ=2007-10-08|প্রকাশক=H. Holt|অবস্থান=New York}}</ref>। উপস্থাপন করেন মিত্রবাহিনীর সেসময়ের সর্বাধিনায়ক ও ‘চিফ অফ স্টাফ অফ সুপ্রিম অ্যালাইড কমান্ড (COSSAC)’ ব্রিটিশ লেঃ জেনারেল স্যার ফ্রেডরিক মরগ্যান এবং তার মার্কিন সহকারী মেঃ জেনারেল রে বার্কার। এই COSSAC-এর উপাদান সমূহ পরে ১৯৪৪ সালের শুরুর দিকে মিত্রবাহিনীর সর্বোচ্চ প্রধান কার্য্যালয়ে স্থানান্তরিত করা হয় যেখানে সর্বাধিনায়ক হিসেবে দায়িত্মভার লাভ করেন [[ডোয়াইট্‌ ডি. আইজেনহাওয়ার|ডোয়াইট আইজেনহাওয়ার]]<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Gilbert|প্রথমাংশ=Martin|শিরোনাম=Second World War|ইউআরএল=https://archive.org/details/secondworldwar00gilb_0|বছর=1989|সংগ্রহের-তারিখ=2007-10-08|পাতা=[https://archive.org/details/secondworldwar00gilb_0/page/491 491]}}</ref>। এই নেতৃত্বের অধীনে সমস্ত স্থল কার্যক্রমের দায়িত্ম জেনারেল স্যার বার্নার্ড মন্টগোমরিকে যিনি একই সাথে পুরো অভিযানের পরিকল্পনার কাজ শুরু করেন।<ref>Nigel Hamilton, ''Montgomery, Bernard Law'', [[Oxford Dictionary of National Biography]] (2004)</ref>
 
মিত্রবাহিনীর জেনারেলগণ সরাসরি কোন ফরাসি বন্দরে আক্রমণের মাধ্যমে অবতরণের পক্ষপাতী ছিলেননা। কারণ ১৯৪২ সালে অনুরূপ একটি অভিযানে তাদের তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল।<ref name="worldatwar1">{{cite video|year=1974|title=The World At War, episode 17, Morning|person=[[Laurence Olivier]], [[Goronwy Rees]], [[Louis Mountbatten]]|time=2:29-3:09}}</ref> এদিকে আবার ব্রিটিশ রয়েল এয়ার ফোর্সের বহুলব্যাবহৃত বিমান যেমন [[সুপারমেরিন স্পিটফায়ার]] ও [[হকার টাইফুন|হকার টাইফুনের]] কার্যকরী এলাকার সীমাবদ্ধতার কারণে নির্বাচনযোগ্য অবতরণস্থলের তালিকা ক্রমশ ছোট হয়ে আসছিল।
 
মিত্রবাহিনীর কিছু উচ্চপদস্থ সামরিক নেতৃবৃন্দ নরম্যান্ডিতে অবতরণের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার করতে চেয়েছিলেন কারণ এখানকার বিবেচ্য অবতরণস্থলের নিকটবর্তী চারবুর্গ বন্দরটিতে নাৎসি বাহিনীর বিপুল শক্তি সঞ্চিত ছিল। এমনিতে ভৌগোলিক বিবেচনায় ব্রিটেন থেকে ইউরোপের মূলভূমির সবচেয়ে নিকটবর্তী এলাকাটি হল [[পাস দ্য ক্যালেইস]], যেটি চারবুর্গের চেয়েও অধিক সুরক্ষিত ছিল। এই পরিস্থিতিতে মিত্রবাহিনীর নেতৃবৃন্দ উপলব্ধি করেন নরম্যান্ডিই হতে পারে উপযুক্ত অবতরণস্থল।<ref name="ambrose2">{{বই উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Ambrose|প্রথমাংশ=Stephen|লেখক-সংযোগ=Stephen Ambrose|বছর=1995|প্রকাশক=Simon & Schuster|পাতাসমূহ=Chapter 4 Paragraph 4|শিরোনাম=D-Day June 6, 1944: The Climactic Battle of World War II|ইউআরএল=https://archive.org/details/ddayjune61944cli00ambr|nopp=true}}</ref>
 
==== মূল পরিকল্পনা ====
৭৯ নং লাইন:
 
==== প্রশিক্ষণ ও নিরাপত্তা ====
মূল অভিযানের মাশখানেক আগে থেকেই মিত্রবাহিনী ওভারলর্ডের রিহার্সাল দিতে শুরু করে করেছিল। ১৯৪৪ সালের ২৮ এপ্রিল তারখে এরূপই একটি রিহার্সাল অনুষ্ঠিত হচ্ছিল ব্রিটেনের ডেভন উপকূলে যেখানে জার্মান টর্পেডো বোটের আকস্মিক আক্রমণে ৭৪৯ জন মার্কিন নৌ সেনা নিহত হয়।<ref name="gilbert">{{বই উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Gilbert|প্রথমাংশ=Martin|শিরোনাম=The Second World War|ইউআরএল=https://archive.org/details/secondworldwar00gilb|বছর=1989|সংগ্রহের-তারিখ=2007-10-08|আইএসবিএন=9-78-0805017885|পাতা=[https://archive.org/details/secondworldwar00gilb/page/520 520]|প্রকাশক=H. Holt|অবস্থান=New York}}</ref>.
 
অভিযানোত্তর সময়ে ব্রিটেন থেকে ছড়িয়ে পড়া একটি খবরের কারণে অক্ষশক্তির মাঝে বিভ্রান্তি আরও বৃদ্ধি পেয়েছিল। স্বাধীন আইরিশ রাষ্ট্র যা আজকের আয়ারল্যান্ড, সেখানে ও সেখান থেকে যাতায়াতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। জার্মান দূতাবাসগুলো, নিরপেক্ষ রাষ্ট্র বা অন্যান্য অক্ষরাষ্ট্র যেখানেই থেকে থাকুক না কেন, সম্ভাব্য মিত্রবাহিনী অভিযান সম্পর্কে এতটাই পরস্পরবিরোধী তথ্য পেয়েছিল যে মিত্রবাহিনীর নীতিনির্ধারকরা একটি পর্যায় গিয়ে নিশ্চিত হন যে এখন কোন সঠিক তথ্য পেলেও জার্মানরার তার সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারবে না বা নিশ্চিয়তা পেতে আগ্রহী হবে না।