জিয়াউদ্দিন আহমেদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
Manisha Mrinmoyi (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১৭ নং লাইন:
|branch={{army|Pakistan}}<br>{{army|বাংলাদেশ}}
|serviceyears=১৯৬৯-১৯৭১ (পাকিস্তান)<br>১৯৭১-১৯৭২ (বাংলাদেশ)
|rank=[[File:Bangladesh-army-OF-3.svg|20px]] [[মেজরলেফটেন্যান্ট কর্নেল]]
|awards=
}}
 
'''মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন আহমেদ''' ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং [[বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সেক্টরসমূহের তালিকা|৯ নম্বর সেক্টরের]] সুন্দরবন সাব-সেক্টরসাবসেক্টর কমান্ডার। মুক্তিযুদ্ধের তার অবদানের জন্য তিনি বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত হয়েছিলেন।
 
== জন্ম ও শিক্ষাজীবন ==
৩৩ নং লাইন:
 
=== মুক্তিযুদ্ধ ===
১৯১৭ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার প্রারম্ভে মার্চ মাসের ২০ তারিখ তিনি ছুটি নিয়ে দেশে আসেন এবং মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। তিনি ৯ নং সেক্টরের আওতাধীন সুন্দরবন উপ-সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন। তিনি প্রথম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের কমান্ডার ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে সুন্দরবন অঞ্চলে শত্রুদমনে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য তাকে ‘মুকুটহীন সম্রাট’ উপাধীউপাধি দেওয়া হয়। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি ব্যারাকে ফিরে যান এবং মেজর হিসেবে পদমর্যাদা পান।
 
===বাংলাদেশ সেনাবাহিনী===
জিয়াউদ্দিন ১৯৭৫১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে মেজরলেফটেন্যান্ট কর্নেল হিসেবে কমিশন লাভ করেন। ‘৭৫-এরতিনি ঢাকার ৪৬ ব্রিগেডের প্রথম অধিনায়ক ছিলেন। ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ এ বঙ্গবন্ধু যখন সপরিবারে নিহত হন তখন তিনি ঢাকায় ডিজিএফআইতেডিরেক্টরেট অফ ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স (ডিএফআই) তে কর্মরত ছিলেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=মেজর জিয়াউদ্দিন: অনন্তলোকে এক সাহসী নক্ষত্র |ইউআরএল=https://www.channelionline.com/%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%9C%E0%A6%B0-%E0%A6%85%E0%A6%AC-%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%89%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%A8-%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4/ |ওয়েবসাইট=channelionline.com |সংগ্রহের-তারিখ=১৪ আগস্ট ২০২০}}</ref> [[শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড|শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের]] পর তাঁকে তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
 
৭ নভেম্বর লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাহেরের নেতৃত্বে সিপাহি- জনতার বিপ্লবে তিনি অংশ নেন। এরপর সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাহেরের সৈনিক সংস্থার পক্ষে অবস্থান নিয়ে তার অনুসারীদের নিয়ে সুন্দরবনে আশ্রয় নেন। ১৯৭৬ সালের জানুয়ারিতে সুন্দরবনে সেনা অভিযানে মেজরলেফটেন্যান্ট কর্নেল জিয়াউদ্দিন গ্রেফতার হন। সামরিক আদালতে গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাহেরকে ফাঁসি ও আ স ম আবদুর রব, মেজর জলিলসহ অন্যদের সঙ্গে মেজরলেফটেন্যান্ট কর্নেল জিয়াউদ্দিনকেও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ নিয়ে তখন সারাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা আন্দোলন শুরু করলে আ স ম আবদুর রব, মেজর জলিলসহ অন্যদের সঙ্গে মেজরলেফটেন্যান্ট কর্নেল জিয়াউদ্দিনও ১৯৮০ সালে রাষ্ট্রপতির সাধারণ ক্ষমায় মুক্তি লাভ করেন।<ref name="বিডিনিউজ" /> ১৯৮৩ সালে জেনারেল এরশাদের সময় মেজরলেফটেন্যান্ট কর্নেল জিয়াউদ্দিন দেশ ছেড়ে সিঙ্গাপুরে আশ্রয় নেন।
 
== রাজনৈতিক জীবন ==
৪৭ নং লাইন:
তিনি ‘সুন্দরবন বাঁচাও’ কর্মসূচি নামে একটি অরাজনৈতিক সংগঠন গড়ে তুলেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি দুবলা ফিশারমেন গ্রুপের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। কখনও জেলেদের নিয়ে, কখনও প্রশাসনকে সহায়তা দিয়ে ডাকাতদের নির্মূলে অবদান রেখেছেন তিনি। এ কারণে সুন্দরবনের একাধিক ডাকাত গ্রুপ বিভিন্ন সময়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এসব ডাকাত গ্রুপ জিয়াউদ্দিনকে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। তিনি একাধিকবার হামলার শিকার হয়েছেন।<ref name="বিডিনিউজ" />
 
সর্বশেষ মোর্তজা বাহিনীর সদস্যরা পূর্ব সুন্দরবনের হারবাড়ীয়া ও মেহেরালীর চর এলাকার মাঝামাঝি চরপুঁটিয়ায় মেজরলেফটেন্যান্ট কর্নেল জিয়াকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। বন্দুকযুদ্ধে মোর্তজা বাহিনীর চার সদস্য নিহত ও মেজরলেফটেন্যান্ট কর্নেল জিয়া গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন।
 
== পুরস্কার ও সম্মাননা ==