লাক্ষাদ্বীপ সাগর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা |
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা |
||
৫৫ নং লাইন:
</ref>
প্রায় ৩,৬০০ প্রজাতির জলজ প্রাণী এবং উদ্ভিদ সম্বলিত মান্নার উপসাগর সারাবিশ্বে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক জীবতাত্ত্বিক উৎস গুলির মধ্যে একটি। ৩,৬০০ প্রজাতির মধ্যে রয়েছে শনাক্তকৃত ৪৪ টি সংরক্ষিত প্রজাতি, ১১৭ টি প্রবাল প্রজাতি, ৭৯ টি কর্কটী প্রজাতি, ১০৮ টি স্পঞ্জ প্রজাতি, ২৬০ টি কম্বোজী প্রজাতি, ৪৪১ টি পাখনা মাছের প্রজাতি, ১৪৭ টি সমুদ্রশৈবাল প্রজাতি ও ১৭ টি লবণাম্বুজ প্রজাতি৷ <ref>ICSF p.25</ref> ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দে ৫৬০ বর্গকিলোমিটার বিস্তৃত ২১ টি দ্বীপ ও তার আশেপাশের সমুদ্রকে ঘিরে তামিলনাড়ু রাজ্যে তৈরী করা হয় [[মান্নার উপসাগর সামুদ্রিক জাতীয় উদ্যান]]৷ এই জাতীয় উদ্যান এবং আশেপাশের নিরাপদ অঞ্চল (বাফার জোন) ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দে জীববৈচিত্র সংরক্ষণের আওতায় আসে৷ মান্নার উপসাগর জীববৈচিত্র সংরক্ষণক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল বৃদ্ধি পেয়ে সমুদ্রের ১০,৫০০ বর্গকিলোমিটার হয়৷ সাগর, দ্বীপ ও উপকুল জুড়ে বিস্তৃত এই সংরক্ষণটি ভারতের বৃহত্তম জীববৈচিত্র সংরক্ষণ৷ এই সংরক্ষিত অঞ্চলে বাইরে থেকে পর্যটক যাতায়াত নিষিদ্ধ এবং নৌপরিবহন কড়া নিয়ম এর মাধ্যমে সীমাবদ্ধ,<ref>ICSF pp. 27–30</ref> তবে স্থানীয়রা এই অঞ্চলে সো চাষের সঙ্গে যুক্ত এবং এটি তাদের প্রধান জীবিকা। প্রায় ১,৫০,০০০ জন এই সংরক্ষণের নিরাপদ অঞ্চলে (বাফার জোন) বাস করেন এবং ৭০ শতাংশের অধিক উপকূলীয় সামুদ্রিক উৎসের উপর ভিত্তি করে নিজেদের জীবিকা নির্বাহ করেন। এখানে ১২৫ টি মৎস্য শিকার কেন্দ্রিক গ্রাম রয়েছে যেখানে প্রায় ৩৫,০০০ ধীবর, ২৫,০০০ জন [[সামুদ্রিক শসা]] সংগ্রহ ও ৫,০০০ জন নারী সমুদ্র শৈবাল সংগ্রহের সাথে যুক্ত। <ref>ICSF pp. 1–2, 21, 24, 30</ref><ref>{{Cite book|url=https://books.google.com/books?id=XwVX-85oI0EC&pg=PA10|page=10|title=Environment impact assessment|author1=J. Sacratees |author2=R. Karthigarani |publisher=APH Publishing|year=2008|isbn=978-81-313-0407-5}}</ref> ২০০৬ খ্রিস্টাব্দে তথ্য অনুযায়ী প্রায় ১,০৬,০০০ টন আজ মান্নার উপসাগর থেকে উত্তোলিত হয়েছিল। এর মধ্যে মূলত ছিল ''সার্ডিনেল্লা লঙ্গিসেপ্স'', ছোট সার্ডিন, ''লেটোগ্নেথাস স্পিসাস''), ম্যাকারেল, পেনেইডি চিংড়ি, পার্চ, স্কুইড, ''পুয়েরুলাস সেওয়েল্লি'', কাঁকড়া, স্কেটফিশ ও রেফিশ৷<ref name=j1/><ref>ICSF p. 26</ref> সমুদ্র শৈবালের সংগ্রহ মূলত অগভীর জলের থেকে করা হয়ে থাকে এগুলির মধ্যে রয়েছে ''জেলিডিয়েলা অ্যাসেরোসা'', ''গ্রাসিলারিয়া এডুলিস'' (আগারোফাইট), ''সারগ্যাসাম স্পিসিস'', তুর্বিনারিয়া (অ্যালগিনোফাইট) এবং ''আলভা ল্যাকটুকা'', যা মূলত অক্টোবর থেকে মার্চের মধ্যে উত্তোলিত হয়৷ জাতীয় উদ্যানের সীমাবদ্ধতার জন্য এখানে সমুদ্রশৈবাল উত্তোলনের পরিমাণ ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দে ৫,৮০০ টন (শুষ্ক ওজন) থেকে ২০০৩ খ্রিস্টাব্দে ৩,২৫০ টনে কমে যায়৷ <ref>ICSF pp. 42–43</ref>
==তথ্যসূত্র==
|