আইয়ুব খান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
বিশাল ঘ. (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
বিশাল ঘ. (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১৫৮ নং লাইন:
আইয়ুব খানের জন্ম হয়েছিলো [[ব্রিটিশ ভারত]]ের [[উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ]]ের [[হরিপুর জেলা]]য়। ১৯২৬ সালে তরুণ আইয়ুব [[ব্রিটিশ সেনাবাহিনী]]র কর্মকর্তা গড়ার কারিগর 'রয়েল মিলিটারি কলেজ' তে অধ্যায়ন করার সুযোগ পেয়ে যান যেটি ইংল্যান্ডের বার্কশায়ারের স্যান্ডহার্স্টে অবস্থিত ছিলো। ১৯২৮ সালে [[ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনী]]তে আইয়ুব দ্বিতীয় লেফটেন্যান্ট হিসেবে কমিশনপ্রাপ্ত হয়েছিলেন; [[দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ|দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের]] সময় আইয়ুব কর্নেল ছিলেন, ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম হলে আইয়ুব নবগঠিত পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন ব্রিগেডিয়ার হিসেবে। স্বাধীন পাকিস্তানে আইয়ুব প্রথমে [[পূর্ব পাকিস্তান|পূর্ব পাকিস্তানে]] নিয়োগ পেয়েছিলেন ১৪তম পদাতিক ডিভিশনের অধিনায়ক হিসেবে, এরপর খুব দ্রুত উপরে ওঠেন তিনি; ১৯৫১ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়কের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হন আইয়ুব।<ref name="countrystudies">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.countrystudies.us/pakistan/18.htm|শিরোনাম= Ayub Khan in US Country Studies |প্রকাশক=US State Department|সংগ্রহের-তারিখ=16 November 2011}}, Retrieved 25 August 2015</ref> ১৯৫৩ সাল থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত তিনি দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন; আইয়ুব এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী [[ফিরোজ খান নুন]] প্রশাসনের বিরুদ্ধে ইস্কান্দার মির্জার জারি করা সামরিক আইনের পক্ষে ছিলেন।<ref name="Story of Pakistan, part-II">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Ouster of President Iskander Mirza|ইউআরএল=http://www.storyofpakistan.com/articletext.asp?artid=A117|প্রকাশক=Story of Pakistan, part-II|সংগ্রহের-তারিখ=১০ অক্টোবর ২০১৮|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20120207032427/http://storyofpakistan.com/articletext.asp?artid=A117|আর্কাইভের-তারিখ=৭ ফেব্রুয়ারি ২০১২|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}, Retrieved 27 August 2015</ref> ইস্কান্দার মির্জাই মূলত আইয়ুব খানের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রপতিত্ব নিশ্চিত করেছিলেন।<ref name="Story of Pakistan, part-II"/><ref name="Story of Pakistan, Part-1">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Field Marshal Ayub Khan Becomes President [1962–1969]|ইউআরএল=http://www.storyofpakistan.com/articletext.asp?artid=A067|প্রকাশক=Story of Pakistan, Part-1|সংগ্রহের-তারিখ=১০ অক্টোবর ২০১৮|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20120227062932/http://www.storyofpakistan.com/articletext.asp?artid=A067|আর্কাইভের-তারিখ=২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১২|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}, Retrieved 25 August 2015</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://pkpolitics.com/2011/05/25/kal-tak-25-may-2011/ |শিরোনাম=Kal Tak – 25 May 2011 &#124; Pakistan Politics |প্রকাশক=Pkpolitics.com |তারিখ= |সংগ্রহের-তারিখ=9 December 2012 |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20130509011515/http://pkpolitics.com/2011/05/25/kal-tak-25-may-2011/ |আর্কাইভের-তারিখ=9 May 2013 |অকার্যকর-ইউআরএল=yes }}</ref>
 
আইয়ুব দেশের সরকার প্রধানের দায়িত্ব নেওয়ার পর সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়কের পদে জেনারেল [[মুহাম্মদ মুসা খান]]কে নিযুক্ত করেছিলেন। আইয়ুব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো জোরদার করা সহ প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর আধুনিকায়নে মনোযোগ দিয়েছিলেন। আইয়ুব তৎকালীন [[সোভিয়েত ইউনিয়নেরইউনিয়ন]]ের ঘোর বিরোধী ছিলেন। তিনি পেশোয়ারে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় একটি বিমান ঘাঁটি গড়ে তুলেছিলেন যেখানে [[যুক্তরাষ্ট্র বিমান বাহিনীরবাহিনী]]র বৈমানিকেরা বিমান চালাতো এবং [[পাকিস্তান বিমান বাহিনী]]র আধুনিকায়নে তারা অনেক সাহায্য করেছিলো।<ref>"Story of Pakistan, Part-1"/, Retrieved 25 August 2015</ref> চীনের সঙ্গেও আইয়ুব সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলেন, ১৯৬২ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক চরম বৈরিতার দিকে যায় যে বছরে [[চীন-ভারত যুদ্ধ|ভারত চীনের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী এক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিলো]]। ১৯৬৫ সালে আইয়ুব সরকার ভারতের সঙ্গে একটি বড় ধরনের যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার পরিকল্পনা করেছিলো যেটি ঐতিহাসিকভাবে [[ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ১৯৬৫]] নামে পরিচিতি পেয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্র এবং পুঁজিবাদী অর্থনীতির একজন গোঁড়া সমর্থক আইয়ুব পাকিস্তানেও যুক্তরাষ্ট্রর মত অর্থনৈতিক ব্যবস্থা চালু করার প্রয়াস চালিয়েছিলেন।
 
১৯৬৫ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আইয়ুবের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে [[ফাতেমা জিন্নাহ]] দাঁড়িয়েছিলেন, যদিও আইয়ুব খান পুনরায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬৭ সালে [[পশ্চিম পাকিস্তান]]ে (বর্তমানে শুধু [[পাকিস্তান]]) [[জুলফিকার আলী ভুট্টো]]র নেতৃত্বে এবং [[পূর্ব পাকিস্তান]]ে (বর্তমানে [[বাংলাদেশ]]) [[শেখ মুজিবুর রহমান|শেখ মুজিবুর রহমানের]] নেতৃত্বে আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে অনেক বিক্ষোভ এবং মিছিল হয় এবং ১৯৬৯ সালে পূর্ব পাকিস্তানে এক বড় ধরনের আন্দোলন হয়েছিলো। তার নির্দেশে বহু মানুষকে গ্রেফতারও করা হয়েছিলো। ১৯৭৪ সালে আইয়ুব দীর্ঘ রোগ ভোগের পর মৃত্যুবরণ করেন।