গুলবাহার হাতুন (মুহাম্মাদ ফাতিহের স্ত্রী): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Great Hero32 (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
Great Hero32 (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
৪২ নং লাইন:
== ভালিদে সুলতান হিসেবে==
{{মূল|ভালিদে সুলতান}}
১৪৮১ সালে যখন গুলবাহার হাতুনের ছেলে বায়েজীদ সিংহাসনে আরোহণ করেন{{sfn|Peirce|1993|p=50}} তখন প্রথানুযায়ী তিনি রাজপরিবারে সর্বোচ্চ সম্মানিত পদ, ''[[ভালিদে সুলতান]] (ভালিদে হাতুন)'' এর পদপদমর্যাদা লাভ করেন যা তার মৃত্যু অবধি বহাল ছিল। বায়েজীদের ক্ষমতায় আরোহণের সাথে সাথেই গুলবাহার হাতুন একজন ভালিদে সুলতানের সমকক্ষীয় ভূমিকাই পালন করেন, কারণ সেসময় গদিনাসীন সুলতানের মায়ের উপাধি এবং দায়িত্বসমূহ দাপ্তরিকভাবে নির্ধারিত ছিল না। তৎকালীন সময়ে, ''ভালিদে সুলতান'' উপাধিটি ব্যবহার করা শুরু হয়নি কারণ উসমানীয় রাজবংশের নারীদের ক্ষেত্রে তখন ''হাতুন'' উপাধি ব্যবহার হতো। লেসলি পি. পিয়ার্স এর তথ্য অনুযায়ী, ষষ্ঠদশ শতাব্দীতে ([[প্রথম সুলাইমান|প্রথম সুলাইমানের]] রাজত্বকালে) ভালিদে অর্থাৎ সুলতান মাতা, শাহজাদী এবং সুলতানের প্রধান সঙ্গিনীদের ক্ষেত্রে ''হাতুন'' উপাধিকে প্রতিস্থাপিত করে ''সুলতান'' উপাধি ব্যবহার করা শুরু হয়। এর ফলে, ষষ্ঠদশ শতাব্দীর পূর্বে গদিনাসীন সুলতানের জীবিত মাতার ব্যবহৃত উপাধি, ''ভালিদে হাতুন'' উপাধিকেউপাধিটি ''[[ভালিদে সুলতান]]''-এ রূপান্তরিত হয় যেটি [[হাফসা সুলতান]] সর্বপ্রথম দাপ্তরিকভাবে ব্যবহার করেন।
গুলবাহার হাতুন এবং রাজপরিবারের অন্য সদস্যরা সবাই তার ছেলে [[দ্বিতীয় বায়েজীদ|দ্বিতীয় বায়েজীদের]] রাজত্বকালে পুরাতন প্রাসাদে বসবাস করতেন যা ''সরাই-ই আতিক''({{lang-tr|saray-ı atik}}) নামেও পরিচিত এবং তার ছেলে সাক্ষাৎ করতে আসতেন যিনি প্রতি সাক্ষাতেই তার মায়ের প্রতি সম্মান জ্ঞাপন করতেন। এক ঘটনায়, গুলবাহার তার ছেলের অনিয়মিত সাক্ষাতের ব্যাপারে অভিযোগ করে তার ছেলের কাছে একটি চিঠিতে লিখেছিলেন:
<blockquote> ''আমার সৌভাগ্য, আমি তোমার অভাববোধ করছি, তুমি যদি আমার অভাববোধ নাও করো, তাও আমি তোমার অভাববোধ করি... এসো এবং আমাকে দেখা দাও। আমার প্রিয় বাদশাহ, যদি তুমি শীঘ্রই অভিযানে বের হও, অন্তত একবার বা দুবার এসো যাতে করে তুমি যাওয়ার পূর্বে আমি তোমার সৌভাগ্যমণ্ডিত চেহারাখানি দেখতে পাই। তোমাকে আমি শেষ দেখেছি, চল্লিশ দিন হয়ে গেছে। আমার সুলতান, দয়া করে আমার নির্ভীকতা মাফ করো। তোমাকেতুমি ছাড়া আমার আর কে আছে...?''{{sfn|Pierce|1993|p=120}}
</blockquote>{{sfn|Pierce|1993|p=120}}
 
গুলবাহারের বায়েজিদের উপর যথেষ্ট প্রভাব ছিল, কারণ তিনি কিছু রাষ্ট্রীয় কূটনৈতিকদের পরিস্থিতি সম্পর্কে মূল্যায়ন করতেন। বায়েজীদও তার মায়ের কথার গুরুত্ব দিতেন। বায়েজীদকে লেখা গুলবাহারের একটি চিঠিতে তিনি বায়েজীদকে হেরসেকজাদে আহমেদ পাশার বিরুদ্ধে পরামর্শ দিচ্ছেনদেন, তবে তাঁর শিক্ষক আয়াস পাশা এবং হিজিরবেওগ্লু মেহমেদ পাশার পক্ষে ছিলেন।<ref name="valide"/>
 
১৪৮৫ সালে, বায়েজীদ তার মা গুলবাহার হাতুনের স্মরণে একটি মসজিদ এবং টোকাত-এ একটি বিদ্যালয় প্রদান করেছিলেন।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|প্রথমাংশ=Câhid|শেষাংশ=Baltacı|শিরোনাম=XV-XVI asırlar Osmanlı medreseleri: teşkilât : tarih, Volume 1|প্রকাশক=İrfan Matbaası|বছর=1976|পাতাসমূহ=134|আইএসবিএন=}}</ref>