মীর মশাররফ হোসেন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
Bedangshullx (আলোচনা | অবদান)
সম্প্রসারণ
২২ নং লাইন:
}}
 
== '''সৈয়দ মীর মশাররফ হোসেন''' (নভেম্বর ১৩, ১৮৪৭ - ডিসেম্বর ১৯, ১৯১১) ছিলেন একজন বাঙালি ঔপন্যাসিক, নাট্যকার ও প্রাবন্ধিক। তিনি বাংলা ভাষার অন্যতম প্রধান গদ্যশিল্পী ও বাঙালি মুসলমান সাহিত্যিকদের পথিকৃৎ।<ref name="বাংলাপিডিয়া" /> কারবালার যুদ্ধকে উপজীব্য করে রচিত ''[[বিষাদ সিন্ধু]]'' তার সবচেয়ে জনপ্রিয় সাহিত্যকর্ম। ==
 
তিনি তৎকালীন [[ব্রিটিশ ভারত|ব্রিটিশ ভারতে]] (বর্তমান বাংলাদেশ) [[কুষ্টিয়া জেলা|কুষ্টিয়া জেলার]] কুমারখালি উপজেলার চাঁপড়া ইউনিয়নের লাহিনীপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার লেখাপড়ার জীবন কাটে প্রথমে কুষ্টিয়ায়, পরে [[ফরিদপুর জেলা|ফরিদপুরের]] পদমদীতে ও শেষে কৃষ্ণনগরের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে। তার জীবনের অধিকাংশ সময় ব্যয় হয় ফরিদপুরের নবাব এস্টেটে চাকরি করে। তিনি কিছুকাল [[কলকাতা|কলকাতায়]] বসবাস করেন।
 
১২০ ⟶ ১১৯ নং লাইন:
| মে, ১৯১০ (১১ চৈত্র, ১৩১৬) || আমার জীবনীর জীবনী কুলসুম-জীবনী || ||
|}
 
== বিতর্ক ==
১৮৮৯ সালের মার্চ মাসে প্রকাশিত হয় তার লেখা প্রবন্ধ গো-জীবন। গো-জীবনের লেখক মূলত উপমহাদেশে গোরু কোরবানি নিয়ে হিন্দু মুসলমানের যে দ্বান্দ্বিক অবস্থান, তার ব্যাপারে মন্তব্য রাখেন নিজের। তাঁর মত ছিল, গোরু কুরবানির বদলে অন্য কিছু ( যেমনঃ ছাগল) কুরবানি দেওয়ার। <blockquote>"খাদ্য সম্বন্ধে বিধি আছে যে খাওয়া যাইতে পারে-খাইতেই হইবে, গো-মাংস না খাইলে মোসলমান থাকিবে না, মহাপাপী হইয়া নরকযন্ত্রণা ভোগ করিতে হইছে….একথা কোথাও লিখা নাই।"<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://bn.wikisource.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BE:%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A6%95-%E0%A6%9A%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE_%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC_%E0%A6%96%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1.djvu/%E0%A7%AD%E0%A7%AE%E0%A7%AB|শিরোনাম=পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৭৮৫ - উইকিসংকলন একটি মুক্ত পাঠাগার|ওয়েবসাইট=bn.wikisource.org|সংগ্রহের-তারিখ=2020-09-14}}</ref>
 
"এই বঙ্গরাজ্যে হিন্দু-মোসলমান উভয় জাতিই প্রধান। পরস্পর এমন ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ যে, ধর্ম ভিন্ন, কিন্তু মর্মে ও কর্মে এক-সংসার কার্যে, ভাই না বলিয়া আর থাকিতে পারি না। আপদে, বিপদে, সুখে দুঃখে, সম্পদে পরস্পরের সাহায্য ভিন্ন উদ্ধার নাই। সুখ নাই, শেষ নাই, রক্ষার উপায় নাই।..এমন ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ যাহাদের সঙ্গে, এমন চিরসঙ্গী যাহারা, তাহাদের মনে ব্যথা দিয়া লাভ কী?"<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://bn.wikisource.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BE:%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A6%95-%E0%A6%9A%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE_%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC_%E0%A6%96%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1.djvu/%E0%A7%AD%E0%A7%AE%E0%A7%AD|শিরোনাম=পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৭৮৭ - উইকিসংকলন একটি মুক্ত পাঠাগার|ওয়েবসাইট=bn.wikisource.org|সংগ্রহের-তারিখ=2020-09-14}}</ref>
 
"আরবে কেহই গরু কোরবানি করে না। ধর্মের গতি বড় চমৎকার। পাহাড় পর্বত, মরুভূমি সমুদ্র, নদ-নদী ছাড়াইয়া মোসলমান ধর্ম ভারতে আসিয়াছে, সঙ্গে সঙ্গে কোরবানি আসিয়াছে। এদেশে দোম্বা নাই-দোম্বার পরিবর্তে ছাগ, উঠের পরিবর্তে গো, এই হইল শাস্ত্রকারদিগের ব্যবস্থা।"
 
"গরু কোরবানি না হইয়া ছাগলও কোরবানি হইতে পারে। তাহাতেও ধর্ম রক্ষা হয়।"</blockquote>এই প্রবন্ধ লেখার পর মীর মোশারাফ হোসেন প্রবল নিন্দার সম্মুখীন হন। তাঁর নামে ফতোয়া জারি হয়। ধর্মসভা ডেকে তাঁকে কাফের এবং তাঁর স্ত্রীকে হারাম জারি করা হয়। তাঁকে বলা হয় 'তওবা' করতে।
 
ক্ষুব্ধ লেখক প্রথমে একটি মামলা দায়ের করলেও পরে ব্যাপারটি আপসে মিটিয়ে নেন। কিন্তু গো-জীবন এর পরবর্তীকালে আর ছাপা হয়নি।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://subratashuvo.com/2016/05/09/%e0%a6%a7%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%ae%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a7%80%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%86%e0%a6%ac%e0%a7%81%e0%a6%b2-%e0%a6%b9%e0%a7%81/|শিরোনাম=ধর্মবাদীদের হাতে আবুল হুসেনের অপমানিত এবং নিগৃহীত হওয়ার ইতিহাস|শেষাংশ=Shuvo|প্রথমাংশ=Subrata|তারিখ=2016-05-09|ওয়েবসাইট=সুব্রত শুভ এর ব্লগ|ভাষা=en|সংগ্রহের-তারিখ=2020-09-14}}</ref>
 
== বিবাহ ও মৃত্যু ==