'''প্রাণিপ্রাণী''' (ইংরেজি: [[Animal]]) বহুকোষী এবং সুকেন্দ্রিক [[জীব|জীবের]] একটি বৃহৎ গোষ্ঠী। এরা '''অ্যানিম্যালিয়া''' বা '''মেটাজোয়া''' রাজ্যের অন্তর্গত। বয়স কিছুটা বাড়তেই প্রায় সব প্রাণিরপ্রাণীর দেহাবয়ব সুস্থির হয়ে যায়। অবশ্য কিছু প্রাণিকেপ্রাণীকে জীবনের নির্দিষ্ট সময়ে রূপান্তরিত হতেও দেখা যায়। অধিকাংশ প্রাণিইপ্রাণীই চলনক্ষম, অর্থাৎ তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে পারে। অধিকাংশ প্রাণিইপ্রাণীই পরভোজী (Heterotroph), অর্থাৎ তারা জীবন ধারণের জন্য অন্য জীবের উপর নির্ভরশীল।
এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত প্রাচীনতম প্রাণিটিপ্রাণীটি আজ থেকে ৫৪২ মিলিয়ন বছর পূর্বে পৃথিবীতে বাস করতো। [[ক্যামব্রিয়ান বিস্ফোরণ|ক্যামব্রিয়ান বিস্ফোরণের]] সময়ের একটি [[জীবাশ্ম]] আবিষ্কৃত হয়েছে যার মাধ্যমে আমরা এটা জানতে পেরেছি। প্রাণিটিপ্রাণীটি [[জলচর প্রাণী|জলচর]] বলেই [[জীববিজ্ঞানী|জীববিজ্ঞানীরা]] ধারণা করেন পানিতে প্রথম প্রাণিরপ্রাণীর আবির্ভাব ঘটেছে।
== বিনোদনে ব্যবহার ==
{{মূল নিবন্ধ|সার্কাস}}
গত দুই শতাব্দী ধরে আধুনিক [[সার্কাস|সার্কাসে]] অনেক ধরনের [[প্রজাতি|প্রজাতির]] প্রাণিপ্রাণী সার্কাসের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ ও অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। [[বন্য প্রাণী|বন্য প্রাণিপ্রাণী]] বিশেষতঃ [[সিংহ]], [[বাঘ]], [[ভল্লুক|ভল্লুকের]] ন্যায় প্রাণিগুলোকেপ্রাণীগুলোকে সার্কাসে ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়াও [[উট]], [[ঘোড়া]], [[হাতি|হাতিসহ]] গৃহপালিত [[কুকুর|কুকুরও]] এর অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। সাম্প্রতিককালে [[মানুষ|মানুষের]] ধ্যান-ধারনায় পরিবর্তনের ছোঁয়া লক্ষ্য করা যায়। বন্য প্রাণিকেপ্রাণীকে দক্ষতা প্রদর্শনে বাধ্য করানোর ন্যায় কর্মে এর দায়িত্বরত [[প্রশিক্ষক]] প্রয়োজনে রূঢ় আচরণ করছেন। তন্মধ্যে - প্রাণিকেপ্রাণীকে আঘাত করা, [[ইলেকট্রিক শক]] দেয়াসহ অন্য কোন উপায়ে ব্যথা প্রদান করা অন্যতম। এছাড়াও, প্রাণিগুলোকেপ্রাণীগুলোকে সর্বদাই ছোট [[খাঁচা|খাঁচায়]] পুরে সফরে নিয়ে যাওয়া হয়। অনেক দেশের জনগণই সার্কাসে বন্য প্রাণিরপ্রাণীর ব্যবহার দেখতে চায় না।
