রণজিত গুহ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
SimoolSen1998 (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
Bedangshullx (আলোচনা | অবদান)
সংশোধন, সম্প্রসারণ, পরিষ্কারকরণ, তথ্যসূত্র যোগ/সংশোধন
১ নং লাইন:
'''রণজিত গুহ ''' (জন্মঃ ২৩ মে, ১৯২২) দক্ষিণ এশিয়ার একজন ইতিহাসবিদ যিনি ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী নিয়ে ব্যাপক গবেষণা করেছেন,<ref>{{বই উদ্ধৃতি | প্রথমাংশ=Ranajit |শেষাংশ=Guha |শিরোনাম=Subaltern Studies Reader, 1986-1995 |আইএসবিএন=0-8166-2759-2|প্রকাশক=University of Minnesota Press |বছর=1993}}</ref> এবং প্রাচীন জনগোষ্ঠী নিয়ে কাজ করা অনেক সংগঠনের সম্পাদক ছিলেন। ১৯৫৯ সালে তিনি [[ভারত]] থেকে [[ইংল্যান্ড|ইংল্যান্ডে]] পাড়ি জমান, এবং [[সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়|সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ে]] ইতিহাস বিভাগে ''রিডার'' পদে যোগ দেন। বর্তমানে তিনি [[ভিয়েনা]], [[অস্ট্রিয়া|অস্ট্রিয়াতে]] বসবাস করেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি | ইউআরএল = http://www.sai.uni-heidelberg.de/history/download/ranajit_guha_interview_2.2.11.pdf | শিরোনাম = In Search of Transcendence: An Interview with Ranajit Guha | সংগ্রহের-তারিখ = 26 February 2011 | লেখক = Milinda Banerjee | প্রকাশক = [[University of Heidelberg]] | আর্কাইভের-ইউআরএল = https://web.archive.org/web/20150924093607/http://www.sai.uni-heidelberg.de/history/download/ranajit_guha_interview_2.2.11.pdf | আর্কাইভের-তারিখ = ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ | অকার্যকর-ইউআরএল = হ্যাঁ }}</ref>
 
তার রচিত ''Elementary Aspects of Peasant Insurgency in Colonial India'' গ্রন্থটি ব্যাপকভাবে ধ্রুব হিসাবে বিবেচিত।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |পাতা=200 | প্রথমাংশ=Amrita |শেষাংশ=Biswas |শিরোনাম=Research Note on Subaltern Studies |প্রকাশক=Journal of Literature, Culture and Media Studies |বছর=2009}}</ref> বিখ্যাত নোবেলজয়ী বাঙালি অর্থনীতিবিদ [[অমর্ত্য সেন|অমর্ত্য সেনে]]<nowiki/>র মতে, তিনি হলেন "বিশ শতকের সবচেয়ে সৃজনশীল ভারতীয় ঐতিহাসিক"।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://desh.co.in/storydetail/-/deshstory/ranajit-guha-boier-desh-218034|শিরোনাম=রচনাসংগ্রহ প্রথম ও দ্বিতীয় খণ্ড|ওয়েবসাইট=desh.co.in|সংগ্রহের-তারিখ=2020-09-11}}</ref>
 
 
রণজিৎ গুহ এক বিশ্ববন্দিত বাঙালি ইতিহাসবিদ। মূলত ১৯৮০ সালে সাবঅলটার্ন গোষ্ঠীর পুরোধা হিসেবেই তিনি পরিচিত।
 
== পরিচিতি ==
১৯২৩ সালের ২৩ মে, বরিশালের বাখরগঞ্জের সিদ্ধকাটি গ্রামে গুহর জন্ম৷ চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের সূত্রে তালুকদার ছিল তাঁর পরিবার। গুহ-র লিখেছেন, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই শ্রেণি-পরিচিতির গ্লানি তাঁর মনে গেঁড়ে বসে– যার বীজেই তাঁর পরবর্তী জীবনের ইতিহাস-ভাবনার উন্মেষ।
 
কলকাতায় এসে গুহ জড়িয়ে পড়েন কমিউনিস্ট আন্দোলনে। সিপিআই-এর সক্রিয় সদস্য হিসেবে রাজনীতিতে যুক্ত হন। প্রেসিডেন্সি কলেজের ইতিহাস বিভাগের ছাত্র তিনি ১৯৪৭ সালে ডিসেম্বরে প্যারিসে বিশ্ব ছাত্র সম্মেলনেও যোগ দেন। এর পর একে একে সাইবেরিয়া, উত্তর আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও চিন বিপ্লব স্বচক্ষে জরিপ করেন তিনি দলের প্রতিনিধি হিসেবে।
 
১৯৫৬ সালে, বিদেশ থেকে ফেরার কিছু পর, হাঙ্গেরিতে সোভিয়েত অনুপ্রেবেশের বিরোধিতায় তিনি দল ছেড়ে দেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.anandabazar.com/events/poila-baisakh/special-write-up-on-ranajit-guha-a-bengali-historian-by-biswajit-roy-1.597807|শিরোনাম=ধর্ম আসলে ‘ভাল ইতিহাসের নথিখানা’|শেষাংশ=রায়|প্রথমাংশ=বিশ্বজিৎ|ওয়েবসাইট=anandabazar.com|ভাষা=bn|সংগ্রহের-তারিখ=2020-09-11}}</ref> তত দিনে অবশ্য তাঁর লেখালেখি শুরু হয়ে গেছে৷ দলীয় মুখপত্রে 'মেদিনীপুরের লবণশিল্প' নামে একটি লেখা লেখেন। সাহিত্য-সমালোচনাও করেছিলেন এই সময়ে, নীরেন্দ্রনাথ রায়ের ম্যাকবেথ-অনুবাদকে সমালোচনা করেন তিনি। সঙ্গে চলতে থাকে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের পেছনের তাত্ত্বিক ভাবনা নিয়ে তাঁর ধারাবাহিক, অসম্পূর্ণ রচনা।
 
দল ছাড়ার পর গুহ বিদ্যাসাগর কলেজ ও সুশোভন সরকারের আমন্ত্রণে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু কাল পড়ান। তাঁর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত নিয়ে গবেষণার ইচ্ছে থাকলেও নরেন্দ্রকৃষ্ণ সিংহ তাঁকে ছাত্র হিসেবে নেন নি। সিংহ অর্থনৈতিক ইতিহাসের মুখবন্ধ হিসেবে ভাবনার বিবর্তনকে গুরুত্ব দিতে রাজি ছিলেন না।
১৮ ⟶ ১৬ নং লাইন:
বিদ্যায়তনিক কোলাহল থেকে প্রায়-অন্তরিন গুহ ষাটের দশকে বিলেতে কিছু পাঠচক্র চালিয়েছিলেন মাত্র। সত্তরের দশকের শুরুতে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের নকশালপন্থী ছাত্রদের সংস্পর্শে আসেন তিনি। গাঁধী নিয়ে ভাবতে চাইলেও তিনি শেষ পর্যন্ত মন দেন ঔপনিবেশিক কৃষক-সমাজ নিয়ে তাঁর কাজে।
 
== সাবঅল্টার্ন তত্তের প্রবর্তন ও অন্যান্য কাজ ==
১৯৮০ সালে সাবঅলটার্ন তত্ত্ব নিয়ে হাজির হলেন গুহ, পরের বছর থেকে তা অক্সফোর্ড প্রকাশও করতে থাকল। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আলোচনায়, সদ্যনির্মিত সেন্টার ফর স্টাডিজ-এ, বা এক্ষণের মত সাময়িকপত্রে তাঁর ভাবনা প্রকাশিত হল৷ তাঁর মতে, ভারতীয় ইতিহাস-লিখন এক বদ্ধতায় পর্যবসিত হয়েছে। কেন-না, তা উচ্চবর্গকে স্বতঃসিদ্ধ আলোচনা-বিষয় হিসেবে ধরে নেয়। গুহর বিকল্প: নিম্নবর্গের দিকে ইতিহাসকারকে চোখ ফেরাতে হবে৷ তার ব্যক্তিক চৈতন্য, বিদ্রোহী মানস ও আদিসত্তার প্রকরণগুলি আলোকপর্বের গোঁড়ামো কাটিয়ে ইতিহাসবিদকে পড়তে হবে৷
 
২৮ ⟶ ২৭ নং লাইন:
নতুন সহস্রাব্দে তিনি পাড়ি জমালেন ভিয়েনার শহরতলি পুর্কের্সডর্ফে। ২০০৭ থেকে লিখতে শুরু করলেন বাংলায়, যার কেন্দ্রীয় বিষয় ভাবনার ইতিহাস, কখনও সাহিত্য, কখনও দর্শনে চরাচরের সঙ্গে 'আমি'র যে দ্বৈত সংলাপ আলো ফেলেছে। তাঁর মতে, এই মানবিক গুণটি ভারতে প্রকাশ পেয়েছে সাহিত্যে, ইতিহাসে নয়। রামমোহন থেকে বঙ্কিমচন্দ্র, মহাভারত থেকে বিভূতিভূষণের ঋতবাদী ভাবনাই হয়ে উঠল জীবনসায়াহ্নে এই দার্শনিকের বোধের আয়ুধ।
 
== দ্বিভাষিকতা ও বাংলাভাষায় কাজ ==
==গ্রন্থপঞ্জি==
রণজিৎ গুহ বাঙালি চিন্তাবিদদের মধ্যে প্রকৃত দ্বিভাষিকের এক উল্লেখযোগ্য উদাহরণ। আঠারো শতকের গোড়ায় দরিদ্র মলাঙ্গিদের চরম দুর্দশা ও বিদ্রোহ নিয়ে তিনি তাঁর প্রথম ইতিহাস বিষয়ক প্রবন্ধ ‘মেদিনীপুরের লবণশিল্প’ বাংলায় রচনা করেন, যা রমেশচন্দ্র মজুমদার ও নরেন্দ্রকৃষ্ণ সিংহ সম্পাদিত ''ইতিহাস''’ পত্রিকায় ১৯৫৪ সালে প্রকাশিত হয়। তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ, ''এ রুল অফ প্রপার্টি''<nowiki/>' (১৯৬৩), প্রকৃতপক্ষে তাঁর লেখা ''চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের সূত্রপাত'' (১৯৫৭) নামক বাংলা প্রবন্ধের খসড়া থেকেই পরবর্তীকালে জন্মলাভ করে।
 
রণজিৎ গুহ ইংরেজির পাশাপাশি বাংলায় একাধিক প্রবন্ধ রচনা করেছেন বিভিন্ন সময়ে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ''দয়া: রামমোহন রায় ও আমাদের আধুনিকতা'' (২০১০), ''প্রেম না প্রতারণা'' (২০১৩) ইত্যাদি। তাঁর বিভিন্ন লেখায় এসেছে সাহিত্যের বিভিন্ন প্রসঙ্গ, যেমন; কবির নাম ও সর্বনাম (২০০৯), ছয় ঋতুর গান (২০০৯) প্রভৃতি।
 
রণজিৎ গুহের সমস্ত বাংলায় লেখা আনন্দ পাবলিশার্স থেকে দুখণ্ডে সমগ্র আকারে প্রকাশিত হয়েছে। ISBN 9789388870481
 
== গ্রন্থপঞ্জি ==
 
===লেখক===