নারী খৎনা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
চিত্রের লেখা পড়তে বড় করা হলো |
→ব্যাপকতা: তথ্যসূত্র যোগ/সংশোধন |
||
২ নং লাইন:
{{About|নারী খৎনা|পুরুষ খৎনার|খৎনা}}
[[চিত্র:Female Genital Mutilation age 0-14.svg|thumbnail|lang=bn]]
'''নারীর খৎনা''' বা '''নারীর ভগাঙ্কুরচ্ছেদ''', এছাড়াও পরিচিত '''নারী ভগচ্ছেদ''', ''' নারী লিঙ্গাগ্রচ্ছেদ''', '''নারী যৌনাঙ্গ বিকৃতকরণ''' এবং '''নারী যৌনাঙ্গ ছাঁটাই''' নামে, বলতে বোঝানো হয় সে সকল কার্যপ্রণালী যেগুলোতে [[যৌনাঙ্গ#স্ত্রী যৌনাঙ্গ|স্ত্রী যৌনাঙ্গের]] আংশিক বা পুরোপুরি অপসারণ করা হয় অথবা [[সংস্কৃতি|সাংস্কৃতিক]], [[ধর্ম|ধর্মীয়]] বা অন্য কোনো চিকিৎসা বহির্ভূত কারণে নারীর [[যৌন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ|যৌন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের]] ক্ষতি করা হয় বা ক্ষত সৃষ্টি করা হয়। এটি সেই ধরনের কার্যপ্রণালীগুলোর সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ নয় যেগুলো [[আন্তলৈঙ্গিক|আন্তলৈঙ্গিকদের]] জন্যে [[লিঙ্গ প্রতিস্থাপন সার্জারি]] বা [[যৌনাঙ্গ পরিবর্তন|যৌনাঙ্গ পরিবর্তনে]] ব্যবহৃত হয়। এর চর্চা সারা পৃথিবীতেই আছে, কিন্তু প্রধানত [[আফ্রিকা]] ও [[ইন্দোনেশিয়া|ইন্দোনেশিয়াতেই]] এর চর্চা বেশি দেখা যায়। [[বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা]] (WHO) প্রক্রিয়াটিকে চার ভাগে ভাগ করেছে: টাইপ ১, ২, ৩ এবং ৪। তিন নম্বর কার্যপ্রণালীটিকে ঘিরে অনেক বিতর্ক রয়েছে, কারণ এই প্রক্রিয়াটির নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ ও প্রক্রিয়াটির ফলাফল। গত কয়েক [[দশক]] ধরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ছাড়াও বহু স্বাস্থ্য সংস্থা এর চর্চা বন্ধ করতে তাদের
[[জাতিসংঘ বিশ্ব জনসংখ্যা তহবিল]] (UNFPA) ৬ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক নারী যৌনাঙ্গ বিকৃতকরণ বিরোধী দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে।
৩৫ নং লাইন:
টাইপ ২ নারী খৎনাকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এভাবে সংজ্ঞায়িত করেছে- ক্লাইটোরিসের সম্পূর্ণ অপসারণের সাথে লেবিয়া মাইনরার আংশিক বা সম্পূর্ণ অপসারণ। এই ধরনের নারী খৎনাকে "খাফ্দ"-ও বলে, আরবিতে যার অর্থ "হ্রাস"।
=== টাইপ ৩ : অপসারণের সাথে ইনফিবুলেশন ===
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা টাইপ ৩ নারী খৎনাকে সংজ্ঞায়িত করেছে যে, বর্হিযৌনাঙ্গের অংশ বিশেষ বা পুরো বর্হিযৌনাঙ্গের অপসারণ এবং যোনিদ্বারকে সেলাই বা চিকন করে ফেলা (ইনফিবুলেশন)। এটি নারী খৎনার সবচেয়ে মারাত্নক রূপ এবং জরিপে দেখা যায় এটি সকল নারী খৎনার প্রায় ১৫%। ইনফিবুলেশনকে ''ফারাওনিক খৎনা'' বা নামেও পরিচিত।
৪৭ নং লাইন:
সুদানে ৩০০ জন নারী ও ১০০ জন পুরম্নষের মধ্যে পাঁচ বছর ব্যাপী এক পর্যবেক্ষণে দেখা গিয়েছে যে নারীরা এই মারাত্নক যৌনাঙ্গ বিকৃতকরণের শিকার হয়েছিলেন তাদের মধ্যে বেশিরভাগ যৌনাকাঙক্ষা, সুখ এবং [[অর্গাজম]] বা শীর্ষসুখের অভিজ্ঞতা লাভ করেছেন, এদতসত্ত্বেও তারা তাদের এই অনুভূতিগুলো তাদের সংস্কৃতিতে তারা লুকিয়ে রাখতে বাধ্য। এই প্রক্রিয়াটির সমর্থকেরা এটি চালিয়ে যাবার পক্ষপাতি কারণ তারা এটিকে আদর্শ সুন্দরের অনুগামীতা বলে মনে করে এবং এটি পশ্চিম থেকে অনেক আলাদা। অনেক ইনফিবুলেটেড নারী মত দেয়, এই প্রক্রিয়াটির কারণে তাদের সঙ্গীরা যে সুখ লাভ করবে তা সুনির্দিষ্টভাবে একটি সফল বিবাহিত জীবন ও আনন্দপূর্ণ যৌন জীবনের অংশ।
=== টাইপ ৪ : অন্যান্য প্রক্রিয়া ===
অন্যান্য রূপগুলো যৌথভাবে টাইপ ৪ হিসেবে উল্লেখ্য এবং এটার সাথে কোন রকমের টিশ্যু অপসারন জড়িত নয়। এটির সাথে বিভিন্ন সীমা চর্চার জড়িত, যেমন: ভগাঙ্কুরে সূচ ফোটানো, যৌনাঙ্গ পুড়িয়ে ফেলা বা ক্ষত সৃষ্টি করা সেই সাথে যোনি চিরে বা ছিড়ে ফেলা অথবা যোনির ভিতরে তৃণলতা প্রবেশ করানো যাতে রক্তপাত হয় এবং যোনিদ্বার চিকন হয়। টাইপ ৪-এর চর্চা প্রাথমিকভাবে কিছু বিচ্ছিন্ন নৃ-তাত্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে দেখা যায়, সেই সাথে অন্যান্য টাইপের সাথে একত্রেও দেখা যায়।
৫৬ নং লাইন:
অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ধারণায় প্রতি বছর প্রায় ১৩০ মিলিয়ন (১৩ কোটি) নারী এই নারী খৎনার কোন না কোনো একটি প্রক্রিয়া দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছে ।
বর্তমানে নারী যৌনাঙ্গ ছাটাই-এর চর্চা প্রধানত আফ্রিকান দেশগুলোতেই হয়। এটা একটি সাধারণ বলয় যার বিস্তৃতি পশ্চিম আফ্রিকার সেনেগাল থেকে পূর্ব উপকূলের ইথিওপিয়া, সেই সাথে উত্তরে মিশর থেকে দক্ষিণে তানজানিয়া পর্যন্ত। এছাড়াও আরব উপদ্বীপের কিছু গোষ্ঠীর মধ্যেও এটির চর্চা দেখা যায়। যে সমস্ত দেশে নারী খৎনার ব্যাপকতা সবচেয়ে বেশি সেগুলো হলো [[মিশর]], সেই সাথে [[সুদান]], [[ইথিওপিয়া]] ও [[মালি]]-
নারী খৎনার চর্চা যখন আফ্রিকানদের মাঝে বিশ্বাসের জোরে প্রকাশ্যে ও ব্যাপকভাবে হচ্ছে, তখন মধ্যপ্রাচ্যের কিছু অংশে এটির চর্চা হচ্ছে গোপনীয়তার সাথে। বিশেষ করে আরবদের মধ্যে (আফ্রিকান শিষ্টাচারসম্মত নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীগুলো যারা ইনফিবুলেশনকে অধিকতর শ্রেয় মনে করে) সাধারণত ''সুন্না'' লিঙ্গাগ্রচ্ছেদ বা খৎনা সম্পাদিত হয়। চর্চাটি সাধারণত ঘটে থাকে বিশেষত উত্তর সউদি আরব, দক্ষিণ জর্ডান ও ইরাকে। সাম্প্রতিক কালে ইরাকের হাসিরা গ্রামের একটি পর্যবেক্ষণে দেখা যায় যে, ৬০% নারী ও বালিকা বলেছেন যে তারা এই প্রক্রিয়াটির শিকার হয়েছিলেন। পর্যবেক্ষণের আগে সেখানে এই প্রক্রিয়াটির কোন শক্ত প্রমাণ পাওয়া যায় নি। সেখানে আরো কিছু আনুষাঙ্গিক প্রমাণ আছে যা বলে, নারী খৎনার চর্চা সিরিয়া, পশ্চিম ইরান এবং দক্ষিণ তুরস্কেও আছে। ওমানে কিছু সমাজে এখনো নারী খৎনার চর্চা আছে; বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বিশ্বাস করেন এসব ক্ষেত্রে এগুলোর সংখ্যা কম এবং তা বাৎসরিকভাবে হ্রাস পাচ্ছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সউদি আরবে এটির চর্চা মূলত সেসকল বিদেশী শ্রমিকদের মাঝে যারা পূর্ব আফ্রিকা ও নীল উপত্যকা থেকে এসেছে।
৬২ নং লাইন:
এটির চর্চা আরো আছে দক্ষিণ আমেরিকার কিছু নৃ-তাত্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে এবং খুব কম সংখ্যায় ভারতে (দাঊদি বহ্রা গোষ্ঠীতে)। ইন্দোনেশিয়ার মুসলিম নারীদের মধ্যে মোটামুটি ভাবে এটির চর্চা খুব সাধারণ। অবশ্য আফ্রিকার সাথে তুলনা করলে প্রায় সবই টাইপ ১ ও ৪। ৪ নম্বর টাইপটি সাধারণত নির্দেশ করে প্রতিকীভাবে সূচ ফোটানোকে যা রক্ত বের করার জন্য করা হয়।
অভিবাসনের মাধ্যমে এটির চর্চা ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া এবং আমেরিকাতেও ছড়িয়ে
== সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় রূপ ==
|