কান্তনগর মন্দির: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Areafin tawfiq (আলোচনা | অবদান)
ইতিহাস বিষয়ে অতিরিক্ত তথ্য যোগ
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
Areafin tawfiq (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
২৩ নং লাইন:
 
== স্থাপত্য ==
মন্দিরের বাইরের দেয়াল জুড়ে পোড়ামাটির ফলকে লেখা রয়েছে [[রামায়ণ]], [[মহাভারত]] এবং বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনী। মন্দিরটি এমন একটি স্থাপত্য যার সর্বাঙ্গ মূর্তি দ্বারা বেষ্টিত। দেয়ালের উভয়পৃষ্ঠের ইটগুলি রক্তবর্ণ পোড়ামাটির  কারুকার্যের ফলক দিয়ে তৈরি। মন্দিরটিতে ১২ টি দরজা রয়েছে। মন্দিরের উত্তর দেয়ালে রাম-রাবণের ঘটনা, দক্ষিণে চণ্ডী বা কালীদেবীর যুদ্ধকান্ডের ঘটনা ফুটে তোলা হয়েছে। মন্দিরের চার দেয়ালে চিত্রিত হয়েছে রামায়ণ ও মহাভারতের কাহিনী। দক্ষিণ দেয়ালের নিচ থেকে প্রথম সারির টেরাকোটাগুলো পৌরাণিক চিত্র কিন্তু দ্বিতীয় সারির চিত্রগুলো মোঘল রাজত্বের বিভিন্ন ঘটনা। তৃতীয় সারিতে বৈদিক ও পৌরাণিক কাহিনী অলংকৃত। মন্দিরটির চার দেয়ালে ভাস্কর্যের চিত্র যেন চার খন্ডের মহাকাব্য। । পুরো মন্দিরে প্রায় ১৫,০০০-এর মতো টেরাকোটা টালি রয়েছে।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=তিন তরুনের কান্তজী উদ্ধার |লেখক=মামুন আব্দুল্লাহ |বিন্যাস=মুদ্রণ |এজেন্সি= |সংবাদপত্র=দৈনিক প্রথম আলো |প্রকাশক= |অবস্থান=ঢাকা |তারিখ=মে ৩০, ২০০৩ |পাতা=২৫ |সংগ্রহের-তারিখ=জুন ১৯, ২০১০ |ভাষা=বাংলা}}</ref> উপরের দিকে তিন ধাপে উঠে গেছে মন্দিরটি। মন্দিরের চারদিকের সবগুলো খিলান দিয়েই ভেতরের দেবমূর্তি দেখা যায়। মন্দির প্রাঙ্গণ আয়তাকার হলেও, পাথরের ভিত্তির উপরে দাঁড়ানো ৫০ ফুট উচ্চতার মন্দিরটি বর্গাকার। নিচতলার সব প্রবেশপথে বহু খাঁজযুক্ত খিলান রয়েছে। দুটো ইটের স্তম্ভ দিয়ে খিলানগুলো আলাদা করা হয়েছে, স্তম্ভ দুটো খুবই সুন্দর এবং সমৃদ্ধ অলংকরণযুক্ত। মন্দিরের পশ্চিম দিকের দ্বিতীয় বারান্দা থেকে সিঁড়ি উপরের দিকে উঠে গেছে। মন্দিরের নিচতলায় ২১টি এবং দ্বিতীয় তলায় ২৭টি দরজা-খিলান রয়েছে, তবে তৃতীয় তলায় রয়েছে মাত্র ৩টি করে।
 
==টেরাকোটা==
টেরাকোটায় অংকিত চিত্রগুলো – মোঘল সম্রাটের নৌবিহার, রাজ্যভিজান, আলবোলা পানরত মোঘল সম্রাট, কুর্নিশ গ্রহণরত শাহানশাহ, ময়ুরপঙ্খি রাজকীয় নৌযান, সজ্জিত হস্তি, অস্তযুথ। বৈদিক ধর্মের দেবদেবী-ব্রহ্মা, শিব, বিষ্ণু, গণেশ, সূর্য, চণ্ডী, মেনকা, পার্বতী ছাড়াও রথ, শিকল, শঙ্খ, ঘন্টা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
 
পৌরাণিক চিত্রগুলো ছাড়াও নারী ও পুরুষ, দেবতা ও কিন্নর, যোদ্ধা ও শিকারী, গায়ক ও বাদক, ডাব আহরণরত কৃষক, ভাড়সহ গোয়ালা, বিশ্রামরত গৃহিণী, নৌকার মাঝি, গাছপালা, ফলমূল, লতাপাতা, কোরক ও হীরাপান্না ইত্যাদি।
 
চিত্রফলকগুলোর আয়তর ও আকার বিভিন্ন সাইজের হলেও দেখে মনে হয় চিত্রফলকগুলো যেন অখন্ড। সর্বনিম্ন ৬ ইঞ্চি হতে সর্বোচ্চ ২০ ইঞ্চি আকারের ফলক বিদ্যমান।
 
মন্দিরের সমগ্র অংশের অসাধারণ শিল্পকর্মের মধ্যে রয়েছে ইউরোপীয় বণিক মূর্তি, ফিরিঙ্গিদের ব্যবসা বাণিজ্যের চিত্র, ১৫ টি দস্যুপ্রকৃতির ইউরোপীয় বণিক মূর্তি। উত্তর দেয়ালে বম্বেটে দস্যুসম্বলিত জাহাজ রয়েছে। দক্ষিণ দেয়ালের পূর্বাংশের কার্নিশের নিচ থেকে বারান্দার উচ্চতা পর্যন্ত কিছু সৈনিক দ্বারা বিভিন্ন ভংগিতে নারীদের ধর্ষণের চিত্র অংকিত যা মন্দিরের পবিত্রতার অসংগতি। ধারণা করা হয়,এটি লংকা যুদ্ধের নারীদের প্রতি সহিংসতার ঘটনা চিত্রিত হয়েছে<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://runwaybirds.com/bn/archives/2615|শিরোনাম=কান্তমন্দির|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=|সংগ্রহের-তারিখ=}}</ref>।
 
==কলকাতা বইমেলায় প্যাভিলিয়ন==