লাইলাতুল মেরাজ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
নাম সংশোধন
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
Preetidipto.21 (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
২৩ নং লাইন:
অতঃপর জিবরাইল (আ.) আমাকে নিয়ে তৃতীয় আসমানের দ্বারে পৌঁছিলেন এবং দরজা খুলতে বললেন। তথায়ও পূর্বের ন্যায় কথোপকথনের পর শুভেচ্ছা স্বাগত জানিয়ে দরজা খোলা হল। ভিতরে প্রবেশ করে [[ইউসুফ]] (আ.)-এর সাক্ষাৎ পেলাম । জিবরাইল (আ.) আমাকে তাঁর সাথে পরিচয় করিয়ে সালাম করতে বললেন; আমি তাঁকে সালাম করলাম তিনি সালামের উত্তর দান করত আমাকে “সুযোগ্য ভ্রাতা ও সুযোগ্য নবী” বলে মোবারকবাদ জানালেন । অতঃপর আমাকে নিয়ে জিবরাইল চতুর্থ আসমানের নিকটে পৌঁছিলেন এবং দরজা খুলতে বললেন। সেখানেও পূর্বের ন্যায় প্রশ্নোত্তরের পর শুভেচ্ছা স্বাগত জানিয়ে দরজা খোলা হল । ভিতরে প্রবেশ করে আমরা তথায় [[ইদ্রিস]] (আ.)-এর সাক্ষাৎ পেলাম । জিবরাইল(আ:) আমাকে তাঁর পরিচয় করিয়ে সালাম করতে বললেন। আমি তাঁকে সালাম করলাম। তিনি সালামের উত্তর দিলেন এবং “সুযোগ্য ভ্রাতা ও সুযোগ্য নবী” বলে আমাকে মারহাবা জানালেন। অতঃপর জিবরাইল আমাকে নিয়ে পঞ্চম আসমানে পৌঁছিলেন এবং দরজা খুলতে বললেন। এই স্থানেও পূর্বের ন্যায় প্রশ্নোত্তর চলার পর শুভেচ্ছ ও মোবারকবাদ দানের সাথে দরজা খোলা হল। আমি ভিতরে পৌঁছিয়া [[হারুনুর রশিদ|হারুন]] (আ.)-এর সাক্ষাৎ পেলাম জিবরাইল আমাকে তাঁর পরিচয় দানে সালাম করতে বললেন। আমি সালাম করলাম। তিনি আমার সালামের উত্তর দিলেন এবং “সুযোগ্য ভ্রাতা ও সুযোগ্য নবী” বলে আমাকে খোশ আমদেদ জানালেন। তারপর জিবরাইল আমাকে নিয়ে ষষ্ঠ আসমানের দরজায় পৌঁছিলেন এবং দরজা খুলতে বললেন । এস্থানেও পরিচয় জিজ্ঞাসা করা হলে জিবরাইল স্বীয় পরিচয় দান করলেন, অতঃপর সঙ্গে কে আছে জিজ্ঞাস করা হল। তিনি বললেন, মুহাম্মদ (সা.); বলা হল, তাঁকে তো নিয়ে আসার জন্য আপনাকে পাঠান হয়েছিল? জিব্রাঈল বললেন, হাঁ। তৎক্ষণাৎ শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়ে দরজা খোলা হল। তথায় প্রবেশ করে [[মূসা|মুসা]] (আ.)-এর সাক্ষাৎ পেলাম । জিবরাইল(আ:) আমাকে তাঁর পরিচয় জ্ঞাত করে সালাম করতে বললেন। আমি তাঁকে সালাম করলাম। তিনি সালামের উত্তর প্রদান করলেন এবং “সুযোগ্য ভ্রাতা ও সুযোগ্য নবী” বলে আমাকে মোবারকবাদ জানালেন। যখন আমি এই এলাকা ত্যাগ করে যাইতে লাগলাম তখন মুসা (আ.) কাঁদছিলেন । তাঁকে কাঁদিবার কারণ জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেন, আমি কাঁদতেছি এই কারণে যে, আমার উম্মতে বেহেশত লাভকারীর সংখ্যা এই নবীর উম্মতের বেহেশত লাভকারীর সংখ্যা অপেক্ষা কম হবে অথচ তিনি বয়সের দিক দিয়ে যুবক এবং দুনিয়াতে প্রেরিত হয়েছেন আমার পরে। তারপর জিবরাইল(আ:) আমাকে নিয়ে সপ্তম আসমানের প্রতি আরোহণ করলেন এবং তার দ্বারে পৌঁছিয়া দরজা খুলতে বললেন । এস্থনেও পূর্বের ন্যায় সকল প্রশ্নোত্তরই হল এবং দরজা খুলে শুভেচ্ছা ও স্বাগত জানান হল। আমি ভিতরে প্রবেশ করলাম। তথায় [[ইব্রাহিম|ইবরাহিম]] (আ.)-এর সাক্ষাৎ লাভ হল। জিবরাইল আমাকে বললেন, তিনি আপনার (বংশের আদি) পিতা, তাঁকে সালাম করুন। আমি তাঁকে সালাম করলাম। তিনি আমার সালামের উত্তর দিলেন এবং “সুযোগ্য পুত্র, সুযোগ্য নবী” বলে মারহাবা ও মোবারকবাদ জানালেন ।
 
অতঃপর আমি সিদরাতুল মোনতার নিকট উপনীত হলাম। (তা এক বড় প্রকাণ্ড কূল বৃক্ষবিশেষ) তার এক একটা কুল হজর অঞ্চলে তৈয়ারি (বড় বড়) মটকার ন্যায় এবং তার পাতা হাতীর কানের ন্যায়। জিবরাইল আমাকে বললেন, এই বৃক্ষটির নাম “[[সিদরাতুল মুনতাহা]]”। তথায় চারটি প্রবাহমান নদী দেখতে পেলাম-- দুইটি ভিতরের দিকে প্রবাহিত এবং দুইটি বাইরের দিকে। নদীগুলির নাম সম্পর্কে আমি জিবরাইলকে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, ভিতরের দুইটি বেহেশতে প্রবাহমানপ্রবহমান (সালসাবিল ও কাওসার নামক) দুইটি নদী। আর বাহিরের দিকে প্রবাহমানপ্রবহমান দুইটি হল (ভূ-পৃষ্ঠের মিসরে প্রবাহিত) [[নীল]] ও (ইরাকে প্রবাহিত) [[ফোরাত]] ([[নদী]] বা তাদের নামের মূল উৎস)। তারপর আমাকে “[[বায়তুল মা’মুর]]” পরিদর্শন করান হল। তথায় প্রতিদিন (এবাদতের জন্য) সত্তর হাজার [[ফেরেশতা]] উপস্থিত হয়ে থাকেন (যে দল একদিন সুযোগ পায় সেই দল চিরকালের জন্য দ্বিতীয় দিন সুযোগ প্রাপ্ত হয় না)।
 
অতঃপর (আমার সৃষ্টিগত স্বভাবের স্বচ্ছতা ও নির্মলতা প্রকাশ করে দেখাইবার উদ্দেশে পরীক্ষার জন্য) আমার সম্মুখে তিনটি পাত্র উপস্থিত করা হল। একটিতে ছিল সুরা বা মদ,অপরটিতে ছিল দুগ্ধ, আরেকটিতে মধু আমি দুগ্ধের পাত্রটি গ্রহণ করলাম। জিবরাইল(আ:) বললেন, দুগ্ধ সত্য ও খাঁটি স্বভাগত ধর্ম ইসলামের স্বরুপ; (সুতরাং, আপনি দুগ্ধের পাত্র গ্রহণ করে এটাই প্রমাণ করেছেন যে,) আপনি সত্যও স্বভাবগত ধর্ম ইসলামের উপর প্রতিষ্ঠিত আছেন এবং আপনার উসিলায় আপনার উম্মতও তার উপর থাকবে।