রশিদ উদ্দিন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
তথ্যছক
পরিষ্কারকরণ
৯৩ নং লাইন:
 
== জীবন ও সঙ্গীত ==
বাউল সাধক রশিদ উদ্দিন ছোটবেলা থেকেই ছিলেন আত্নভোলা।আত্মভোলা। তাই বড় ভাইয়েরবড়ভাইয়ের নিকট বাল্য শিক্ষাবাল্যশিক্ষা পাঠ ছাড়া কোনকোনো বিদ্যালয়ে তার লেখাপড়া হয়নি। রশিদ উদ্দিন ১৫/১৬ বছর বয়সে পার্শ্ববর্তী পুখুরিয়া গ্রামের টাকনা মিস্ত্রীরমিস্ত্রির সান্নিধ্যে এসে একটু একটু করে একতারা বাজিয়ে বাউলগান শিখতে শুরু করেন। তখন বাহিরচাপড়া গ্রামে কৃষ্ণলীলা গান শুরু হয়। রশিদ উদ্দিন কৃষ্ণের অভিনয় করে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেন। এ সময় পার্শ্ববর্তী বাংলা বেতাটিসহ সর্বত্র কবিগানের ব্যাপক প্রসার ছিল। দুর্গাপূজা, কালীপূজা, দোলপূজাসহ হিন্দু ধর্মীয় বিভিন্ন আচার -অনুষ্ঠানে কবি গানকবিগান ছিল অত্রাঞ্চলেএ অঞ্চলে এক বিশেষ আকর্ষণ। পাশাপাশি টিপু পাগলের নেতৃত্বাধীন পরিচালিতনেতৃত্বে ১৮২৭ সনে পরিচালিত ফকির বিদ্রোহের ব্যর্থতার পর লেংটাল্যাংটা ফকিরদের জলসা ছিল নিত্য দিনেরনিত্যদিনের ব্যাপার। তখন বাহিরচাপড়া গ্রামে কিশোরগঞ্জের কঠিয়াদীকটিয়াদি থেকে এক লেংটাল্যাংটা পীরের আগমন ঘটে। ১৯০৯ সনে রশিদ উদ্দিন এ লেংটাল্যাংটা শাহের শিষ্যত্ব গ্রহণ করে নিজ বাড়িতে হাল্কা হালকা-জিকিরের জলসায় মেতে উঠেন।ওঠেন। বাউল জলসায়সাধক বাংলাররশিদ দীনাউদ্দিন মাঝিতাঁর বড় পুখুরিয়ারছেলে টকনাআরশাদ মিস্ত্রীউদ্দিনের ছিলদুই রশিদেরবছর নিত্যবয়সে রাতেরতাকে সাথী।মৃত্যুশয্যায় নেত্রকোণাররেখে প্রখ্যাতহঠাৎ বাউলএকরাতে কবিগৃহত্যাগ [[জালালকরেন। খাঁ]]গৃহত্যাগী তখনহয়ে রশিদতিনি উদ্দিনেরপ্রথমে বাড়িতেআসেন লজিংতাঁর থেকেওস্তাদ নেত্রকোণাকটিয়াদির স্কুলেল্যাংটা লেখাপড়াশাহের করতেন।আখড়ায়। জালালসেখান খাঁথেকে তখনতিনি থেকেইল্যাংটা রশিদশাহকে উদ্দিনেরসাথে নিকটনিয়ে বাউলচলে গানেরযান তালিমআসামের নেয়ালাউরের শুরুপাহাড়ে। করেন।এক বাউলবছর সাধকসেখানে রশিদঅবস্থানের উদ্দিনপর তারচলে বড়আসেন ছেলেসিলেটের আরশাদশাহ উদ্দিনেরপরানের দুইমাজারে। বছর বয়সের সময় ছেলেকে মৃত্যু শয্যায় রেখে হঠাৎ রাতে গৃহত্যাগ করেন। তখন রশিদ উদ্দিনেরউদ্দিন গৃহত্যাগেরআধ্যাত্মিক সংবাদসাধনা পেয়ে জালালবাউলতত্ত্বের খাঁচর্চায় ১৯২৮গভীরভাবে সনেরমনোনিবেশ মার্চকরেন। মাসেপ্রভূত একআত্মিক পুত্রউৎকর্ষএকতত্ত্বজ্ঞান কন্যাকেলাভের সিংহেরপর গ্রামস্থ শ্বশুরালয়ে রেখে বালুয়াখালীর সিদ্দিক জমাদারেরতিনি বাড়িতে এসেফিরে রশিদআসেন। উদ্দিনেরতখন গৃহত্যাগেরতিনি অথ্যভাত সগ্রহপূর্বকখাওয়া সন্ধানেছেড়ে বের হনদেন এবং দীর্ঘদুই নয়বছর মাসশুধু পরদুধ রশিদ উদ্দিনকেরুটি শারফিনেরখেয়ে মাজারেথাকেন। খুঁজেএই বেরসময় করেন।তিনি জালালদিনে খাঁদুইবার শারফিননামাজ থেকেপড়তেন, রশিদফজরের উদ্দিঙ্কে সঙ্গেমাগরিবের নিয়েনামাজ। বালুয়াখালীপরিধান ফিরেকরতেন আসেন।সবুজ রশিদরঙের উদ্দিনপানজাবি তখন থেকেলুঙ্গি। প্রায়তাঁর দুইস্ত্রীর বছরমতে ভাতগরুর খাওয়ামাংস ছেড়েছিল দেন।রশিদ তখনউদ্দিনের তিনিপ্রিয় শুধুখাবার। দুধতার সাথে রুটিকাঁচামরিচ খেতেন।খেতে রশিদপছন্দ উদ্দিনেরকরতেন। পড়াশোনা উদাসীকরতেন ভাবপুরাতন দেখেপুঁথি, বাউলবই, কবিমনীষীদের [[জালালজীবনী, খাঁ]]কোরআন-হাদিস, স্থায়ীভাবেবেদ-মহাভারতসহ রশিদেরনানা সঙ্গেধরনের থাকারধর্মগ্রন্থ। জন্যপারিবারিক সিদ্দিকসূত্রে জমাদারেরজানা মেয়েরযায়, সঙ্গে পরিণয়সময়ে সূত্রেতিনি বাড়ির আবদ্ধসামনের হনপুকুরপাড়ে এবং জালালপিছনে খাঁকামরাঙা রশিদেরগাছের শিষ্যরূপেতলায় বাউল সাধনায়সারাদিন মনোনিবেশআধ্যাত্মিক করেন।বিষয়ে তাইবয়ান [[জালালদিতেন। খাঁ]]সেইসাথে রশিদচলত উদ্দিনের অন্যতম সহকর্মীগানসাগরেদ।হালকা-জিকির।"
 
রশিদ উদ্দিনের অবস্থা তখন পাগল প্রায়। মানুষ-মানবদেহ-প্রকৃতি সৃষ্টিরহস্য, গুরু সাধন, নিঘোর তত্ত্ব, আত্না-পরমাত্না বিষয়ক চিন্তা তার হৃদয়কে ব্যাকুল করে তোলে। তখন রশিদ উদ্দিনের বাড়ি বৈঠকী বাউলগানের এক আখড়ায় পরিণত হয়। গান ছিল তখনকার সার্বজনীন বিষয়। কবি গানে সাধারণত হিন্দু শাস্ত্রের মহাভারত, রামায়ণ, গীতা কেন্দ্রিক দুই কবির মধ্যে কবিতার ছন্দে প্রশ্ন ও উত্তর চলত। আর জারিগান ছিল জংগনামার পুঁথি ও শহীদি কারবালা ভিত্তিক দুই বয়াতির তর্কানুষ্ঠানের মাধ্যমে দলবদ্ধ গান। কবিগান ছিল হিন্দু শাস্ত্র এবং জারি গান ছিল মুসলিম দর্শন ভিত্তিক। এ কবি গান ও বয়াতিদের শাস্ত্রভিত্তিক বিতর্ক প্রতিযোগিতা রশিদ উদ্দিনকে বাউল গানে বিভিন্ন তত্ত্ব ভিত্তিক সুর ছন্দে ও সুললিত ভাষায় তর্কানুষ্ঠানে
উৎসাহিত করে। এ লক্ষ্যে রশিদ উদ্দিনের বাড়ি আস্তে আস্তে বাউল তত্ত্ব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পরিণত হয়। এ কেন্দ্রে সহযোগী হিসেবে খালিয়াজুরী থানার বাউল সাধক [[উকিল মুন্সী]], মোহনগঞ্জ থানার হাসলার চান খাঁ, মদন থানার হাজরাগাতির পিতাম্বর রবিদাস সক্রিয়ভাবে অংশ নেন।
 
{{অসম্পূর্ণ}}