জেমা ফ্রিজিয়াস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
১৬ নং লাইন:
১৫৩৩ সালে, তিনি প্রথমবার জরিপ বা ''সার্ভে'' করার কাজে তার বিখ্যাত ত্রিভূজায়নের(ট্রায়াঙ্গুলেসন) পদ্ধতির প্রচলন করেন যা আজও ব্যবহার হয় (চিত্রটি দেখুন)।এই পদ্ধতিতে একটি ভূমিরেখা বা ''বেসলাইন'' স্থাপন করে, (উদাঃ, এক্ষেত্রে ব্রাসেলস এবং অ্যান্টওয়ার্প শহরের সংযোগকারী রেখা) অন্যান্য শহরের অবস্থান (যেমন, মিডেলবার্গ, গেন্ট ইত্যাদি) নির্ণয় করা যায়। কোনো নির্দিষ্ট শহরের অবস্থান নির্ণয় করার জন্য একটি কম্পাস-এর সাহায্যে ভূমিরেখার দুই প্রান্ত থেকেই এক এক করে দিকনির্দেশ গ্রহণ করা হয় ও দুই প্রান্ত থেকেই দুটি দিকনির্দেশকারী রেখা অঙ্কন করা হয়। যেখানে দুটি রেখা পরস্পরকে ছেদ করছে সেখানেই অনুসন্ধানকারী শহরের অবস্থান চিহ্নিত করা হয়। এটি ত্রিভূজায়নের ধারণার একটি তাত্বিক উপস্থাপনা মাত্র-অবস্থানভিত্তিক বিধিনিষেধের কারণে ব্রাসেলস বা অ্যান্টওয়ার্প থেকে মিডেলবার্গকে দেখা অসম্ভব। তবুও, এই ধারণাটি শীঘ্রই পুরো ইউরোপ জুড়ে প্রসিদ্ধ হয়ে ওঠে।
 
এর বিশ বছর পর ১৫৫৩ সালে, কিভাবে একটি নির্ভুল ঘড়ি ব্যবহার করে দ্রাঘিমাংশ নির্ণয় করা সম্ভব সেই সম্পর্কে তিনিই প্রথম আলোকপাত করেন।<ref>There is no English biography of Van der Heyden (or Gaspar a Myrica c1496—c1549) but he has an entry in the Dutch [http://resources.huygens.knaw.nl/retroboeken/nbwv/#source=1&page=314&view=pdfPane&size=634&accessor=accessor_index Nationaal Biografisch Woordenboek].</ref>জিন-ব্যাপটিস্ট মরিন (১৫৮৩-১৬৫৬) কোনোভাবেই বিশ্বাস করতে চাননি যে দ্রাঘিমাংশ নির্ণয়ে ফ্রিজিয়াসের পদ্ধতি কার্যকর হবে। এই ব্যাপারে তার একটি উদ্ধৃতি খুব বিখ্যাত যেখানে তিনি বলেছিলেন যে,"আমি জানি না যে শয়তান দ্রাঘিমাংশ নির্ণয়কারী সময়যন্ত্র তৈরি করতে সক্ষম কিনা তবে মানুষের চেষ্টা করা বোকামি।"।<ref>{{cite web|url=http://www-groups.dcs.st-and.ac.uk/~history/PrintHT/Longitude1.html |title=Longitude1 |publisher=Groups.dcs.st-and.ac.uk |date= |accessdate=2013-03-19}}</ref> ঘটনাচক্রে এর ঠিক দুই দশক পরে জন হ্যারিসন একটি পর্যাপ্ত নির্ভুল ঘড়ি বা ''সাফিসিয়েন্টলি অ্যাকুরেট ক্লক'' প্রস্তুত করেন।করতে সক্ষম হন।
 
[[File:Ringsundial_open.jpg|thumb|left|জেমা'স রিংস]]
<ref>{{cite web|url=http://www-groups.dcs.st-and.ac.uk/~history/PrintHT/Longitude1.html |title=Longitude1 |publisher=Groups.dcs.st-and.ac.uk |date= |accessdate=2013-03-19}}</ref>
ফ্রিজিয়াস ক্রস-স্টাফ, জ্যোতির্বিজ্ঞান এবং জ্যোতির্বিদ্যা সংক্রান্ত রিং ("জেমা'স রিংস" নামে পরিচিত) সহ অনেক নতুন যন্ত্রের আবিষ্কার ও উন্নতিসাধন করেছিলেন। তার ছাত্রদের মধ্যে উল্লেখ্য, জেরার্ডাস মারকেটর (যিনি তার সহযোগী হয়েছিলেন), জোহানেস স্টাডিয়াস, জন ডি, আন্দ্রেস ভেসালিয়াস এবং রেমবার্ট ডডোয়েন্স।
 
৪৬ বছর বয়সে লুভেনে তার দেহান্ত হয়। তার সন্তান কর্নেলিয়াসের এক বিবরণ অনুসারে তিনি কমপক্ষে ৭ বছর ধরে কিডনির পাথরের সমস্যায় ভুগছিলেন এবং তাতেই তিনি মারা যান।<ref>{{cite web|url=http://www-groups.dcs.st-and.ac.uk/~history/PrintHT/Longitude1.html |title=Longitude1 |publisher=Groups.dcs.st-and.ac.uk |date= |accessdate=2013-03-19}}</ref>
 
বর্তমানকালে চাঁদের একটি ক্রেটার তার নামে নামাঙ্কিত। ষোড়শ শতাব্দীর বৈজ্ঞানিক ও আবিস্কারক গিয়ালেরাস আরসেনিয়াস ছিলেন তার ভাগ্নে।
 
==উল্লেখযোগ্য কাজ==