কফি হাউসের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
RakibHossain (আলোচনা | অবদান)
→‎পটভূমি: সম্প্রসারণ
RakibHossain (আলোচনা | অবদান)
২৯ নং লাইন:
১৯৮৩ সালের দিকে, গীতিকার [[গৌরী প্রসন্ন মজুমদার]] তখন প্রচুর হিট প্রেমের গান লিখে ফেলেছেন। কিন্তু তখনো তিনি মান্না দের জন্য পূজার গান লিখতে পারেননি। কারন, ঔ সময় মান্না দের জন্য পূজার গান সবই লিখতেন কেবল [[পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়]]। তবে গীতিকার [[গৌরী প্রসন্ন মজুমদার|গৌরী প্রসন্নের]] মনে মান্না দের জন্য পূজার গান লেখার খুব আক্ষেপ ছিল।
 
এর কিছুদিন পর গীতিকার [[গৌরী প্রসন্ন মজুমদার]], শক্তি ঠাকুরকে দিয়ে একটি গান তোলার জন্য একদিন [[নচিকেতা ঘোষ|নচিকেতা ঘোষের]] নিউ আলিপুরের বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেই সময় গানের সেরা জুটি ছিলেন [[নচিকেতা ঘোষ]] ও [[গৌরী প্রসন্ন মজুমদার]] তাদের মধ্যকার সম্পার্কও ছিল বেশ মুধুর, সেই সূত্রে [[নচিকেতা ঘোষ|নচিকেতার]] ছেলে সুপর্ণকান্তির সঙ্গেও [[গৌরী প্রসন্ন মজুমদার|গৌরী প্রসন্ন মজুমদারের]] বেশ ভাল সম্পর্ক ছিল। [[গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার|গৌরী প্রসন্ন]], [[নচিকেতা ঘোষ|নচিকেতার]] বাড়িতে আসার বেশ অনেকক্ষণ পরে [[নচিকেতা ঘোষ|নচিকেতার]] ছেলে সুপর্ণকান্তিকেসুপর্ণকান্তির সাথে দেখতেসাক্ষাত পেয়েহওয়াতে [[গৌরী প্রসন্ন মজুমদার]] অনেকটা মজা করেই সুপর্ণকান্তিকে বলেন, ''কী বাইরে আড্ডা মেরেমেরেই সময় কাটাচ্ছ'' বুঝি?
উত্তরে সুপর্ণকান্তি তার [[গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার|গৌরী]] কাকাকে বলেন, ''কী সব গদগদে প্রেমের গান লিখছো একটা অন্যরকম গান লিখে দেখাও না, এই আড্ডা নিয়েও তো গান লিখতে পারো।''
 
জবাবে [[গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার|গৌরী প্রসন্ন]] বলেন, তুমি(সুপর্ণকান্তি) তো অক্সফোর্ডের এমএ হয়ে গিয়েছো। আড্ডা নিয়ে কি আর বাংলা গান গাইবে?
সুপর্ণ এবার বলে, কেন নয়। কফি হাউসের আড্ডা নিয়েও তো একটা গান লিখতে পারো।
গৌরী প্রসন্ন এবার বলেন, তোমার বাবা ([[নচিকেতা ঘোষ]]) কি আর সে গান গাইবেন? তাদের দুজনের কথারবার্তার ফাকেইফাঁকেই [[গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার|গৌরী প্রসন্ন]] এরই মধ্যে মনে মনে তৈরি করে ফেলেন গানের দুটি লাইন।
 
এরপরেই সুপর্ণকান্তিকে বললেন, লিখে নাও- ''কফি হাউসের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই/ কোথায় হারিয়ে গেল সোনালি বিকেলগুলো সেই''। সুপর্ণও সঙ্গে সঙ্গে সেই গানের দুটো লাইনেই সুর দিয়ে শুনিয়ে দেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত শক্তি ঠাকুর গানটি সুপর্ণকে সেবার পূজায় গানটা গাওয়ার জন্য অনুরোধ জানালেওকরেন কিন্তু সুপর্ণ তাতে রাজি হননি। তিনি সঙ্গে সঙ্গেই ঠিক করে নিয়েছিলেন যে গানটি মান্না দে কে দিয়ে গাইবার কথা।
 
কিন্তু গানের বাকি লাইনগুলো তখন অসম্পূর্ণ ছিল, পরের দিন সকালেই গৌরী প্রসন্নের স্ত্রী সুপর্ণকান্তিকে ফোন দিয়ে বলেন, সারা রাত জেগে বহুদিন পরে গান লিখেছেন অসুস্থ গৌরী প্রসন্ন। তখন তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। দু’দিন পরে গানটা নিয়ে হাজির। কিন্তু শেষ স্তবক যোগ করার পক্ষপাতী ছিলেন না গৌরী প্রসন্ন। কিন্তু সুপর্ণকান্তি চান যোগ করুন আর একটি স্তবক।