বেলিজের ইতিহাস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
তথ্যসূত্র সংশোধন ট্যাগ: ২০১৭ উৎস সম্পাদনা |
IqbalHossain (আলোচনা | অবদান) সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন:
{{কাজ চলছে|লক্ষ্য এবার লক্ষ}}
[[বেলিজ|বেলিজের]] ইতিহাস হাজারো বছরের
১৮৬২ সালে এর নাম হয় "ব্রিটিশ হন্ডুরাস উপনিবেশ।"১৮৭১ সালে উপনিবেশটি মহারানির শাসনের অধীন হয়। অতঃপর প্রতিনিধিত্বমূলক সরকারব্যবস্থা সৃষ্টিতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়। ১৯৬৪ সালে ব্রিটিশ সরকার একে একটি "আধা-সরকার"ব্যবস্থা প্রবর্তনের অনুমতি দেয়। ১৯৭৩ সালের জুনে ব্রিটিশ হন্ডুরাসের নাম পাল্টিয়ে "বেলিজ" করা হয়। ১৯৮১ সালের ২১শে সেপ্টেম্বর দেশটি পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://2009-2017.state.gov/r/pa/ei/bgn/1955.htm|শিরোনাম=Belize|ওয়েবসাইট=U.S. Department of State|সংগ্রহের-তারিখ=2020-08-30}}</ref>
==মায়া সভ্যতা==
ইয়ুকাতান উপদ্বীপের নিম্নভূমি ও দক্ষিণের উঁচুভূমিতে ত্রিশ লক্ষ বছর আগে মায়া সভ্যতার উৎপত্তি হয়। এ এলাকাটি বর্তমানে দক্ষিণপূর্ব [[মেক্সিকো]], [[গুয়াতেমালা]], পশ্চিম [[হন্ডুরাস]] ও বেলিজের অংশ। পাঁচশ বছর ধরে এ অঞ্চলগুলোতে ইউরোপীয়রা আধিপত্য বিস্তার করলেও মায়া সংস্কৃতির প্রভাব এখনো সম্পূর্ণ দূরীভূত হয়নি। ২,৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে খাদ্য অন্বেষণকারী জাতিগুলো কৃষিকাজ ও শস্য উৎপাদনের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ শুরু করে। ২৫০০ খ্রিস্টপূর্ব থেকে ২৫০ খ্রিস্টাব্দে মায়া সভ্যতার মৌলিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ভিত্তি গড়ে ওঠে। ২৫০ খ্রিস্টাব্দে মায়া সভ্যতার ধ্রুপদি যুগের সূচনা ঘটে। এসময় তারা উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছায়।<ref name="loc.gov">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.loc.gov/collections/country-studies/about-this-collection/|শিরোনাম=About this Collection {{!}} Country Studies {{!}} Digital Collections {{!}} Library of Congress|ওয়েবসাইট=Library of Congress, Washington, D.C. 20540 USA|সংগ্রহের-তারিখ=2020-08-30}}</ref>
বেলিজীয় মায়া সভ্যতার উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের ইতিহাসের অনেকটা জায়গাজুড়ে রয়েছে কারাকোল। মায়া অভিজাতদের ভাষা চোলতিয়ানে লেখা অনেক শিলালিপি সেখানে পাওয়া গেছে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.journals.uchicago.edu/doi/10.1086/300142|শিরোনাম=The Language of Classic Maya Inscriptions|শেষাংশ=Houston|প্রথমাংশ=Stephen|শেষাংশ২=Robertson|প্রথমাংশ২=John|শেষাংশ৩=Stuart|প্রথমাংশ৩=David|তারিখ=2000-06-01|সাময়িকী=Current Anthropology|খণ্ড=41|সংখ্যা নং=3|পাতাসমূহ=321–356|
কৃষকরা সেচভিত্তিক কৃষিব্যবস্থা, "জ্বালাও ও পোড়াও" (Slash and Burn) সহ নানা পদ্ধতি অবলম্বন করে কৃষিকাজ করতেন। তাদের উৎপাদিত খাদ্য ছিল মায়া সভ্যতার কারিগর, যোদ্ধা ও পুরোহিতদের বেঁচে থাকার অন্যতম অবলম্বন। মায়া সভ্যতায় পুরোহিতরা জটিল গাণিতিক পদ্ধতিতে সময়গণনার এক অনন্য কৌশল আবিষ্কার করেন।
মায়ানরা মৃৎশিল্প ও নির্মাণশিল্পে বিশেষ পারদর্শিতা প্রদর্শন করে। তাছাড়া পালক ব্যবহার করে নানা রকম সাজপোশাক তৈরিতেও সুনিপুণ ছিল।
মায়া সভ্যতার ধ্রুপদী যুগে বেলিজে চার থেকে দশ লক্ষ মানুষ বসবাস করত। কৃষিকাজের জন্য উপযুক্ত সকল এলাকাতেই তারা বসতি স্থাপন করেছিল। কিন্তু দশম শতাব্দীতে মায়া সভ্যতার দ্রুত পতন ঘটে। মায়ানদের পতনের পেছনে কোন সুনির্দিষ্ট কারণ চিহ্নিত করা যায় না। ঐতিহাসিকদের ধারণা, অনেকগুলো জটিল ঘটনাপ্রবাহ মায়া সভ্যতাকে একসময় ধ্বংসের মুখে পতিত করে।<ref
==আদি ঔপনিবেশিক যুগ==
ষোড়শ ও সপ্তদশ শতাব্দীতে বেলিজে ইউরোপীয় বসতি স্থাপনের সময়ও অনেক মায়ান এখানে বসবাস করত। স্পেনীয়রা গুয়াতেমালা ও হন্ডুরাস দখল করার জন্য সৈন্য প্রেরণ করে। ১৫২৭ সালে ইয়ুকাতান দখলের জন্য অভিযান শুরু হয়। সপ্তদশ শতাব্দীতে স্পেনীয় ধর্মযাজকরা মায়ানদের নিয়ন্ত্রণ ও ধর্মান্তরিত করার জন্য মিশনারি চার্চ প্রতিষ্ঠা করে।
বেলিজ উপকূলে জলদস্যুদের উপদ্রব ক্রমশ বাড়তে থাকে। ১৬৪২ ও ১৬৪৮ সালে জলদস্যুরা দক্ষিণ ইয়ুকাতানে অবস্থিত স্পেনীয় সরকারের সদর দপ্তর "সালামানকা দি বাকালার"-এ প্রচুর লুটপাট চালায়। ১৭২৯ সালে বাকালার শহরকে নতুনভাবে গড়ে তোলা হয়।
২৪ নং লাইন:
==তথ্যসূত্র==
{{সূত্র তালিকা}}
|