মোঃ আব্দুস সাত্তার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
Sabab Ador (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন:
'''মোঃ আব্দুস সাত্তার''' [[যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়|যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের]] উপাচার্যসাবেক ছিলেন।উপাচার্য। তিনি পর পর দুই মেয়াদে উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে বর্তমানে তার পুরাতন কর্মস্থল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশের ফলিত রসায়ন ও রাসায়নিক প্রকৌশল বিভাগে ফিরে গেছেন।
==ব্যক্তিজীবন==
প্রফেসর সাত্তার ১৯৫৭সালের ৫ই ফেব্রুয়ারি যশোর জেলার মণিরামপুর থানার চন্ডীপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মরহুম ইব্রাহিম এবং মাতা মরহুমা নূরজাহান বেগম। ১৯৯০ সালে তিনি যশোরের সম্ভ্রান্ত পরিবারের কন্যা নাসিমা আখতারের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। স্ত্রী, দুই পুত্র-ওয়াসেক সাত্তার আবীর এবং ওয়াসিফ সাত্তার নিবিড়কে নিয়ে তার ছোট্ট পরিবার।
 
প্রফেসর ড. আব্দুস সাত্তারের শিক্ষাজীবন শুরু হয়েছিলো পিতৃভূমি মণিরামপুরেই। রাজগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১৯৭৩সালে তিনি বিজ্ঞান বিভাগ থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন, এরপর যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজ থেকে ১৯৭৫সালে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কৃতিত্বের সাথে পাস করেন। পরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগ থেকে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন তিনি। অসাধারণ একাডেমিক ফলাফলের কল্যাণে ভারত সরকারের বিশেষ শিক্ষাবৃত্তি নিয়ে তিনি পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন; এবং পরবর্তীতে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পোস্ট-ডক্টরাল গবেষণা সম্পন্ন করেন।
==কর্মজীবন ==
অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার কর্মজীবন শুরু করেন ১৯৮৯ সালে। চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন বিভাগে প্রভাষক হিসাবে যোগদান করেন তিনি, পরে ১৯৯২ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন এবং ১৯৯৪ সালে সহকারী অধ্যাপক হিসাবে পদোন্নতি লাভ করেন। ১৯৯৬ সালে তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক হিসাবে ফলিত রসায়ন ও রাসায়নিক প্রযুক্তি বিভাগে শিক্ষকতা শুরু করেন। এরপর ১৯৯৮ সালে সহযোগী অধ্যাপক পদে এবং ২০০২ সালে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি লাভ করেন।
 
কর্মজীবনে প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুস সাত্তার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সবকটি প্রশাসনিক পদ অলংকৃত করেছেন। চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. কে. কে. হলের সহকারী প্রভোস্ট, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন্নাহার হলের হাউস টিউটর, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর, খালেদা জিয়া হলের প্রভোস্ট, ফলিত রসায়ন ও রাসায়নিক প্রযুক্তি বিভাগ এবং বায়োটেকনোলজি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডীন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ড. সাত্তার চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন সহকারী অধ্যাপক ক্যাটাগরীতে। কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে প্রগতিশীল শিক্ষকদের প্যানেল থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়ে সদস্যপদে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্বের মেয়াদকাল সফলতার সাথে সম্পন্ন করেছেন। এছাড়াও অধুনালুপ্ত বি.আই.টি শিক্ষক ফেডারেশনের কোষাধ্যক্ষের দায়িত্বও অত্যন্ত সুনামের সাথে পালন করেছেন তিনি।
==যবিপ্রবিতে উন্নয়নযজ্ঞ==
 
২০০৯সালে প্রফেসর আব্দুস সাত্তারের উপর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারারের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। ট্রেজারারের দায়িত্ব গ্রহণের মাত্র ২৭দিনের মাথায় ২০০৯সালের ৭ই এপ্রিল গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মরহুম জিল্লুর রহমান, প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুস সাত্তারকে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেন। ২০১৩সালে অধ্যাপক আব্দুস সাত্তারের উপর আস্থা রেখে পুনরায় তাকে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিযুক্ত করা হয়; আওয়ামীলীগের ২০০৯সাল থেকে রাষ্ট্রপরিচালনার সময়কালে যা ছিলো প্রথম ঘটনা। টানা দুই মেয়াদে আটবছর যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে ২০১৬সালের ৭ই এপ্রিল উপাচার্য হিসেবে ড. আব্দুস সাত্তারের মেয়াদকাল শেষ হয় <ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://campuslive24.com/khulna-campus/454/%E0%A6%8F%E0%A6%95-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%AD%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%96%E0%A7%80-%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A6%BF |শিরোনাম=এক নিভৃতচারী, প্রচারবিমুখী ভিসি |ভাষা=bengali |কর্ম=http://campuslive24.com |অবস্থান=Dhaka |প্রকাশক=Azhar Mahmood |তারিখ=2016-10-20 |সংগ্রহের-তারিখ=2016-10-20 }}</ref>। তিনি উপাচার্য থাকাকালীন যবিপ্রবিতে নির্মিত হয়েছে নয়তলা বিশিষ্ট অনুষদ ভবন, দুইটি আবাসিক হল, শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের জন্য নির্মিত দশতলা বিশিষ্ট দুইটি এবং পাঁচতলা বিশিষ্ট দুইটি আবাসিক ভবন, উপাচার্য মহোদয়ের সরকারি বাসভবন, ক্যাফেটেরিয়া, মসজিদ, পাঁচতলা বিশিষ্ট নজরকাড়া প্রশাসনিক ভবন, ছয়তলা বিশিষ্ট গ্রন্থাগার, ছয়তলা বিশিষ্ট মেডিকেল সেন্টার, শহীদ মিনার এবং ভাস্কর্য অদম্য '৭১। তারই তারই ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ২০১৫সালে যবিপ্রবি পেয়েছে ২৮৩কোটি টাকার বিশাল উন্নয়ন প্রকল্প <ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://samakal.com/todays-print-edition/tp-lokaloy/article/1512179005/%E0%A6%89%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A7%9F%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%AF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E-%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%B0-%E0%A6%85%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%AF%E0%A6%B6%E0%A7%8B%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%93-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%9F |শিরোনাম=উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ শুরুর অপেক্ষায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় |ভাষা=Bengali |কর্ম=The Daily Samakal |অবস্থান=Dhaka |প্রকাশক=এ কে আজাদ |তারিখ=2015-12-11 }}</ref>
প্রফেসর সাত্তার বেশকিছু সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের কর্মকান্ডের সঙ্গেও সরাসরি জড়িত। এর ভেতর বাংলাদেশ রসায়ন সমিতির আজীবন সদস্য তিনি, সোসাইটি ফর ফার্মাসিউটিক্যালস অফ প্রফেশন্যালস এর কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি, এবং বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশন অফ এ্যাডভান্স সাইন্সের আজীবন সদস্য।
==রাজনীতি সম্পৃক্ততা==
অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতাকাল থেকেই মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শিক্ষকদের সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। পরবর্তী সকল কর্মস্থলেই তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগপন্থী শিক্ষকদের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে শিক্ষকতা করেন। ২০০৭ এর পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্রেফতার হলে তার মুক্তির দাবিতে প্রথম শিক্ষক হিসেবে আবেদনপত্রে স্বাক্ষর করেন। বিভিন্ন সময় তিনি পরোক্ষভাবে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন।
==গবেষণা কাজ==
শিক্ষকতার পাশাপাশি অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার একজন সফল গবেষক হিসেবেও দারুণ সুনাম কুড়িয়েছেন। বেশকিছু গবেষণা প্রকল্পের পরিচালকের দায়িত্ব সফলতার সাথে পালন করেছেন তিনি। অনেক শিক্ষার্থী তার তত্ত্বাবধানে এম. ফিল ও পি.এইচ.ডি ডিগ্রী অর্জন করেছেন। বেশকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পি.এইচ.ডি থিসিসের পরীক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন এবং বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বশীল পদে থেকে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রায় সত্তরটির মত গবেষণাপত্র রয়েছে তার।
 
যবিপ্রবির উপাচার্যের দায়িত্ব পালন শেষে ড. আব্দুস সাত্তার ফিরে গিয়েছেন তার পুরনো কর্মস্থল কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে। বর্তমানে ফলিত রসায়ন ও রাসায়নিক প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে নিয়মিত শিক্ষকতা করছেন তিনি। একই সাথে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত থেকে সমাজসেবামূলক কর্মকান্ডে জড়িত আছেন তিনি।
শিক্ষকতার পাশাপাশি অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার একজন সফল গবেষক হিসেবেও দারুণ সুনাম কুড়িয়েছেন। বেশকিছু গবেষণা প্রকল্পের পরিচালকের দায়িত্ব সফলতার সাথে পালন করেছেন তিনি। অনেক শিক্ষার্থী তার তত্ত্বাবধানে এম. ফিল ও পি.এইচ.ডি ডিগ্রী অর্জন করেছেন। বেশকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পি.এইচ.ডি থিসিসের পরীক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন এবং বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বশীল পদে থেকে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রায় সত্তরটির মত গবেষণাপত্র রয়েছে তার।
যবিপ্রবির উপাচার্যের দায়িত্ব পালন শেষে ড. আব্দুস সাত্তার ফিরে গিয়েছেন তার পুরনো কর্মস্থল কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে। বর্তমানে ফলিত রসায়ন ও রাসায়নিক প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে নিয়মিত শিক্ষকতা করছেন তিনি।
==তথ্যসূত্র==
{{সূত্র তালিকা}}