অতুলপ্রসাদ সেন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
সংশোধন
Habib Rabbi (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা
২১ নং লাইন:
 
==বিবাহ ও লন্ডনের প্রবাস জীবন==
১৮৯২ খ্রিষ্টাব্দে ব্যারিস্টারী ডিগ্রী লাভের উদ্দেশ্য নিয়ে [[আইন]] পড়তে অতুলপ্রসাদ [[লন্ডন |লণ্ডনে]] গমন করেন। কিছুদিন পর বড়মামা কৃষ্ণগোবিন্দ গুপ্ত সেখানে গেলে মামাতো বোন হেমকুসুমের মঙ্গে অতুলপ্রসাদের প্রেম হয় এবং তিনি হেমকুসুমকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। তখন ভারতবর্ষের আইনে ভাই-বোনে এরকম বিয়ে গ্রহণযোগ্য ছিল না। আর এ ব্যাপারে পরিবারের পক্ষ থেকে ওঠে প্রবল আপত্তি। অতুলপ্রসাদ তার সিদ্ধান্তে অটল থাকলেন। আইনজ্ঞ ব্যারিস্টার অতুলপ্রসাদ তার কর্মগুরু সত্যেন্দ্রপ্রসন্ন সিংহের পরামর্শক্রমে স্কটল্যান্ড গমন কনে যেখানে এরূপ বিবাহ আইনসিদ্ধ ছিল। স্কটল্যান্ডে গিয়ে ১৯০০ খ্রিষ্টাব্দে মামাতো বোন হেমকুসুমকে বিয়ে করেন অতুলপ্রসাদ।
 
বিলেতে পসার জমাতে পারেন নিপারেননি অতুলপ্রসাদ। এসময় মারাত্মক অর্থকষ্টের মোকাবিলা করতে হয়। দুটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয় যার মধ্য একজনের অকাল মৃত্যু হয়। ১৯০২ খ্রিষ্টাব্দে তিনি জীবিত সন্তান দিলিপকুমুরকে নিযে ভারতে তথা কলকাতায় প্রত্যাবর্তন করেন। এ সময় আত্মীয়-স্বজনরা কেউ তাদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনি।<ref name="anandabazar.com">[http://www.anandabazar.com/supplementary/rabibashoriyo/%E0%A6%95-%E0%A6%9A-%E0%A6%9B-1.18116 আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন ৬ এপ্রিল ২০১৪]</ref>
 
এ বিয়ে শেষাবধি সুখের হয় নি। লখনউ বসবাস কালে অতুলপ্রসাদের মা হেমন্তশশীর দ্বিতীয় স্বামী দুর্গামোহনের মৃত্যু হয়। দুর্গামোহনের মৃত্যুর পর হেমন্তশশী লখনউ চলে আসের পুত্রের সংসারে। এসময় শ্বাশুড়ি বৌমার বিসম্বাদ শুরু হয়। পরিণতিতে স্বামী-স্ত্রীর ছাড়াছাড়ি। ছাড়াছাড়ি মিটিয়ে একসঙ্গে থাকার চেষ্টাও সফল হয় নি। হেমন্তশশী ও হেমকুসুমের দ্বন্দ্ব্ব মেটেনি কখনো। হেমন্তশশীর মৃত্যুর পর ঘরে তার ফটো টাঙানো ছিল। তা সরিয়ে ফেলার দাবী তোলেন হেমকুসুম। কিন্তু মায়ের ছবিকে এভাবে অসম্মান করতে নারাজ অতুলপ্রসাদ। এবার হেমকুসুম চিরকালের জন্য স্বামীর ঘর ছেড়ে গেলেন, আর প্রত্যাবর্তন করেন নি।<ref name="anandabazar.com"/>