ইবনে রুশদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্প্রসারণ
সম্প্রসারণ
৩ নং লাইন:
| caption = স্পেনের করদোবায় ইবনে রুশদ এর প্রতিকৃতি
| name = {{transl|ar|DIN|ইবনে রুশদ}} ({{lang|ar|ابن رشد}})<br /><small>Averroes</small>
| fullname = {{transl|ar|DIN|ʾআবু আই'ল -ওয়ালিদ মুহাম্মদ ইবনে আহমদ ইবনে রুশদ}}
| birth_date = {{জন্ম তারিখ|1126|4|14|mf=yes}}
| birth_place = [[কর্ডো‌বা]], [[আন্দালুস]], [[আলমোরাভি খিলাফত]] (বর্তমানে [[স্পেন]])<ref>Liz Sonneborn: ''Averroes (Ibn Rushd):He is an Arab, Muslim scholar, philosopher, and physician of the twelfth century'', The Rosen Publishing Group, 2005 ({{আইএসবিএন|1404205144}}, {{আইএসবিএন|978-1-4042-0514-7}}) p.31 [http://books.google.fr/books?hl=en&lr=&id=iIjayOIulPcC&oi=fnd&pg=PA6&dq=almoravid+empire&ots=VcSooWeLJk&sig=ZGoSsYzemRX4QOGriYn3xNzUKmI&redir_esc=y#v=onepage&q=almoravid%20empire&f=false]</ref><ref name="ReferenceA">{{harvard citation|Leaman|2002|p=27}}</ref><ref>{{harvard citation|Fakhry|2001|p=1}}</ref>
১৫ নং লাইন:
| influences =[[এরিস্টটল]], [[আলেক্সান্ডার অব অফরোহিসিয়াস]], [[ফিলোপোনাস]], [[আল ফারাবী]], [[ইবনে খালদুন]], [[ইবনে যোহর]]
| influenced = [[সিগার ডি ব্রাবান্ত]], [[বোয়েটিয়াস অব ডাসিয়া]], [[থমাস হাহাপগে]], [[ইহা উটের]]<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.h-net.org/reviews/showrev.cgi?path=227091077594594 |শিরোনাম=H-Net Reviews |প্রকাশক=H-net.org |তারিখ= |সংগ্রহের-তারিখ=2012-10-13 |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20071009022604/http://www.h-net.org/reviews/showrev.cgi?path=227091077594594 |আর্কাইভের-তারিখ=২০০৭-১০-০৯ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref> [[বারুখ স্পিনোজা]]<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://carlosfraenkel.com/wordpress/wp-content/uploads/2011/07/Spinoza_on_Philosophy_and_Religion_The_Averroistic_Sources.pdf |শিরোনাম=Spinoza on Philosophy and Religion: The Averroistic Sources |সংগ্রহের-তারিখ=৭ জুলাই ২০১৪ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20131203022000/http://carlosfraenkel.com/wordpress/wp-content/uploads/2011/07/Spinoza_on_Philosophy_and_Religion_The_Averroistic_Sources.pdf |আর্কাইভের-তারিখ=৩ ডিসেম্বর ২০১৩ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref>
| notable_ideas = ইসলামের সাথে সাংস্কৃতিক হাজারদর্শনের সামঞ্জস্যবিধান
}}আবুল ওয়ালিদ মুহাম্মাদ ইবন আহমাদ ইবন রুশদ(আরবিঃأبو الوليد محمد ابن احمد ابن رشد‎, ১৪ এপ্রিল ১১২৬- ১১ ডিসেম্বর, ১১৯৮) ল্যাটিনকৃত নাম আভিরোস( Latinized: Averroes) একজন [[মুসলিম]] [[আন্দালুস|আন্দালুসীয়]] [[বহুবিদ্যাবিশারদ]] এবং আইনবিদ যিনি [[দর্শন]] [[ধর্মতত্ত্ব]] [[চিকিৎসা বিজ্ঞান|চিকিৎসাবিজ্ঞান]] [[জ্যোতির্বিজ্ঞান]] [[পদার্থবিজ্ঞান]] [[মনোবিজ্ঞান]] [[গণিত|গনিত]] [[ফিকহ|ইসলামি আইনশাস্ত্র]] এবং [[ভাষাবিজ্ঞান]]<nowiki/>সহ বহু বিষয়ে লিখেছেন।তিনি শতাধিক বই এবং গবেষণাপত্রের রচয়িতা।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://archive.aramcoworld.com/issue/200303/doctor.philosopher.renaissance.man.htm|শিরোনাম=Saudi Aramco World : Doctor, Philosopher, Renaissance Man|ওয়েবসাইট=archive.aramcoworld.com|সংগ্রহের-তারিখ=2020-07-28}}</ref> তার দর্শন সংক্রান্ত কাজের মধ্যে আছে অ্যারিস্টটলের উপর বেশ কিছু ব্যাখ্যাগ্রন্থ, যে কারণে তিনি পাশ্চাত্যে ''ব্যাখ্যাদাতা(The Commentator)'' এবং ''যুক্তিবাদের জনক'' হিসেবে পরিচিত।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/647042713|শিরোনাম=Andalucía : a cultural history|শেষাংশ=Gill, John (John Joseph)|তারিখ=2009|প্রকাশক=Oxford University Press|অবস্থান=Oxford|আইএসবিএন=9780195376104|oclc=647042713}}</ref> ইবন রুশদ [[আলমোহাদ খিলাফত|আলমোহাদ খেলাফতের]] রাজসভার চিকিৎসক এবং প্রধান বিচারপতির দায়িত্বে বহুদিন কাজ করেছেন।
 
২৬ নং লাইন:
== জীবনীঃ ==
 
=== শৈশব ও শিক্ষাজীবনঃশিক্ষাজীবন ===
[[চিত্র:AverroesColor.jpg|alt=ইবন রুশদ, ১৪শ শতক|থাম্ব|240x240পিক্সেল|চতুর্দশ শতকের একটি চিত্রকর্মে ইবন রুশদ]]
মুহম্মদ ইবন আহমাদ ইবন রুশদ ১৪ এপ্রিল, ১১২৬ সালে(৫২০ হিজরী) স্পেনের [[কর্দোবা|কর্ডোবা]]<nowiki/>য় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পরিবার শহরের লোকপ্রসাশন সংক্রান্ত কাজ, বিশেষত বিচার ও ধর্মীয় বিষয়ে জড়িত থাকার কারণে সুপরিচিত ছিলো। তাঁর পিতামহ আবুল ওয়ালিদ মুহম্মদ (মৃত্যুঃ১১২৬)আল মোরাভি কর্ডোবার প্রধান বিচারপতি(কাজি) একর্ডোবার কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম ছিলেন।তাঁর পিতা আবিল কাসিম ও পরবর্তীতে কর্ডোবার প্রধান বিচারপতি ছিলেন,১১৪৬ সালে [[আলমোহাদ খিলাফত|আল-মোহাদ]] রাজবংশ আল-মোরাভিদের স্থলাভিষিক্ত হলে তাকে পদচ্যুত করা হয়।
৩২ নং লাইন:
তার জীবনীকারদের মতে ইবন রুশদের শিক্ষা ছিলো অনন্যসাধারণ। [[হাদিস|হাদিসশাস্ত্র]](নবী মুহম্মদ সা. এর আদর্শ) হতে শুরু করে, [[ফিকহ]](ইসলামী বিচারব্যবস্থা), [[চিকিৎসা বিজ্ঞান|চিকিৎসাবিজ্ঞান]] এবং [[ধর্মতত্ত্ব]] বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা নিয়েছিলেন।তিনি [[মালিকি|মালিকি ফিকহ]] শিখেছিলেন আবু মুহম্মদ ইবন ইযক এর কাছে, হাদিসশাস্ত্রের পাঠ নিয়েছেন তাঁর পিতামহের এক শিষ্যের কাছে। তাঁর পিতামহও তাকে ফিকহ এর জ্ঞান দিয়েছিলেন, বিশেষ করে [[ইমাম মালিক|ইমাম মালিকের]] সর্বশ্রেষ্ঠ কর্ম ''[[মুয়াত্তা ইমাম মালিক|মুয়াত্তা]]''র পাঠ দিয়েছিলেন। তিনি আবু-জা'ফর জারিম আল-তাজাইল এর নিকট চিকিৎসার জ্ঞান লাভ করেন, যিনি সম্ভবত তাঁকে [[দর্শন]] এর দীক্ষাও দিয়েছেন। তিনি দার্শনিক [[ইবনে বাজা|ইবন বাজা]] এর লেখনীর সম্পর্কেও অবগত ছিলেন, খুব সম্ভবত তার সাথে ব্যক্তিগতভাবে পরিচিত ছিলেন অথবা তাঁর ছাত্রত্বেও থেকে থাকতে পারেন। তিনি নিয়মিতই [[সেভিল]] এ অনুষ্ঠিত দার্শনিক, চিকিৎসাবিদ ও কবিদের সভায় উপস্থিত থাকতেন, এ সভা সেসময়কার বিখ্যাত দার্শনিক [[ইবনে তুফায়েল|ইবন তুফায়েল]] ও চিকিৎসাবিদ ইবন যুহর অংশগ্রহণ করতেন। তিনি [[আশআরী|আশ'আরী]] মতের [[কালাম]] [[ধর্মতত্ত্ব]] পড়েছিলেন, যার সমালোচক হিসেবে পরবর্তী জীবনে তিনি অবতীর্ণ হন।
 
=== কর্মজীবনঃকর্মজীবন ===
[[চিত্র:Almohad Expansion.png|alt=ইবন রুশদের কর্মক্ষেত্র; আল-মোহাদ খেলাফতের সীমানা|থাম্ব|188x188পিক্সেল|আল-মোহাদ খেলাফতের বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক কাজে ইবন রুশদ অংশগ্রহণ করেছিলেন। খেলাফতের বিভিন্ন সময়কার সীমানার চিত্র এখানে প্রদর্শিত।]]
১১৫৩ সাল নাগাদ ইবন রুশদ আল-মোহাদ খেলাফতের রাজধানী [[মারাক্কেশ]] এ অবস্থান করছিলেন। কারণ নব্য প্রতিষ্ঠিত খেলাফতের নতুন কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ও মসজিদ নির্মাণ কাজে কিছু জ্যোতির্বিদ্যা সংক্রান্ত হিসাব নিকাশে তার কাজ করতে হচ্ছিলো। তিনি জ্যোতির্বিদ্যার সমসাময়িক গানিতিক নিয়ম গুলো নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না , তাই নতুন কিছু ভৌত সূত্র এর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছিলেন। তবে তাঁর এ প্রচেষ্টা তখন ব্যর্থ হয়। সম্ভবত মারাক্কেশে অবস্থানকালীন সময়ে তিনি বিখ্যাত দার্শনিক, ''হায়্যি ইবন ইয়াকযান'' এর রচয়িতা [[ইবনে তুফায়েল|ইবন তুফায়েল]] এর সাথে দেখা হয়েছিলো। ইবন তুফায়েলও তখন মারাক্কেশে রাজসভার চিকিৎসক ছিলেন। তাঁদের দুজনার মতভিন্নতা থাকলেও তাঁরা একে অপরকে বন্ধুত্বে বরণ করেছিলেন।
৫৭ নং লাইন:
 
=== ধর্মতাত্ত্বিক কাজ ===
এনসাইক্লোপিডিয়া অব ইসলাম সহ অন্যান্য একাডেমিক উৎসগুলোতে ইবন রুশদের ধর্মতত্ত্ব বিষয়ে তিনটি প্রধান কাজের উল্লেখ পাওয়া যায়।১১৭৮ সালের একটি গবেষণামূলক প্রবন্ধ ''ফাসল আল-মাকাল''( মীমাংসামূলক পত্র ) যেটা ইসলাম এবং দর্শনের পারস্পরিক সমঝোতা নিয়ে আলোচনা করে। আল-কাশফ'আন মানাহিজ আল-আদিলাহ("প্রমাণের পদ্ধতির আলোচনা"), যেটা ১১৭৯ সালে লিখিত, [[আশআরী|আশ'আরী]] ধর্মতত্ত্ব নিয়ে সমালোচনা করে এবং ইবন রুশদ এখানে সৃষ্টিকর্তা সংক্রান্ত স্বীয় প্রমাণ উপস্থাপন করেন, তার সাথে সৃষ্টিকর্তার গুণাবলি সম্পর্কে তার নিজের মতামত দেন। ১৮৮০ সালে লিখিত তাহাফুত আল-তাহাফুত(অসংলগ্নতার অসংলগ্নতা) তাঁর বিখ্যাত কর্ম; যা [[আবু হামিদ আল-গাজ্জালি|আল-গাযালি]]<nowiki/>র দর্শনের সমালোচনামূলক গ্রন্থ তাহাফুত আল-ফালাসিফা (দার্শনিকদের অসংলগ্নতা) এর প্রতি প্রত্যুত্তর হিসেবে লিখিত হয়। ''তাহাফুত আল-ফালাসিফা'' মূলত [[ইবনে সিনা|ইবন সিনা]], [[আল ফারাবী|আল-ফারাবি]] প্রভৃতি মুসলিম দার্শনিকের প্রতি উদ্দেশ্য করে তীব্র সমালোচনা হিসেবে লিখিত হয়। এ কর্মে ইবন সিনার নিও-প্লাটোনিস্ট চিন্তাধারার ও সমালোচনা করেন ইবন রুশদ , কিছু ক্ষেত্রে আল-গাযালির ইবন সিনার সমালোচনার সাথে তাঁকে একমত হতে দেখা যায়। d
 
=== চিকিৎসাশাস্ত্র ===
ইবন রুশদ আল-মোহাদ খিলাফতের সভায় রাজচিকিৎসক পদে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন, এবং এর সুবাদে বেশ কিছু চিকিৎসা সংক্রান্ত গবেষণাপত্র লিখেছেন। এর মধ্যে সর্বাধিক জনপ্রিয় হচ্ছে তাঁর ''আল-কুল্লিয়াত ফিত-তিব''("চিকিৎসার সাধারণ নীতিমালা", পাশ্চাত্যে ল্যাটিনকৃত নাম ''কলিজেট''[The Colliget] নামে পরিচিত)। এ বই ১১৬২ সাল নাগাদ লেখা হয়েছিলো, তাঁর রাজচিকিৎসক পদে অধিষ্ঠিত হবার কিছুকাল আগে। তাঁর বইয়ের শিরোনাম সমসাময়িক আন্দালুসীয় চিকিৎসক ইবন যুহরের ''আল-জুযি'ইয়্যাত ফিত-তিব ( "''চিকিৎসার বিশেষায়িত নীতিমালা") এর বিপরীত; মূলত তার এ কাজ ইবন যুহরের বইয়ের সাথে পরস্পরের পরিপূরক হিসেবে রচিত হয়েছিলো। ল্যাটিনে অনুদিত হয়ে তাঁর এ বই ইউরোপে কয়েক শতাব্দীকাল ব্যাপী চিকিৎসাবিদ্যা শিক্ষার প্রমিত গ্রন্থরূপে ব্যবহৃত হয়েছিলো।ইবন রুশদ গ্রিক চিকিৎসাবিদ গ্যালেনের কর্মের সারবত্তা নিয়ে লিখেছেন এবং ইবন সিনার ''উরজুযাহ ফিত-তিব'' এর বিশ্লেষণ রচনা করেছেন।
 
== দার্শনিক চিন্তাধারা ==
 
=== অ্যারিস্টটলবাদ এবং ইসলামি দার্শনিক চিন্তা ===
দার্শনিক কর্মসমূহে ইবন রুশদের মধ্যে মূল অ্যারিস্টটলবাদের প্রতি গুরুত্বারোপ করতে দেখা যায়; তাঁর মতে অ্যারিস্টটলের মূল বক্তব্য আল-ফারাবি, ইবন সিনার মতো মুসলিম দার্শনিকদের নিওপ্লাটোনিস্ট ভাবধারার কবলে পড়ে বিকৃতি লাভ করেছিলো। ইবন রুশদ আল-ফারাবির প্লেটো এবং অ্যারিস্টটলের মতবাদের সমন্বয় সাধনের প্রচেষ্টাকে প্রত্যাখ্যান করেন, তিনি দেখান যে প্লেটোর মতামত এবং অ্যারিস্টটলের মত সম্পূর্ণ ভিন্ন। তিনি আল ফারাবির যুক্তিবিদ্যার কাজেরও সমালোচনা করেন মূল অ্যারিস্টটলীয় উৎসের অপব্যাখ্যা করার জন্য। ইবন সিনা, যিনি ছিলেন মধ্যযুগে ইসলামি নিওপ্লাটোনিজমের প্রধান প্রবক্তা, তাঁর সমালোচক হিসেবেও ইবন রুশদ অবতীর্ণ হন।
 
=== স্রষ্টার প্রকৃতি ===
 
==== অস্তিত্ব ====
ইবন রুশদ তাঁর বই ''কাশফ'আন মানাহিজ আল-আদিলাহ'' গ্রন্থে স্রষ্টার অস্তিত্ব ও প্রকৃতি সম্বন্ধে নিজস্ব মতামত ব্যক্ত করেন। তিনি ইসলামের বিভিন্ন ধারার মতবাদের পরীক্ষণ এবং সমালোচনা করেন: [[আশআরী|আশ'আরী]], [[মুতাজিলা|মু'তাজিলা]], [[সুফিবাদ|সুফিবাদী]] প্রভৃতি ধারার। verroes lays out his views on the existence and nature of God in the treatise ''The Exposition of the Methods of Proof''. He examines and critiques the doctrines of four sects of Islam: the Asharites, the Mutazilites, the Sufis and those he calls the "literalists" (''al-hashwiyah''). Among other things, he examines their proofs of God's existence and critiques each one. Averroes argues that there are two arguments for God's existence that he deems logi