সীরাতুল মুস্তফা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
আফতাবুজ্জামান (আলোচনা | অবদান) সম্পাদনা সারাংশ নেই |
আফতাবুজ্জামান (আলোচনা | অবদান) সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
৪৩ নং লাইন:
}}
'''সীরাতুল মুস্তফা''' ({{lang-ur|{{Nastaliq|سیرت المصطفیٰ}}}} ) হল [[পাকিস্তানি]] ইসলামি পন্ডিত [[মুহাম্মদ ইদ্রিস কান্ধলভি]] (১৯০১ — ১৯৭৪) রচিত ৪ খন্ডে সমাপ্ত একটি [[সীরাহ|সীরাত]] বা শেষ নবীর জীবনী বিষয়ক গ্রন্থ। মূলত [[উর্দু ভাষা|উর্দুতে]] লেখা এ গ্রন্থটি আধুনিককালে রচিত অন্যতম শ্রেষ্ঠ [[সীরাহ|সীরাত]] গ্রন্থ হিসেবে স্বীকৃত।<ref name="জাহান">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://shodhganga.inflibnet.ac.in:8080/jspui/handle/10603/176381|শিরোনাম=Contribution of Darul Uloom Deoband to Seerah literature|শেষাংশ=
==বৈশিষ্ট্য==
এই গ্রন্থটির বৈশিষ্ট্য হল [[খতমে নবুয়ত|সর্বশেষ নবী]] ও তাঁর [[সাহাবা|সাহাবাদের]] উত্তম চরিত্র সম্পর্কে বর্ণনা। আরবিতে [[সীরাহ|সীরাত]] সম্পর্কিত প্রায় সমস্ত গ্রন্থের সংক্ষিপ্ত সংস্করণ এই গ্রন্থে পাওয়া যায়। লেখক নবী জীবনের বিভিন্ন ঘটনাবলীকে নতুনভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করেছেন। পূর্ববর্তী সূত্রগুলো থেকে সনদের দিক থেকে বিশুদ্ধ বর্ণনাগুলোকেই তিনি তার গ্রন্থে স্থান দিয়েছেন।<ref
এ গ্রন্থে নবী জীবনের উপর আরোপিত বিভিন্ন আপত্তির প্রামাণিক জবাব রয়েছে। ইসলামে [[দাসপ্রথা]] এবং নবীর একাধিক বিয়ে নিয়ে প্রশ্নসমূহের দলিল ও যুক্তির আলোকে লেখক বিস্তারিত জবাব দিয়েছেন।<ref name=":0">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://islamtime24.com/2019/11/07/%e0%a6%8f-%e0%a6%af%e0%a7%81%e0%a6%97%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a7%80%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%a4-%e0%a6%b0%e0%a6%9a%e0%a6%a8%e0%a6%be-%e0%a6%b8%e0%a7%80%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%87/|শিরোনাম=এ যুগের সীরাত রচনা : সীরাতে মুস্তফা|শেষাংশ=রহমান|প্রথমাংশ=ওলিউর|তারিখ=2019-11-07|ওয়েবসাইট=ইসলাম টাইমস|ভাষা=bn|সংগ্রহের-তারিখ=2020-08-20}}</ref>
৫৬ নং লাইন:
মূল [[উর্দু ভাষা|উর্দুতে]] সীরাতুল মুস্তফা ৪ খন্ডে প্রকাশিত হয়েছিল। পরবর্তীতে কোন কোন সংস্করণে একে ৩ খন্ডে অথবা পরিপূর্ণ ১ খন্ডে প্রকাশ করা হয়।
সীরাতে মুস্তফার ১ম খন্ড ৩৬৭ পৃষ্ঠার সমন্বয়ে গঠিত, এর শুরতে [[সীরাহ|সীরাতের]] প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা করা হয়েছে। বাকী অংশে নবীর বংশ তালিকা, নবীর জন্মের পূর্বের ঘটনাবলী, নবীর শৈশবকাল এবং কৈশোর কাল থেকে [[মদিনা|মদিনায়]] [[হিজরত]] ও [[ইহুদি|ইহুদিদের]] সাথে চুক্তির বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।<ref name="জাহান২০১৩">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://shodhganga.inflibnet.ac.in:8080/jspui/handle/10603/176381|শিরোনাম=Contribution of Darul Uloom Deoband to Seerah literature|শেষাংশ=
দ্বিতীয় খন্ড ২৫৫ পৃষ্ঠার সমন্বয়ে গঠিত, যা [[জিহাদ|জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ]] (আল্লাহর পথে যুদ্ধ) এবং [[দাস প্রথা|দাস প্রথার]] সমস্যাগুলি দিয়ে শুরু হয়। লেখক [[জিহাদ|জিহাদের]] অর্থ, পরিস্থিতি এবং উদ্দেশ্য, গুণাবলী, ধরণ এবং অন্যান্য প্রভাবকগুলির সাথে উদাহরণ সহ বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। তারপরে তিনি [[দাসত্ব|দাসত্বের]] বিষয়টি গ্রহণ করেছেন এবং বিশদ বিবরণ বর্ণনা করেছেন। তিনি নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় [[শিবলী নোমানী|শিবলী নোমানীর]] ভুল অনুমানকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। বইয়ের বেশিরভাগ অংশে [[বদরের যুদ্ধ|বদর]] ও [[উহুদের যুদ্ধ]] নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।<ref
বইটির তৃতীয় খণ্ডটি যুদ্ধসমূহের সাথে সম্পর্কিত এবং এতে ৫১৪ পৃষ্ঠা রয়েছে। এই খণ্ডটি ৫ম হিজরিতে সংঘটিত যুদ্ধ দিয়ে শুরু হয় এবং এরপরে [[খন্দকের যুদ্ধ]], [[বনু কুরাইজা]], [[বাইয়াতে রিদওয়ান]] এবং [[হুদাইবিয়ার সন্ধি]], নবী পত্রে বর্ণিত বিভিন্ন দেশের রাজাদের কাছে ইসলামের দাওয়াত, [[খায়বারের যুদ্ধ]], [[ফাদাক বিজয়]], [[মুতার যুদ্ধ]], [[মক্কা বিজয়]], [[হুনাইনের যুদ্ধ|হুনাইন]] ও [[তাবূকের যুদ্ধ]], প্রতিনিধি দলের বছর এবং [[বিদায় হজ্জ]] ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বর্ণনার পরে তিনি [[রাসূল|রাসূলের]] দেহের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করেছেন এবং রাসূলের জীবন, [[খিলাফত|খিলাফতের]] বিষয়, উত্তরাধিকার সম্পর্কিত সমস্যা এবং অন্যান্য সমস্যা সম্পর্কে তাঁর মতামত প্রকাশ করেছেন। নবীর পোশাকের প্রসঙ্গে তিনি পশ্চিমা পোশাকের নিন্দা করেছেন। একটি দুই পৃষ্ঠার পরিশিষ্ট রয়েছে যাতে বহুভর্তৃকত্ব সংক্রান্ত আইনের ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।<ref
চতুর্থ খণ্ডটি ১৩৪ পৃষ্ঠার এবং এটি পূর্ববর্তী তিনটি খণ্ডের একটি উপসংহার এবং [[নবী|নবীর]] সাথে সম্পর্কিত অলৌকিক বিষয়গুলির একটি আলোচনাও বহন করে। এর মধ্যে অন্যান্য নবী দ্বারা প্রদত্ত [[মুহাম্মদ|নবী মুহাম্মদ]] সম্পর্কে ভবিষ্যৎবাণী এবং নবীর [[অলৌকিক ঘটনা|অলৌকিক ঘটনার]] বিবরণ রয়েছে। লেখক যুক্তি দিয়েছেন যে এই [[অলৌকিক ঘটনা|অলৌকিক ঘটনাগুলি]] তাঁর [[নবুয়াত|নবুওয়াতকে]] প্রমাণিত করে এবং প্রতিষ্ঠিত করে। তিনি অলৌকিক ঘটনার ধরন ও সংখ্যা বিশ্লেষণ করেছেন। তাঁর মতে [[কুরআন]] ও [[হাদিস|হাদীস]] সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অলৌকিক ঘটনা যা বহু লোক অনুসরণ করে। সর্বশেষ নবী আগমনের বিষয়ে তিনি অন্যান্য ঐশ্বরিক গ্রন্থ থেকে পূর্ববর্তী নবীগণের ভবিষ্যৎবাণী উদ্ধৃত করেছেন। তারপরে নবীর বিশেষ গুণাবলী নিয়ে বইটি শেষ করেছেন।<ref
== উৎস ==
|