কালাপাহাড়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
সম্প্রসারণ
২ নং লাইন:
 
==ধর্মান্তর==
তার আসল নাম রাজীবলোচন রায় মতান্তরে কালাচাঁদ রায় (বা রায় ভাদুড়ী বা রাজচন্দ্র বা রাজকৃষ্ণ বা রাজনারায়ণ<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=বাংলা সহিত্য|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|প্রকাশক= জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড,বাংলাদেশ|বছর= ২০১৭|আইএসবিএন=|অবস্থান= বাংলাদেশ|পাতাসমূহ=২৩১}}</ref>),ডাকনাম রাজু। তিনি বারেন্দ্র [[ব্রাহ্মণ]] পরিবারের সন্তান ছিলেন,পিতার নাম ছিল নয়ানচাঁদ রায় (ইনি [[গৌড়]] বাদশাহের ফৌজদার ছিলেন)। নিয়মিত [[বিষ্ণু]] পূজা করতেন। নবাব [[সুলায়মান খান কররানী|সুলায়মান খান কররানীর]] কন্যা দুলারি বিবি তার প্রণয়ে পড়লে [[ইসলাম ধর্ম]] অনুসারে সুলায়মানের কন্যার পাণিগ্রহণ করেন এবং সুলায়মানের প্রধান সেনাপতির পদ অলংকৃত করেন,মুসলমান কন্যা বিবাহের সুবাদে বর্ণবাদী হিন্দু সমাজ তাকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করে। আর সেই কারণে প্রতিশোধস্পৃহায় অন্ধ হয়ে তিনি [[ইসলাম ধর্ম]] গ্রহণ করে 'মহম্মদ ফর্ম্মুলি' নাম ধারণ করেনকরেন।<ref>{{বই এবংউদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=BftYCzpZevQC&pg=PA146|শিরোনাম=Brownstudy প্রবলon হিন্দুHeathenland: বিদ্বেষীA হয়েBook ওঠেন।on Indology|শেষাংশ=Behera|প্রথমাংশ=Mahendra Narayan|তারিখ=2003|প্রকাশক=University Press of America|ভাষা=en|আইএসবিএন=978-0-7618-2652-1}}</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=aJBNAAAAYAAJ|শিরোনাম=Konark|শেষাংশ=Donaldson|প্রথমাংশ=Thomas|শেষাংশ২=Donaldson|প্রথমাংশ২=Thomas E.|তারিখ=2005|প্রকাশক=Oxford University Press|ভাষা=en|আইএসবিএন=978-0-19-567591-7}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://asi.nic.in/|শিরোনাম=Archaeological Survey of India|ওয়েবসাইট=asi.nic.in|সংগ্রহের-তারিখ=2020-08-18}}</ref> আর তখন থেকেই '''কালাপাহাড়''' নামে পরিচিত হন।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=আমার নাম কালাপাহাড়|শেষাংশ=বিশ্বনাথ ঘোষ|প্রথমাংশ=|প্রকাশক=সাহিত্যশ্রী|বছর=১৯৮৯|আইএসবিএন=|অবস্থান=কলকাতা|পাতাসমূহ=২২}}</ref> ১৫৬৮ সালে তিনি পুরীর শ্রী শ্রী জগন্ননাথ ধাম আক্রমণ করেন এবং মন্দির ও বিগ্রহের প্রচুর ক্ষতিসাধন করেন।<ref name="ReferenceA">The Cult of Jagannātha By Kanhu Charan Mishra, Published 1971</ref><ref>Ahmed,{{বাংলাপিডিয়া ABMউদ্ধৃতি|অধ্যায়=সুলায়মান Shamsuddinকররানী|লেখক=এ. "Sulaiman Khan Karrani"বি.এম Banglapedia.শামসুদ্দীন Bangladesh Asiatic Society. Retrieved 8 January 2014.আহমেদ}}</ref>
 
==কালাপাহাড়ের সমরাভিযান==
১৫৬৪-৬৫ খ্রিষ্টাব্দে [[আকবর]] বাদশাহের সঙ্গে সন্ধি স্থাপন করে [[উড়িষ্যা]]র রাজা হরিচন্দন মুকুন্দদেব গৌড় আক্রমণ করে গঙ্গার তীরে অবস্থিত সপ্তগ্রাম বন্দর অধিকার করে নেন। পরে আকবর যখন মেবারের শিশোদীয় রাজাদের সঙ্গে দীর্ঘকাল যুদ্ধে ব্যস্ত ছিলেন, সেই অবসরে সুলায়মান খান কররানী উড়িষ্যা আক্রমণ করেন। মুকুন্দদেব কোটসামা দুর্গে আশ্রয় গ্রহণ করলে সুলায়মান কালাপাহাড়ের অধীনে ময়ূরভঞ্জের অরণ্যসংকুল পথে উড়িষ্যা আক্রমণ করতে সৈন্য পাঠান। এইসময় মুকুন্দদেব তারই এক বিদ্রোহী সামন্তের হাতে নিহত হন; এর ফলে ওই বিদ্রোহী সামন্ত এবং রঘুভঞ্জ ছোটরায় উড়িষ্যার সিংহাসন দখল করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু উভয়েই কালাপাহাড় কর্তৃক পরাজিত ও নিহত হয়েছিলেন।<ref>Journal Of Asiatic Society Bengal, Old series, Vol. LXIX. 1900, pt. I. p. 189</ref><br />কোচরাজ নরনারায়ণ, সুলায়মান খান কররানীর রাজত্বকালে [[গৌড়রাজ্য]] আক্রমণ করেছিলেন কিন্তু কালাপাহাড় একাধারে রাজা [[নরনারায়ণ|নরনারায়ণের]] ভাই এবং সেনাপতি শুক্লধ্বজকে পরাজিত করে আসামের তেজপুর পর্যন্ত অধিকার করে নিয়েছিলেন। এইসময়ে [[কামাখ্যা মন্দির|কামাখ্যা]] ও হাজোর প্রাচীন মন্দিরগুলিতে কালাপাহাড় নির্বিচারে ধ্বংসকাণ্ড চালিয়েছিলেন।<ref>Gait, History of Assam, pp. 52-53</ref> মোগল সম্রাট আকবরের বিরুদ্ধে কালাপাহাড় আমৃত্যু সংগ্রাম করে গেছেন। বঙ্গদেশ ও বিহারে আকবরের বিরুদ্ধে যে বিদ্রোহ হয় কালাপাহাড় তাতে যোগদান করেন এবং অনুমান করা হয় তিনি এই যুদ্ধে নিহত হন (এপ্রিল ১৫৮৩ খ্রিষ্টাব্দ) ।
 
==মন্দির ধ্বংসকারী কালাপাহাড়==