পাকিস্তান সেনাবাহিনী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
মাবিল হাসান (আলোচনা | অবদান)
আই সজীব (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১৩ নং লাইন:
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ভারত বিভাজনের সিদ্ধান্ত যখন হয় তখন [[ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনী]]কেও দুই ভাগ করার (একটি পাকিস্তান, অপরটি ভারত) সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় ১৯৪৬ সালের ১৯ অক্টোবর। ১৯৪৭ সালের ৩০ জুন ব্রিটিশ সরকার মাত্র দেড় লাখ সদস্যের একটি সেনাবাহিনী পাকিস্তানের হবে বলে ঘোষণা দেয়; যদিও পাকিস্তান সেনাবাহিনী সত্যিকার অর্থে পঞ্চাশ হাজারের বেশি সদস্য পায়নি। ১৪ই আগস্ট ১৯৪৭ তারিখে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ব্রিটিশ জেনারেল ফ্র্যাঙ্ক ওয়ালটার মেসার্ভি'র অধীনে আত্মপ্রকাশ করে। পাকিস্তান সেনাবাহিনী পদাতিক শাখা হিসেবে [[ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনী]]র পাঞ্জাব রেজিমেন্টের একাংশ, [[বেলুচ রেজিমেন্ট]] এবং [[ফ্রন্টিয়ার ফোর্স রেজিমেন্ট]] পেয়েছিলো, ১৯৪৮ সালে তারা আজাদ কাশ্মীর নামে একটি নতুন রেজিমেন্ট গঠন করেছিলো।
 
পাকিস্তানের স্বাধীনতার পর থেকেই দেশটির সরকার সেনাবাহিনীর সম্প্রসারণ এবং আধুনিকায়নের ব্যাপারে মনোযোগী ছিলো। ১৯৪৭ সালের অক্টোবর মাসে নবগঠিত পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে প্রতিবেশী ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াইএ জড়িয়ে পড়তে হয়েছিলো কাশ্মীর ইস্যুকে কেন্দ্র করে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী তখন অনেক ছোটো ছিলো, এর না ছিলো কোনো কোর না কোনো বড় ডিভিশন; ৭ম, ৮ম, ৯ম, ১০ম এবং ১২তম ডিভিশন ছিলো ছোটো আকারে এবং ১৪তম ডিভিশন ছিলো [[পূর্ব পাকিস্তান]] (বর্তমান বাংলাদেশ-এ) এ। সুতরাং মাত্র পাঁচটি ডিভিশন ভারতীয় সেনাবাহিনীর বারোটি ডিভিশনের সঙ্গে সীমান্তে লড়াইরত ছিলো তখন। ১৯৫০ সালে আরো একটি ডিভিশন (১৫তম) যোগ হয় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর অংশে। ডিভিশনগুলো ছিলো সবই পদাতিক বাহিনীর এবং ১৯৫০ সালেই সাঁজোয়া বহরে ১৫তম ল্যান্সার্স রেজিমেন্ট শিয়ালকোট সেনানিবাসে যুক্ত হয়েছিলো। ১৯৫০ সাল থেকে ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে আরো ছ'টি সাঁজোয়া রেজিমেন্ট যুক্ত হয়ঃ ৪র্থ ক্যাভালরি, ১২তম ক্যাভালরি, ১৪তম ল্যান্সার্স এবং ২০ ল্যান্সার্স।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=History of Pakistan Army|ইউআরএল=http://www.pakistanarmy.gov.pk/|সংগ্রহের-তারিখ=18 January 2013|ইউআরএল-অবস্থা=live |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20130114175609/http://pakistanarmy.gov.pk/|আর্কাইভের-তারিখ=14 January 2013|df=dmy-all}}</ref> পাকিস্তান সেনাবাহিনী ১৯৬০ সালের আগ পর্যন্ত ব্যাপক পুনর্গঠনের মধ্য দিয়ে গিয়েছিলো এবং সৈন্য সংখ্যাও বৃদ্ধি করেছিলো, ১৯৫৭ সালেই তাদের প্রথম কোর ([[১ কোর (পাকিস্তান)|১ কোর]]) তৈরি করা হয়েছিলো এবং একটি পূর্নাঙ্গ সাঁজোয়া ডিভিশন (১ম সাঁজোয়া ডিভিশন) এ-দশকেই তারা বানিয়ে ফেলেছিলো। [[পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমি]] তৈরি হয় পাকিস্তানের স্বাধীনতার এক বছর পরেই।
 
== তথ্যসূত্র ==