কলিম শরাফী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
এই হলো অভীক (আলোচনা | অবদান)
→‎প্রাথমিক জীবন: ব্যাকরণ ঠিক করা হয়েছে, লিংক সংযোজন, প্রাসঙ্গিক অবচ্ছেদন
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা
এই হলো অভীক (আলোচনা | অবদান)
→‎সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড: প্রাসঙ্গিক অবচ্ছেদন
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা
২৪ নং লাইন:
 
== সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ==
রক্ষণশীল পরিবার থেকে উঠে আসলেও কলিম শরাফী সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডেকর্মকাণ্ডে নিজেকে সবসময়ে নিয়োজিত রেখেছেন। ১৯৪৪ সালে তিনি ইন্ডিয়ান[[ভারতীয় পিপলসগণনাট্য থিয়েটার এ্যাসোসিয়েশন (আইপিটিএ)-তেসংঘ]]ে যোগ দিয়ে কলকাতার [[কলকাতা|কলকাতারহাজরা পার্ক]] হাজারা পার্কে হাজার হাজার দর্শকশ্রোতারদর্শক-শ্রোতার উপস্থিতিতে সর্বপ্রথম [[গণসঙ্গীত]] পরিবেশন করেন।
এরপর ১৯৪৬ সালে বিখ্যাত গ্রামোফোন কোম্পানি [[এইচএমভি]] থেকে বের হয় কলিম শরাফীর প্রথম গণসঙ্গীতের রেকর্ড। প্রায় সাথে সাথেই নিয়মিত শিল্পী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন কলকাতা বেতারে। এরপর [[শুভ গুহঠাকুরতারগুহঠাকুরতা]]র [[রবীন্দ্র সঙ্গীত]] শেখাবার প্রতিষ্ঠান 'দক্ষিণী'তে নিয়মিত [[রবীন্দ্র সঙ্গীত]] চর্চা শুরু করেন। এক সময় কলিম শরাফী দক্ষিণীতে যোগ দিয়েছিলেন শিক্ষক হিসেবে। দক্ষিণীতে কলিম শরাফী সঙ্গীতগুরু [[দেবব্রত বিশ্বাস]], [[হেমন্ত মুখোপাধ্যায়]] ও [[সুচিত্রা মিত্রেরমিত্র]]ের সাহচর্য পেয়েছিলেন। ১৯৪৮ সালে নীতিগত বিরোধের কারণে মহর্ষি [[মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য]], [[শম্ভু মিত্র]], [[তৃপ্তি মিত্র]], [[অশোক মজুমদার]], [[মোহাম্মদ ইসরাইল]], কলিম শরাফী প্রমুখ আইপিটিএসংঘ থেকে বেরিয়ে এসে গঠন করেন নাট্যসংস্থা 'বহুরূপী'।
 
[[১৯৪৭ এর ভারত বিভাগ|১৯৪৭ এ দেশ বিভাগের]] পর কলকাতায় আবার শুরু হয় [[সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা।দাঙ্গা]]। এসময় কর্মহীন হয়ে পড়েন কলিম শরাফী। ১৯৫০ সালে তিনি তার স্ত্রী কামেলা খাতুন ও একমাত্র শিশুকন্যাকে নিয়ে চলে আসেন ঢাকায়। ঢাকায় এসেই ক্যাজুয়াল আর্টিস্ট হিসেবে যোগ দেন রেডিওতে। ১৯৫১ সালে ঢাকা ছেড়ে তিনি চলে যান [[চট্টগ্রাম|চট্টগ্রামে]]। গড়ে তোলেন 'প্রান্তিক' নামে একটি সংগঠন। ১৯৫৬ সালে [[শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক|শেরে বাংলার]] মন্ত্রিসভাকে বরখাস্ত করে সেকশন[[৯২ নাইনটি টুধারা]] জারি করার ফলে কলিম শরাফীকে আত্মগোপন করতে হয়। সে বছরের শেষ দিকে তিনি আবার ঢাকায় ফিরে আসেন। ঢাকায় 'হ-য-ব-র-ল' নামে একটি সংগঠনগড়েসংগঠন গড়ে তোলেন। এ সংগঠনের ব্যানারেই মঞ্চস্থ করেন 'তাসের দেশ' নাটকটি। সে সময় কলিম শরাফীর সহযোগী ছিলেন ড. আনিসুর রহমান ও ড. রফিকুল ইসলাম। ১৯৫৭ সালে চলচ্চিত্রে প্রথমবারের মতো কলীমকলিম শরাফী রবীন্দ্র সঙ্গীত গান ''আকাশ আর মাটি'' চলচ্চিত্রে। এরপর ১৯৫৮ সালে কলিম শরাফীর গান রেডিওতে সম্প্রচার নিষিদ্ধ করা হয়। স্বাধীনতা পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল ছিলো।
 
কলিম শরাফী ১৯৬২ সালে ''সোনার কাজল'' চলচ্চিত্রে পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সেখানে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছিলেন পরবর্তী প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার [[জহির রায়হান]]। এ সময় কলিম শরাফীর সঙ্গীত পরিচালনায় নির্মিত প্রামাণ্য[[প্রামাণ্যচিত্র]] চিত্র '[[ভেনিস' আন্তর্জাতিকচলচ্চিত্র উৎসব]]ে পুরস্কার অর্জন করে। তারপর 'সূর্যস্নান ছবিতে ''পথে পথে দিলাম ছড়াইয়া রে'' গানটি গেয়ে তিনি শ্রোতামহলে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান। এছাড়া কবিয়াল [[রমেশ শীল|রমেশ শীলের]] জীবন নিয়ে একটি তথ্য চিত্রওতথ্যচিত্রও নির্মাণ করেন কলিম শরাফী। ১৯৬৪ সালে ঢাকায় প্রথম টিভি সেন্টার চালু হলে তিনি সেখানে প্রোগ্রাম ডিরেক্টরপরিচালক পদে যোগ দেন। কলিম শরাফী ১৯৬৯ সালে [[সত্যেন সেন|সত্যেন সেনের]] সঙ্গে [[উদীচী গণসাংস্কৃতিক সংগঠন|উদীচীর]] কর্মকাণ্ডে যোগ দেন এবং ১৯৭৭ থেকে প্রায় অনেকগুলো বছর সভাপতি ও সংগঠকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৯ সালে গঠিত হয় 'জাহিদুর রহিম স্মৃতি পরিষদ'। কলিম শরাফী এই উদ্যোগের প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক।আহ্বায়ক ছিলেন। পরে এই 'জাহিদুর রহিম স্মৃতি পরিষদ'ই 'জাতীয় রবীন্দরবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ'-এ পরিণত হয়।
 
কলিম শরাফী ১৯৮৩ সালের এপ্রিলে 'সঙ্গীত ভবন' নামে একটি সঙ্গীত বিদ্যালয় গড়ে তোলেন ।তোলেন। প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই শিল্পী কলিম শরাফী এ প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেছেন। কলিম শরাফী একাধিক চলচ্চিত্রে কন্ঠদানকণ্ঠদান করেছেন ৷ "স্মৃতি অমৃত" তারতাঁর প্রকাশিত গ্রন্থগ্রন্থ৷ ৷ তারতাঁর গানের পনেরোটি ক্যাসেট ও তিনটি সিডি ক্যাসেট প্রকাশিত হয়েছে ৷হয়েছে৷ তিনি শিল্পকলা একাডেমীএকাডেমি কাউন্সিল ও শিশু একাডেমীএকাডেমি কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনিতাছাড়া [[বাংলাদেশ বেতার]] টিভি শিল্পী সংস্থা, [[বাংলাদেশ রবীন্দ্র সঙ্গীতরবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সংস্থা]][[নাগরিক নাট্য অঙ্গন-এর]]ের প্রেসিডেন্টসভাপতি ছিলেন।
==গানের অ্যালবাম সমূহ==
সুদীর্ঘ সাংস্কৃতিক জীবনে কলিম শরাফীর মাত্র ৫টি অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। এগুলোর হলো:
 
* এই কথাটি মনে
সুদীর্ঘ সাংস্কৃতিক জীবনে কলিম শরাফীর মাত্র ৫টি এ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। এগুলোর নাম হলো - এই কথাটি মনে রেখো, আমি যখন তার দুয়ারে, কলিম শরাফীর যত গান, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান এবং জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্রের কথা ও সুরে নবজীবনের গান।
* আমি যখন তার
* কলিম শরাফীর যত
* রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান
* নবজীবনের গান ([[জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্র]]ের কথা ও সুর)
 
== রাজনৈতিক জীবন ==