রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

[অপরীক্ষিত সংশোধন][অপরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Srblove20 (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
Srblove20 (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৩৫ নং লাইন:
সংগঠনটির প্রতিষ্ঠার পরে কে. বি. হেডগেওয়ার আরএসএসকে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে দূরে সরিয়ে রাখার ঐতিহ্যের সূত্রপাত ঘটান। ব্রিটিশবিরোধী বলে পরিগণিত হতে পারে এরকম যেকোন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকেই আরএসএস সযত্নে পরিহার করে চলত। আরএসএস এর জীবনীকার সি. পি. ভিশিকার এর কথায়, হেডগেওয়ার সরকার নিয়ে সরাসরি যেকোন মন্তব্য করা এড়িয়ে গিয়ে কেবল হিন্দু সংগঠন নিয়েই কথা বলতেন।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Religious Dimensions of Indian Nationalism: A Study of RSS|শেষাংশ=Islam|প্রথমাংশ=Shamsul|প্রকাশক=Media House|বছর=2006|আইএসবিএন=ISBN 978-81-7495-236-3|অবস্থান=|পাতাসমূহ=188}}</ref> ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ১৯৩০ সালের ২৬শে জানুয়ারিতে "স্বাধীনতা দিবস" ঘোষণা করেছিল। কেবল সেই বছরেই আরএসএস এই দিবস উদযাপন করেছিল, কিন্তু এর পরের বছরগুলোতে তারা এই দিবস উদযাপন থেকে বিরত থাকে। আরএসএস ভারতীয় জাতীয় আন্দোলনের তেরঙ্গাকেও পরিহার করেছিল। ১৯৩০ সালের এপ্রিলে গান্ধীর ডাকা [[সত্যাগ্রহ]] আন্দোলনে হেডগেওয়ার ব্যক্তিগতভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু তিনি আরএসএসকে এই আন্দোলনে জড়ান নি। তিনি সর্বত্র প্রচার করে দিয়েছিলেন যে, সংঘ সত্যাগ্রহে অংশগ্রহণ করবে না। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে সেখানে অংশগ্রহণ করা নিষেধ ছিল না। ১৯৩৪ সালে, কংগ্রেস রিজোল্যুশন পাশ করে। এটা অনুসারে কংগ্রেসের কোন সদস্যের উপর আরএসএস, হিন্দু মহাসভা অথবা মুসলিম লীগে যোগদান করায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Rashtriya Swayamsevak Sangh: National Upsurge|শেষাংশ=Chitkara|প্রথমাংশ=M. G.|প্রকাশক=APH Publishing|বছর=2004|আইএসবিএন=ISBN 8176484652|অবস্থান=|পাতাসমূহ=251-254}}</ref>
 
১৯৪০ সালে আরএসএস এর নেতা হন এম. এস. গোলবলকার। তিনি ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে আরএসএসকে আরও বেশি বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। তার দৃষ্টিভঙ্গিতে, আরএসএস ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে নয়, বরং "ধর্ম ও সংস্কৃতিকে রক্ষা করার মাধ্যমে" স্বাধীনতা অর্জন করার প্রতিজ্ঞা করেছে। এমনকি গোলবলকার ব্রিটিশবিরোধী জাতীয়তাবাদের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন, এবং একে "প্রতিক্রিয়াশীল দৃষ্টিভঙ্গি" বলে মত প্রকাশ করেছিলেন। তার মতে এই "প্রতিক্রিয়াশীল দৃষ্টিভঙ্গি স্বাধীনতা আন্দোলনের সমগ্র কার্যধারায় ধ্বংসাত্মক প্রভাব ফেলবে। বিশ্বাস করা হয় যে, গোলবলকার ব্রিটিশদেরকে আরএসএসকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করবার কোন সুযোগ দিতে চাইতেন না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি ব্রিটিশদের সকল কঠোর নীতিকে মেনে নেন। এমনকি সেসময় ব্রিটিশদের কথায় তিনি আরএসএস এর সামরিক বিভাগেরও পরিসমাপ্তি ঘটান। ব্রিটিশ সরকার বলেছিল, আরএসএস তাদের বিরুদ্ধে কোন নাগরিক অবাধ্যতাকে সমর্থন করে নি, আর তাই তাদের কোন রাজনৈতিক কার্যক্রমে দৃষ্টিপাত করার প্রয়োজন নেই। ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র বিভাগ এই বিষয়টির উপর ভিত্তি করে নোট গ্রহণ করে যে, সংঘের অধিবেশনের বক্তাগণ তাদের সদস্যদেরকে প্ররোচিত করেছিলেন যাতে তারা ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের প্রতি নির্লিপ্ত থাকেন। আরএসএস যথাযথভাবে সরকারের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের আজ্ঞা মেনে আসছিল, আর তাই সরকারের মত ছিল যে, আরএসএস ব্রিটিশ ভারতের কোন আইন ও বিধির জন্য ভীতিজনক নয়। বোম্বে সরকার একটি রিপোর্টে আরএসএসকে প্রশংসা করেছিল, কারণ তারা কর্তব্যপরায়ণের সাথে নিজেদেরকে আইনের মধ্যে রেখেছিল এবং কোন ধরণের ঝামেলায় (ভারত ছাড় আন্দোলন) সংযুক্ত হওয়া থেকে বিরত ছিল। এটাও রিপোর্ট করা হয় যে, আরএসএস কখনই আইনকে অমান্য করে নি, এবং এরা সবসময়ই আইন মেনে এসেছে। সংগঠনটি থেকে উপদেশীয় কমিউনিস্ট নেতাদেরকে জানিয়ে দেয়া হয়, আরা যেন ব্রিটিশ সরকারের কাছে আপত্তিকর বলে মনে হয় এমন কার্যক্রম থেকে বিরত থাকেন, আর এভাবেই পরিণামে আরএসএস ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের কাছে নিশ্চিত করেছিল যে, "সরকারের বিধিমালার বিরুদ্ধে যাবার মত কোন উদ্দেশ্য সংগঠনটির নেই"।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Towards Freedom 1943-44,Part III|শেষাংশ=Gupta|প্রথমাংশ=Partha Sarathi|প্রকাশক=New Delhi: Oxford University Press|বছর=1997|আইএসবিএন=ISBN 978-0195638684|অবস্থান=|পাতাসমূহ=3058–9}}</ref>
এম. এস. গোলবলকার পরবর্তীতে জনসম্মুখে স্বীকার করে নেন যে, আরএসএস ভারত ছাড় আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে নি। গোলবলকার আরও বলেন যে, তাদের এরকম অবস্থানই সংঘকে একটি নিষ্ক্রীয় সংগঠন হিসেবে নেবার দিকে নিয়ে গিয়েছিল, বাস্তবে যাদের কথার কোন মূল্য ছিল না।
আরএসএস ১৯৪৫ সালে হওয়া ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে হওয়া রাজকীয় ভারতীয় নৌবিদ্রোকে সমর্থন বা অংশগ্রহণ কিছুই করে নি।<ref name=":0" />