ভারতে জরুরি অবস্থা (১৯৭৫-১৯৭৭) (সম্পাদনা)
১৮:২৩, ১২ আগস্ট ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
, ৩ বছর পূর্বেপাতা উইকিপিডিয়া আর্টিকেল অনুসারে পরিমার্জিত হল
সম্পাদনা সারাংশ নেই ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
পাতা উইকিপিডিয়া আর্টিকেল অনুসারে পরিমার্জিত হল |
||
১১ নং লাইন:
“স্বাধীনতা হীনতায় কে বাঁচিতে চায় হে,
কে বাঁচিতে চায়।
▲ দাসত্ব-শৃঙ্খল বল কে পরিবে পায় হে,
কে পরিবে পায়।”
৩৪ ⟶ ৩১ নং লাইন:
শুধু কবিতা নয়, রবীন্দ্রনাথের বহু গানও সেন্সরের আওতায় পড়েছিল। আমরা দেখেছিলাম যে, সাবেক পূর্ব পাকিস্তানে আইয়ুব খাঁর সামরিক শাসনে রবীন্দ্রনাথের গান রেডিও মাধ্যমে প্রচারের ব্যাপারে বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছিল। কিন্তু সেটা যে রবীন্দ্রনাথ হিন্দু ও ভারতীয় বলে নয়, রবীন্দ্রনাথের গানের কথার জন্য, সে কথা আমরা বুঝতে পেরেছিলাম দেশে জরুরি অবস্থা জারি হওয়ার পর থেকে। বাণী ঠাকুরকে একবার একটা অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রনাথের একটা বর্ষার গান গাইতে দেওয়া হয়নি, কিন্তু কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই গানটিই জোর করে গেয়েছিলেন। এ থেকেই বোঝা যায় যে, সেই সময় শাসক দলের রোষ কতটা তীব্র ছিল। এমনকি সেই সময় রবীন্দ্রনাথের গান রেকর্ডিং- এও সেন্সর প্রথা চালু হয়েছিল এবং আকাশবাণী রবীন্দ্রনাথের কোন গান প্রচার করবে তারও সিদ্ধান্ত নিতেন আকাশবাণী কর্তৃপক্ষ।৮
জরুরি অবস্থায় অনেকগুলি রবীন্দ্রসংগীত নিষিদ্ধ হয়েছিল। সেই সময় বহু
১। ব্যর্থ প্রাণের আবর্জনা পুড়িয়ে ফেলে
৮৮ ⟶ ৮৫ নং লাইন:
সুতরাং দেখা গেল, ভারতবর্ষের জরুরি অবস্থায় শিল্প-সংস্কৃতির গায়ে বিভিন্ন দিক থেকে নিষিদ্ধের তকমা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এককথায় রাজশক্তির কোপ পড়েছিল এগুলির ওপর। অর্থাৎ গোষ্ঠী আক্রমণ করেছিল ব্যক্তিকে। কারণ রাষ্ট্র একটি Institution। তার কিছু নিয়ম নীতি আছে। সে চায় তার অধীনস্ত সকলে সেই নিয়ম নীতিগুলোকে মেনে চলুক। তা না হলে রাষ্ট্র নামক Institution টা ভাঙতে শুরু করবে। তখন বিপদটা রাষ্ট্রের রাষ্ট্রশক্তির। রাষ্ট্রশক্তি কোনোভাবেই সেই মতটাকে বেড়ে উঠতে দেবে না। সে মত প্রগতিশীল হলেও। তাই রাষ্ট্রের আক্রমণ নেমে আসে ব্যক্তির ওপর। এমনকি রবীন্দ্রনাথও তার ব্যতিক্রম নন। তাই তাঁর লেখা কবিতা ও গানগুলির ওপরও সেন্সরের কোপ নেমে এসেছিল। আর এই দৃশ্য দেখে মনে প্রশ্ন জাগে যে, আমরা কি এই স্বাধীনতা চেয়েছিলাম? কিংবা আমরা কি আদৌ পরাধীনতার গ্লানি থেকে মুক্ত হতে পেরেছিলাম? উত্তর অবশ্যই না। কারণ ভারতবর্ষের স্বাধীনতার (১৯৪৭) ২৮ বছর পরেও (১৯৭৫) ভারতবাসীর অবস্থা সেই একই জায়গাই ছিল। শুধুমাত্র ক্ষমতার হাত বদল হয়েছিল মাত্র। কিন্তু দেশবাসীর ওপর শোষণের মাত্রা একই ছিল। বলাবাহুল্য স্বাধীন ভারতবর্ষের বুকে ঘটে যাওয়া এই ঘটনা যে যথেষ্ট লজ্জা ও অপমানকর ছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
তথ্যসূত্র▼
▲==তথ্যসূত্র==
((সূত্র তালিকা}}
১। রবীন মণ্ডল, ‘ত্রস্ত আইন প্রণয়ন’, জ্যোতির্ময় দত্ত সম্পাদিত ‘কলকাতা’ পত্রিকার প্রথম রাজনীতি সংখ্যা (বর্ষা-১৯৭৫), প্রতিভাস ফ্যাক্সিমিলি সংস্করণ, কলিকাতা, এপ্রিল ২০০৪, পৃষ্ঠা. ৬৯।
২। জ্যোতি বসু, ‘যতদূর মনে পড়ে’, ন্যাশনাল বুক এজেন্সি প্রাইভেট লিমিটেড, কলিকাতা, দ্বিতীয় সংস্করণ আগস্ট ২০০৬, পৃষ্ঠা. ৩২৯-৩৩০।
৩। রামকৃষ্ণ দাশগুপ্ত, ‘কয়েকটি তথ্য’, জ্যোতির্ময় দত্ত সম্পাদিত ‘কলকাতা’ পত্রিকার প্রথম রাজনীতি সংখ্যা (বর্ষা-১৯৭৫), প্রতিভাস ফ্যাক্সিমিলি সংস্করণ, কলিকাতা, এপ্রিল ২০০৪, পৃষ্ঠা. ৯।
৪। সন্দীপ দত্ত, ‘ভারতীয় সংস্কৃতি নিগ্রহের ইতিহাস’, তাপস চক্রবর্তী সম্পাদিত ‘ভারতীয় গণতন্ত্রের (?) স্বরূপ’ (সংযোজিত ও পুনর্মুদ্রিত), গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সমিতি (এ পি ডি আর), কলিকাতা, জানুয়ারি ১৯৯৯, পৃষ্ঠা. ৩৫ (পরিশিষ্ট-৯)।
৫। ঐ, পৃষ্ঠা. ৩৫-৩৬ (পরিশিষ্ট-৯)।
৬। ঐ, পৃষ্ঠা. ৩৬ (পরিশিষ্ট-৯)।
৭। নিরঞ্জন হালদার, ‘জরুরি অবস্থায় বাঙালী বুদ্ধিজীবীর ভূমিকা’, জ্যোতির্ময় দত্ত সম্পাদিত ‘কলকাতা’ পত্রিকার দ্বিতীয় রাজনীতি সংখ্যা (বসন্ত-১৯৭৭), প্রতিভাস ফ্যাক্সিমিলি সংস্করণ, কলিকাতা, এপ্রিল ২০০৪, পৃষ্ঠা.
▲৭। নিরঞ্জন হালদার, ‘জরুরি অবস্থায় বাঙালী বুদ্ধিজীবীর ভূমিকা’, জ্যোতির্ময় দত্ত সম্পাদিত ‘কলকাতা’ পত্রিকার দ্বিতীয় রাজনীতি সংখ্যা (বসন্ত-১৯৭৭), প্রতিভাস ফ্যাক্সিমিলি সংস্করণ, কলিকাতা, এপ্রিল ২০০৪, পৃষ্ঠা. ১৩।
৮। ঐ, পৃষ্ঠা. ১৪।
৯। সন্দীপ দত্ত, ‘ভারতীয় সংস্কৃতি নিগ্রহের ইতিহাস’, তাপস চক্রবর্তী সম্পাদিত ভারতীয় গণতন্ত্রের (?) স্বরূপ (সংযোজিত ও পুনর্মুদ্রিত), গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সমিতি (এ পি ডি আর), কলিকাতা, জানুয়ারি ১৯৯৯, পৃষ্ঠা. ৩৬ (পরিশিষ্ট-৯)।{{অসম্পূর্ণ}}
|