দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
লিঙ্ক
যুক্ত হল পাতা
১ নং লাইন:
[[file:দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার.jpg|thumb|দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার]]
'''দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার''' (ইংরেজি এপ্রিল,১৮৭৭ - ৩০ মার্চ,১৯৫৭, বাংলা ১২৮৪ - ১৩৬৩) বাংলা ভাষার রূপকথার প্রখ্যাত রচয়িতা এবং সাংগ্রহক। তার সংগৃহীত জনপ্রিয় [[রূপকথা|রূপকথার]] সংকলনটি চারটি খণ্ডে প্রকাশিত। খণ্ডগুলো নাম ''[[ঠাকুরমার ঝুলি]]'', ''ঠাকুরদাদার ঝুলি, ঠানদিদির থলে'' ,এবং ''দাদামাশয়ের থলে।''
 
==জন্ম ও পরিবার==
দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার ১২৮৪ বঙ্গাব্দের ২রা বৈশাখ (১৮৭৭ খ্রিষ্টাব্দ) [[ঢাকা জেলা|ঢাকা জেলার]] [[সাভার উপজেলা|সাভার উপজেলায়]] উলাইল এলাকার কর্ণপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।<ref name="ক">Help for Disability and Distress (HDD) কর্তৃক প্রকাশিত বই : সাভার ডিরেক্টরি (সাভার উপজেলার তথ্য সংবলিত বই); প্রকাশকাল: ডিসেম্বর, ২০১২ ইং</ref> তার মাতার নাম কুসুমময়ী ও পিতার নাম রমদারঞ্জন মিত্র মজুমদার। বিদ্যালয়ের অধ্যয়ন শেষে পিতার সঙ্গে ২১ বৎসর বয়সে [[মুর্শিদাবাদ জেলা|মুর্শিদাবাদে]] গিয়ে সেখানে পাঁচ বছর বাস করেন। ১৮৯৮ সালে মুর্শিদাবাদের [[বহরমপুর]] হাইস্কুলে প্রথম বিভাগে এনট্রান্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন তিনি। এরপর [[কৃষ্ণনাথ কলেজ|কৃষ্ণনাথ কলেজে]] এফএ ক্লাসে ভর্তি হন।<ref name=":0">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/nagorik-sangbad/article/1663199/%E0%A6%B2%E0%A7%8B%E0%A6%95%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BF%E0%A6%A3%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A6%A8-%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%9C%E0%A7%81%E0%A6%AE%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B0|শিরোনাম=লোকসাহিত্যের দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার|ওয়েবসাইট=প্রথম আলো|ভাষা=bn|সংগ্রহের-তারিখ=2020-08-10}}</ref> দক্ষিণারঞ্জনের বাবা রমদারঞ্জন ১৯০২ সালে মারা যান। পিতার মৃত্যুর পর তিনি পিসিমা রাজলক্ষ্মীর কাছে [[টাঙ্গাইল|টাঙ্গাইলে]] বসবাস শুরু করেছিলেন।
 
==সাহিত্যকর্ম==
 
পিতার সাথে মুর্শিদাবাদে অবস্থানকালে 'সাহিত্য পরিষদ পত্রিকা','প্রদীপ' প্রভৃতি পত্রিকাতে প্রবন্ধাবলি প্রকাশ করেন। পরে যখন পিতৃষ্বসার জমিদারির ভারপ্রাপ্ত হয়ে ময়মনসিংহে থাকতে শুরু করেন সেই সময় দশ বছর ধরে বাংলার লুপ্তপ্রায় কথাসাহিত্যের সংগ্রহ ও গবেষণা করেন। পরে এই সংগৃহীত উপাদানসমূহ ও ড. [[দীনেশচন্দ্র সেন|দীনেশচন্দ্র সেনের]] উপদেশনুযায়ী রূপকথা, গীতিকার, রসকথা ও ব্রতকথা - এই চারভাগে বিভক্ত করে পূর্ববঙ্গের পল্লি-অঞ্চলের লুপ্তপ্রায় বিপুল কথাসাহিত্যকে 'ঠাকুরমার ঝুলি','ঠাকুরদাদার ঝুলি','দাদামশায়ের থলে','ঠানদিদির থলে' প্রভৃতি গল্পগ্রন্থে স্থায়ী রূপদান করেছেন। ১৯০১ সালে দক্ষিণারঞ্জনের সম্পাদিত মাসিক ‘সুধা’ পত্রিকা প্রকাশিত হয়। তার প্রথম গ্রন্থ ‘উত্থান’ কাব্য প্রকাশিত হয় ১৯০২ সালে। তিনি খুব ভালো ছবি আঁকতেন। নিজের বইয়ের ছবি এবং প্রচ্ছদগুলো সব সময় তিনি নিজেই আঁকতেন। দক্ষিণারঞ্জন ছিলেন একজন অসাধারণ দারুশিল্পী।দারুশিল্পীও। কাঠের শিল্পকর্মে পটু ছিলেন।<ref name=":0" /> তিনি [[বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদ|বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদের]] সহ-সভাপতি ও উক্ত পরিষদের মুখপত্র 'পথ'-এর সম্পাদক ছিলেন এবং পরিষদের বৈজ্ঞানিক পরিভাষা-সমিতির সভাপতিরূপে বাংলায় বিজ্ঞানের বহু পরিভাষা রচনা করেন।<ref name = "সংসদ"> সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, ''সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান'', প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, আগস্ট ২০১৬ পৃষ্ঠা ২৮০, {{আইএসবিএন|978-81-7955-135-6}}</ref>
 
== কাজ ==