লাহোর প্রস্তাব: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Salim Khandoker (আলোচনা | অবদান)
→‎পাকিস্তান প্রস্তাবের ইতিহাস: বানান ঠিক করা হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা
Akib bey (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৫ নং লাইন:
 
== পাকিস্তান প্রস্তাবের ইতিহাস ==
১৯৪০ খ্রীস্টাব্দের ২৩ মার্চ নিখিল ভারত [[মুসলিম লীগ]] ভারতীয় উপমহাদেশে একটি স্বতন্ত্র মুসলিম দেশের দাবী জানিয়ে ঐতিহাসিক '''লাহোর প্রস্তাব''' অনুমোদন করে। বর্তমান পাকিস্তানের [[লাহোর|লাহোরে]] অনুষ্ঠিত নিখিল ভারত মুসলিম লীগের সম্মেলনে পাঞ্জাবের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী সিকান্দার হায়াত খান লাহোর প্রস্তাবের প্রারম্ভিক খসড়া তৈরি করেন এবং [[আবুল কাশেম ফজলুল হক|শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক]] ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাবপ্রস্তাবটি মুসলিম লীগের পক্ষ থেকে উত্থাপনউপস্থাপন করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার বীজ নিহিত ছিলো লাহোর প্রস্তাবের মাঝে।
 
[[দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ]] শুরু হওয়াতে এবং ভারতীয় নেতৃবৃন্দের মতামত না-নিয়ে [[ভারত]] সরকারের যুদ্ধে যোগদানের কারণে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তা আলোচনা করতে এবং ১৯৩৭ সালের সাধারণ নির্বাচনে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রদেশসমূহে মুসলিম লীগের পরাজয়ের কারণ বিশ্লেষণের জন্য [[মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ]] ১৯৪০ সালে লাহোরে [[নিখিল ভারত মুসলিম লীগ|নিখিল ভারত মুসলিম লীগের]] সাধারণ অধিবেশন আহবান করেন।
২৭ নং লাইন:
ভারতের উত্তর-পূর্ব দিকে বাংলা ও আসাম সমবায়ে এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে পাঞ্জাব, উত্তর পশ্চিম সীমান্তপ্রদেশ, সিন্ধু ও বেলুচিস্থান সমবায়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের নিয়ে যে অঞ্চলসমূহ গঠিত, সে অঞ্চলসমূহকে নিয়ে একটি সার্বভৌম স্বাধীন ‘রাষ্ট্র’ গঠন করা হোক এবং কোন রকম বিলম্ব ছাড়াই পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার বাস্তবায়নের বিষয়ে একটি দ্ব্যর্থহীন অঙ্গীকার প্রদান করা হোক। কমিটি এ পরিবর্তনের ব্যাপারে কোন প্রশ্ন তোলে নি।
 
উন্মুক্ত অধিবেশনে প্রস্তাবটি উপস্থাপন করেন সোহরাওয়ার্দীবাংলার তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দী এবং সমর্থন করেন চৌধুরী খালিকুজ্জামান। আবুল হাশিম দাবি করেন যে, আগের দিন জিন্নাহ যখন সাবজেক্ট কমিটি সমীপে এটি তোলেন তখন তিনি বৈধতার প্রশ্নে সেখানে প্রস্তাবটির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন। তিনি অভিমত পোষণ করেন যে, খসড়া প্রস্তাবটিকে লাহোর প্রস্তাবের সংশোধনের মতো মনে হচ্ছিল, যদিও এটা বলা হয়নি, অথবা এটাকে লাহোর প্রস্তাবের সংশোধনের আকারে উপস্থাপন করা হয়নি। তিনি এ ধরনের যুক্তি দেখিয়েছেন বলে দাবি করেন যে, লাহোর প্রস্তাবে ভারতের উত্তর-পূর্ব ও উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলসমূহে দুটি সার্বভৌম রাষ্ট্রকে মনশ্চক্ষে দেখা হয়েছে এবং ১৯৪১ সালে মাদ্রাজে অনুষ্ঠিত নিখিল ভারত মুসলিম লীগের অধিবেশনে প্রস্তাবটিকে ঐ রাজনৈতিক দলটির মৌল বিষয় হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছিল। তিনি এ বিষয়টির ওপর জোর দিয়েছিলেন বলে দাবি করেন যে, মুসলিম লীগের আইন প্রণয়নকারীদের দিল্লি সম্মেলনে লাহোর প্রস্তাবের সারমর্ম পরিবর্তন করা অথবা এর  আকারে রূপান্তর আনয়ন করার ব্যাপারে আইনগত বৈধতা ছিল না।
 
জিন্নাহ প্রথমে লাহোর প্রস্তাবের বহুবচনবাচক ‘এস’ (S)-কে ‘সুস্পষ্ট মুদ্রণ ভ্রম’ হিসেবে অভিহিত করেন।করেন কারণ মূল প্রস্তাবটি ছিল উর্দুতে। কিন্তু যখন আবুল হাশিমের অনুরোধে সভার মূল কার্যবিবরণীর রেকর্ড পরীক্ষা করে দেখা হয় তখন জিন্নাহ তাঁর নিজের দস্তখতের নিচে বহুবচনবাচক ‘এস’ দেখতে পান। জিন্নাহকে তাঁর অভীষ্ট লক্ষ অর্জনে সহায়তা করতে গিয়ে আবুল হাশিম নিশ্চিতভাবে বলেন যে, তিনি (হাশিম) ‘ওয়ান’ শব্দটি ঘষে তুলে ফেলে তদ্স্থলে অনির্দিষ্টবাচক আর্টিকেল ‘এ’ বসানোর ইঙ্গিত দেন যাতে জিন্নাহর প্রস্তাব নিম্নোক্ত রূপ ধারণ করে:
 
আমাদের লক্ষ্য হলো ভারতের উত্তর-পশ্চিমে এবং বাংলা ও আসামকে অন্তর্ভুক্ত করে ভারতের উত্তর-পূর্বে পাকিস্তান রাষ্ট্র কায়েম করা।