বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
→‎ইতিহাস: সম্প্রসারণ
তথ্যসূত্র যোগ/সংশোধন, সম্প্রসারণ
৩৭ নং লাইন:
 
== ইতিহাস ==
এই হাসপাতালের সূচনা হয় ১৯৭১ সালে ভারতের মাটিতে, আগরতলার বিশ্রামগঞ্জে। মুক্তিযুদ্ধের ২ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার খালেদ মোশাররফ তখন সেই এলাকা থেকে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করছিলেন। যুদ্ধে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার জন্যে গড়ে তোলা হয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। নাম দেওয়া হয় বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল। ছন, বাঁশ দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছিল ৪৮০ শয্যার হাসপাতাল, অপারেশন থিয়েটার। যুদ্ধে গুরুতর আহত মুক্তিযোদ্ধাদের জটিল অপারেশনও করা হতো বাঁশের তৈরি এই হাসপাতালে। হাসপাতালটির অন্যতম উদ্যোক্তা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও তৎকালীন পাকিস্তানের একমাত্র কার্ডিয়াক সার্জন ডা. এম এ মবিন। প্যারামেডিক প্রশিক্ষণ দিয়ে গড়ে তোলা হয়েছিল একদল সেবাদানকারী। মানবাধিকার কর্মী ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামালও তাদের একজন।মুক্তিযুদ্ধের প্রতিষ্ঠান ‘বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল’  পরিবর্তিত ‘গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র’ নামে যাত্রা শুরু করে ১৯৭২ সালে। <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.thedailystar.net/bangla/%E0%A6%AE%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%A4/%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7-%E0%A6%97%E0%A6%A3%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%A1%E0%A6%BE-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AB%E0%A6%B0%E0%A6%89%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B9-%E0%A6%93-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9B-%E0%A6%9A%E0%A7%8B%E0%A6%B0-100330|শিরোনাম=মুক্তিযুদ্ধ, গণস্বাস্থ্য, ডা. জাফরুল্লাহ ও মাছ চোর|তারিখ=2018-11-01|ওয়েবসাইট=The Daily Star Bangla|ভাষা=bn|সংগ্রহের-তারিখ=2020-08-07}}</ref>
 
মুক্তিযুদ্ধের সময় নানা ঘটনা চক্রে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। সেই সময় এক জরুরি বৈঠকে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় ১৯৭১ সালে মে মাসের মধ্যেই ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও ডা. এম এ মবিন নিজ খরচে কলকাতা যাবেন প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য। নানান ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে ইন্ডিয়ান এয়ারলাইনসে কলকাতা থেকে আগরতলা আসেন তারা। দুই নম্বর সেক্টরের মেজর খালেদ মোশাররফ, মেজর জিয়া, সফিউল্লাহ, মীর শওকত আলী ও অন্যদের সঙ্গে দেখা করেন তারা। যুদ্ধে ফিল্ড হাসপাতালের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জানান তারা। প্রথমে রাজি না হলেও আহত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা বাড়তে থাকায় মেজর খালেদ মত বদলাতে বাধ্য হন। দুই মাসের নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর দেহরক্ষী হাবুল ব্যানার্জির আনারসবাগানে শুরু হয় ‘বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল’।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.kalerkantho.com/print-edition/sub-editorial/2017/12/09/575209|শিরোনাম=মুক্তিযুদ্ধের ফিল্ড হাসপাতাল {{!}} কালের কণ্ঠ|ওয়েবসাইট=Kalerkantho|ভাষা=bn|সংগ্রহের-তারিখ=2020-08-07}}</ref>
 
প্যারামেডিক প্রশিক্ষণ দিয়ে গড়ে তোলা হয়েছিল একদল সেবাদানকারী। মানবাধিকার কর্মী ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামালও তাদের একজন।মুক্তিযুদ্ধের প্রতিষ্ঠান ‘বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল’  পরিবর্তিত ‘গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র’ নামে যাত্রা শুরু করে ১৯৭২ সালে। <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.thedailystar.net/bangla/%E0%A6%AE%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%A4/%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7-%E0%A6%97%E0%A6%A3%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%A1%E0%A6%BE-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AB%E0%A6%B0%E0%A6%89%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B9-%E0%A6%93-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9B-%E0%A6%9A%E0%A7%8B%E0%A6%B0-100330|শিরোনাম=মুক্তিযুদ্ধ, গণস্বাস্থ্য, ডা. জাফরুল্লাহ ও মাছ চোর|তারিখ=2018-11-01|ওয়েবসাইট=The Daily Star Bangla|ভাষা=bn|সংগ্রহের-তারিখ=2020-08-07}}</ref>
 
== সংযুক্ত ব্যক্তিবর্গ ==
৪৫ ⟶ ৪৯ নং লাইন:
 
-''একাত্তরের দিনগুলি'', শহীদ জননী জাহানারা ইমাম<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.bhorerkagoj.com/print-edition/2019/05/03/248568.php|শিরোনাম=একাত্তরের দিনগুলি : দগ্ধ ও কোমল মৃত্তিকার ইতিহাস|ওয়েবসাইট=www.bhorerkagoj.com|সংগ্রহের-তারিখ=2020-08-07}}</ref></blockquote>এই প্রতিষ্ঠানটির সাথে প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে যুক্ত ছিলেন ডা. মোঃ আব্দুল মবিন এবং [[মোঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী|ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী]]।<ref name="প্রআ" /> সেক্টর-২ এর অধীনে সেখানের কমান্ডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করতেন [[সিতারা বেগম|ডা. ক্যাপ্টেন সিতারা রহমান]], [[বীর প্রতীক]]।<ref name="প্রআ২" /> এছাড়াও এখানে স্বেচ্ছাসেবী হিসাবে যুক্ত ছিলেন [[সুলতানা কামাল (খেলোয়াড়)|সুলতানা কামাল]]।<ref name="প্রোফা" />
 
ডা. মোবিন সেই সময়ে হাসপাতালে কর্মরত কয়েকজন নার্সের কথা উল্লেখ করেন। নার্সদের প্রধান ছিলেন ঢাকার ইডেন কলেজের শিক্ষক জাকিয়া আপা, তাঁর ডেপুটি ছিলেন সুলতানা কামাল। ছিলেন সাইদা কামাল, তার স্ত্রী সৈয়দা নুরুননাহার। নীলিমা বৈদ্য ছিল একমাত্র পাস করা স্টাফ নার্স।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://opinion.bdnews24.com/bangla/archives/43744|শিরোনাম=ফিরে দেখা একাত্তর: একদল চিকিৎসাকর্মী ও একঝাঁক শরণার্থীর কথা {{!}} মতামত|তারিখ=2016-12-26|ওয়েবসাইট=opinion.bdnews24.com|ভাষা=en-US|সংগ্রহের-তারিখ=2020-08-07}}</ref>
 
== মুক্তিযুদ্ধে অবদান ==