বিনয় মজুমদার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
সুত্র
২১ নং লাইন:
 
== শিক্ষা জীবন ==
১৯৪২ সালে তাকে [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] একটি স্কুলে ভর্তি করা হয়। ১৯৪৪ সালে তিনি প্রথম বিভাগে ছাত্রবৃত্তি পরীক্ষায় পাশ করেন। ১৯৪৬ সালে তাকে [[বৌলতলী উচ্চবিদ্যালয়|বৌলতলী উচ্চবিদ্যালয়ে]] সপ্তম শ্রেণীতে ভর্তি করা হয়। ১৯৪৮ সালে দেশভাগের সময় তারা সপরিবারে [[ভারত|ভারতের]] [[কলকাতা|কলকাতায়]] চলে আসেন। এখানে, ১৯৪৯ সালের জানুয়ারি মাসে তাকে [[কক্রিক রো-র|ক্রিক রো-র]]তে অবস্থিত [[মেট্রপলিটন ইনস্টিটিউট]] ([[বউবাজার]] ব্রাঞ্চ)-এ নবম শ্রেণিতে ভর্তি করা হয়। প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হবার পরে, ১৯৫১ সালে আইএসসি (গণিত) পড়ার জন্য [[প্রেসিডেন্সি কলেজ|প্রেসিডেন্সি কলেজে]] ভর্তি হন। ১৯৫৭ সালে তিনি ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হয়ে পাশ করেন। শোনা যায়, তার পাওয়া নম্বর আজও কেউ নাকি ভাঙতে পারেন নি। ১৯৫৭ সালে শিবপুর বি.ই.কলেজ থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেন। <ref name = "সংসদ"> সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, ''সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান'', প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, আগস্ট ২০১৬ পৃষ্ঠা ২৫৬, {{আইএসবিএন|978-81-7955-135-6}}</ref> ১৯৫৮ সালের জানুয়ারি মাসে, অর্থাৎ ছাত্রজীবন সমাপ্ত হবার কয়েকমাস পরেই এনবিএ থেকে প্রকাশিত হয় "অতীতের পৃথিবী" নামক একটি অনুবাদ গ্রন্থ। এই বছরেই গ্রন্থজগৎ থেকে বের হয় তার প্রথম কাব্য গ্রন্থ 'নক্ষত্রের আলোয়'। ১৯৫৩-৫৭ সাল পর্যন্ত রুশ ভাষা শিক্ষা গ্রহণ করে কিছু রুশ সাহিত্য বাংলা ভাষায় অনুবাদ করেন।
 
==কর্মজীবন==
২৯ নং লাইন:
== কবি জীবন ==
 
বৌলতলি হাই-ইংলিশ স্কুলের ম্যাগাজিনে প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয়। ত্রিপুরা গভর্নমেন্ট কলেজে অল্পকিছুদিন শিক্ষকতা করার পর স্থির করেন শুধুই কবিতা লিখবেন। লেখা শুরু করেন 'ফিরে এসো চাকা'। এই সময় তিনি দুর্গাপুর স্টিল প্লান্টেও কিছুদিন কাজ করেন। তখন থেকেই মানসিক অসুস্থতার লক্ষণ দেখা যায়। ১৯৬৬ সালে লিখতে শুরু করেন 'আঘ্রানের অনুভূতিমালা' ও 'ঈশ্বরীর স্বরচিত নিবন্ধ'। বিশটি কাছাকাছি কাব্যগ্রন্থ লিখেছিলেন। যার মধ্যে "ফিরে এসো চাকা" তাকে সবচেয়ে বেশি খ্যাতি দিয়েছে।এছাড়াওদিয়েছে। এছাড়াও নক্ষত্রের আলোয়, গায়ত্রীকে, অধিকন্তু,ঈশ্বরীর,বাল্মীকির কবিতা, আমাদের বাগানে, আমি এই সভায়, এক পংক্তির কবিতা, আমাকেও মনে রেখো-ইত্যাদি রচনা করেছিলেন। রহস্যময়তা, প্রতীকের সন্ধান, জড় ও প্রাণের সম্পর্কে ব্যাখ্যা ছিল তাঁর কবিতার মর্মবস্তু। এরসাথে মৌলিক প্রতিমা নির্মাণ,বিশিষ্ট অন্বয় এবং ভাবের ও আবেগের তীব্রতা নিবিড়তা স্বাতন্ত্র্য দিয়েছে। <ref name="সাহিত্যসঙ্গী">শিশিরকুমার দাশ সংকলিত ও সম্পাদিত, ''সংসদ বাংলা সাহিত্যসঙ্গী'', সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, আগস্ট ২০১৯, পৃষ্ঠা১৪৫ {{আইএসবিএন|978-81-7955-007-9}}</ref> ১৯৬২-৬৩ সালে বিনয় মজুমদার [[হাংরি আন্দোলন]]-এ যোগ দেন এবং তার কয়েকটি কবিতা হাংরি বুলেটিনে প্রকাশিত হয় ।হয়। পরবর্তীকালে, অর্থাৎ ১৯৬৩ সালের শেষ দিকে তিনি [[শক্তি চট্টোপাধ্যায়]] এবং [[সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়]]-এর কার্যকলাপে বিরক্ত হয়ে তাদের বিরুদ্ধে একটি হাংরি বুলেটিন প্রকাশ করে কলকাতা কফিহাইসে বিলি করার পর হাংরি আন্দোলন ত্যাগ করেন ।করেন।
 
==কাব্যগ্রন্থ সমূহ==
৪২ নং লাইন:
== মৃত্যু ==
 
কবিতার জগতে তাঁর স্বকীয়তা এবং বিজ্ঞানে, বিশেষত গণিতে প্রগাঢ় আগ্রহ নিয়ে প্রথম থেকেই প্রথা ভেঙ্গে এগোচ্ছিলেন তিনি। ফলে সমকালীন কাব্যজগত হতে পৃথক জায়গায় ছিলেন। এর সাথে তাঁর নিজের কিছুটা অসুস্থতা ,কিছুটা সচেতন বিচ্ছিন্নতা তাঁকে কষ্ট দিয়েছে। ফলে দীর্ঘ সময় ঠাকুরনগরে নিজের বাড়িতে একা থাকতেন। ১৯৮৭ সাল নাগাদ বিনয় মানসিক ব্যাধির কারণে দীর্ঘ দিন [[মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, কলকাতা|কলকাতা মেডিকেল কলেজে]] চিকিৎসাধীন ছিলেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.anandabazar.com/supplementary/rabibashoriyo/an-article-on-binoy-majumdar-1.1091044|শিরোনাম=কথা দিচ্ছি গায়ত্রীর ঠিকানা পাবে|ওয়েবসাইট=anandabazar.com|ভাষা=bn|সংগ্রহের-তারিখ=2020-08-06}}</ref> আর্থিক অনটনে ভুগেছেন। প্রতিবেশীরাই তাঁর দেখাশোনা করতেন। শেষে তিনি দীর্ঘ রোগভোগের পর ২০০৬ সালের ১১ই ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
তিনি দীর্ঘ রোগভোগের পর ২০০৬ সালের ১১ই ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
 
== পুরস্কার ==