স্কট মুলার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট - অনুচ্ছেদ সৃষ্টি! |
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট - অনুচ্ছেদ সৃষ্টি! |
||
৮১ নং লাইন:
'''স্কট অ্যান্ড্রু মুলার''' ({{lang-en|Scott Muller}}; জন্ম: ১১ জুলাই, ১৯৭১) কুইন্সল্যান্ডের হারস্টন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। [[অস্ট্রেলিয়া জাতীয় ক্রিকেট দল|অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের]] অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯০-এর দশকের শেষদিকে অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
১৯৯৯ সালে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় তার।<ref>http://www.espncricinfo.com/australia/content/player/6665.html</ref> ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে [[কুইন্সল্যান্ড ক্রিকেট দল|কুইন্সল্যান্ড দলের]] প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন '''স্কট মুলার'''।
== প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট ==
১৯৯০-৯১ মৌসুম থেকে ১৯৯৯-২০০০ মৌসুম পর্যন্ত স্কট মুলারের [[প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট|প্রথম-শ্রেণীর]] খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ১৯ বছর বয়সে প্রতিশ্রুতিশীলতার স্বাক্ষর রেখে খেলার জগতে অগ্রসর হন। ১৯৯০-৯১ মৌসুমে মেলবোর্নে কুইন্সল্যান্ড বনাম [[ভিক্টোরিয়া ক্রিকেট দল|ভিক্টোরিয়া দলের]] মধ্যকার খেলার মাধ্যমে স্কট মুলারের প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে।
কিন্তু, খুব শীঘ্রই তিনি এ ধারা থেকে নিজেকে বিচ্যুত করেন ও ১৯৯৬-৯৭ মৌসুমের পূর্ব-পর্যন্ত আর কুইন্সল্যান্ডের পক্ষে খেলতে পারেননি। ১৯৯৮-৯৯ মৌসুমে ঘরোয়া ক্রিকেটে দূর্দান্ত খেলেন। ফলশ্রুতিতে, জাতীয় দলের পক্ষে খেলার জন্যে আমন্ত্রণ বার্তা পান।
ব্যবসায়িক দায়বদ্ধতা সত্ত্বেও খেলা চালিয়ে যেতে থাকেন। কুইন্সল্যান্ড বুলসের পক্ষে [[শেফিল্ড শিল্ড]] প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত খেলা থেকে সড়ে দাঁড়ান। এমনকি, অল্প কিছুকাল পরই প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে নিজের অবসর গ্রহণের কথা ঘোষণা করেন তিনি। এক পর্যায়ে কুইন্সল্যান্ডের কোচ জন বুকাননের অনুরোধক্রমে পুণরায় খেলার জগতে ফিরে এসেছিলেন। পরবর্তী দুই বছর হতাশার পাশাপাশি ক্রমাগত আঘাতপ্রাপ্তির ফলে দীর্ঘসময় মাঠের বাইরে তাকে অবস্থান করতে হয়। ▼
▲ব্যবসায়িক দায়বদ্ধতা সত্ত্বেও খেলা চালিয়ে যেতে থাকেন। কুইন্সল্যান্ড বুলসের পক্ষে [[শেফিল্ড শিল্ড]] প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত খেলা থেকে সড়ে দাঁড়ান। এমনকি, অল্প কিছুকাল পরই প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে নিজের অবসর গ্রহণের কথা ঘোষণা করেন তিনি। এক পর্যায়ে কুইন্সল্যান্ডের কোচ [[John Buchanan (Australian cricketer)|জন বুকাননের]] অনুরোধক্রমে পুণরায় খেলার জগতে ফিরে এসেছিলেন। পরবর্তী দুই বছর হতাশার পাশাপাশি ক্রমাগত আঘাতপ্রাপ্তির ফলে দীর্ঘসময় মাঠের বাইরে তাকে অবস্থান করতে হয়।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইটিমাত্র [[টেস্ট ক্রিকেট|টেস্টে]] অংশগ্রহণ করেছেন স্কট মুলার। সবগুলো টেস্টই পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলেছিলেন তিনি। ৫ নভেম্বর, ১৯৯৯ তারিখে ব্রিসবেনে সফরকারী পাকিস্তান দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এরপর, ১৮ নভেম্বর, ১৯৯৯ তারিখে হোবার্টে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।▼
== আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ==
ঘরোয়া ক্রিকেটে দূর্দান্ত খেলার স্বীকৃতিস্বরূপ আঘাতপ্রাপ্ত [[জেসন গিলেস্পি|জেসন গিলেস্পি’র]] পরিবর্তে বিস্ময়করভাবে সেপ্টেম্বর, ১৯৯৯ সালে শ্রীলঙ্কা গমনের উদ্দেশ্যে তাকে অস্ট্রেলিয়া দলে অন্তর্ভূক্ত করা হয়। এর দুই মাস পর ব্রিসবেনে সফরকারী পাকিস্তান দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। তবে তার উত্থান পর্ব অনেকাংশে হঠাৎ আলোর ঝলকানীর ন্যায় ছিল। দশম উইকেট জুটিতে [[শেন ওয়ার্ন|শেন ওয়ার্নের]] সাথে ৮৬ রানের নতুন রেকর্ডের সাথে যুক্ত হন। তবে, তার বোলিংয়ে অগোছালোভাব ও নিখুঁত নিশানা বরাবর বোলিংয়ে অমনোযোগিতা লক্ষ্য করা যায়। এরপর তাকে দলের বাইরে রাখা হয়। ▼
▲সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইটিমাত্র [[টেস্ট ক্রিকেট|টেস্টে]] অংশগ্রহণ করেছেন স্কট মুলার। সবগুলো টেস্টই পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলেছিলেন তিনি। ৫ নভেম্বর, ১৯৯৯ তারিখে ব্রিসবেনে সফরকারী [[পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দল|পাকিস্তান দলের]] বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এরপর, ১৮ নভেম্বর, ১৯৯৯ তারিখে হোবার্টে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
▲ঘরোয়া ক্রিকেটে দূর্দান্ত খেলার স্বীকৃতিস্বরূপ আঘাতপ্রাপ্ত [[জেসন গিলেস্পি|জেসন গিলেস্পি’র]] পরিবর্তে বিস্ময়করভাবে সেপ্টেম্বর, ১৯৯৯ সালে শ্রীলঙ্কা গমনের উদ্দেশ্যে তাকে অস্ট্রেলিয়া দলে অন্তর্ভূক্ত করা হয়। এর দুই মাস পর ব্রিসবেনে সফরকারী পাকিস্তান দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। তবে তার উত্থান পর্ব অনেকাংশে হঠাৎ আলোর ঝলকানীর ন্যায় ছিল।
[[Pakistani cricket team in Australia in 1999–2000|১৯৯৯]] সালে পাকিস্তান ক্রিকেট দল অস্ট্রেলিয়া গমনে আসে। সিরিজের দুই টেস্টে স্কট মুলারকে রাখা হয়। অ্যাডাম গিলক্রিস্টের সাথে তার একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। খেলায় তিনি সাত উইকেট দখল করেন। সবগুলো উইকেটই প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যানদের ছিল।<ref>[[Wisden Cricketers' Almanack|Wisden]] 2001, pp. 1126–31.</ref> উভয় খেলায় স্বাগতিকরা জয়লাভ করতে সক্ষম হয়। কিন্তু, তিনি তুলনামূলকভাবে বেশ রান খরচ করে ফেলেন। ওভারপ্রতি ৪.৫ রান দেন।<ref>[[Wisden Cricketers' Almanack|Wisden]] 2001, p. 1125.</ref> [[মাইকেল কাসপ্রোভিচ|মাইকেল কাসপ্রোভিচকে]] তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়। দশম উইকেট জুটিতে [[শেন ওয়ার্ন|শেন ওয়ার্নের]] সাথে ৮৬ রানের নতুন রেকর্ডের সাথে যুক্ত হন। তবে, তার বোলিংয়ে অগোছালোভাব ও নিখুঁত নিশানা বরাবর বোলিংয়ে অমনোযোগিতা লক্ষ্য করা যায়। এরপর তাকে দলের বাইরে রাখা হয়।
== বিতর্কিত ভূমিকা ==
১০৩ ⟶ ১০৮ নং লাইন:
* {{ক্রিকইনফো}}
* {{ক্রিকেটআর্কাইভ}}
*[http://observer.guardian.co.uk/osm/story/0,6903,562547,00.html
{{কুইন্সল্যান্ড দল ১৯৯৬-৯৭ শেফিল্ড শিল্ড চ্যাম্পিয়ন}}
{{কুইন্সল্যান্ড দল ১৯৯৯-০০ শেফিল্ড শিল্ড চ্যাম্পিয়ন}}
|