নটর ডেম কলেজ, ঢাকা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

[অপরীক্ষিত সংশোধন][অপরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
১১৯ নং লাইন:
নটর ডেম কলেজে ছাত্রদের জন্য নির্ধারিত পোশাক পরা আবশ্যক। তবে প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে শুরু করে ২০১২ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত নির্দিষ্ট কোন পোশাক ছিল না। তখন শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দ অনুযায়ী মার্জিত পোশাকেই ক্লাস করত। ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে কলেজ কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত ইউনিফর্ম বাধ্যতামূলক করে। ছাত্রদের [[ক্রিম রং|ক্রিম রঙের]] [[শার্ট]], [[কালো]] রঙের প্যান্ট এবং কালো রঙের জুতা পরা বাধ্যতামূলক। ডিগ্রি অধ্যয়নরত ছাত্রদের জন্য [[নীল|হালকা নীলচে]] রঙের শার্ট, কালো রঙের প্যান্ট এবং কালো রঙের জুতা নির্ধারিত।
 
== অবকাঠামো ==
== শিক্ষাঙ্গন ==
নটর ডেম কলেজ, রোমান ক্যাথলিক ধর্মযাজকদের দ্বারা পরিচালিত হলেও সকল ধর্মাবলম্বী ছাত্রই এখানে অধ্যয়ন করতে পারে। পবিত্র ক্রুশ সন্ন্যাস সংঘের যাজকদের দ্বারা কলেজটি পরিচালিত হয়। তবে এতে যাজক-যাজিকা ছাড়াও অযাজকীয় শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন।<ref name="নির্দেশিকা" /> কলেজটির শিক্ষাঙ্গনের আয়তন {{রূপান্তর|5|acre|m2}}। উচ্চতর শিক্ষার বিস্তৃতির লক্ষ্যে কলেজ কর্তৃপক্ষ ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে নটর ডেম কলেজ কর্তৃপক্ষ [[নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ]]কে চার [[বিঘা]] জমি অনুদান দেয়, যেখানে বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম চলছে।<ref name="আনন্দলোকে"/>
 
=== মাতা মেরী ===
[[চিত্র:Mata meri.jpg|থাম্ব|ডান|220px|কলেজের প্রবেশমুখে মেরীর কোলাজচিত্র]]
নটর ডেম কলেজের সবচেয়ে প্রতীকী স্থান হিসেবে বিবেচনা করা হয় মূল প্রবেশদ্বার থেকে কিছুটা সামনে [[মেরি, যিশুর মাতা|মেরীর]] কোলাজচিত্র “[[জ্ঞানের আসন]]” ও তৎসংলগ্ন এলাকা, যা সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে ''মাতা মেরী'' নামেই জনপ্রিয়। ৬ ফুট &times; ৮ ফুটের এ কোলাজচিত্রটি “হ্যারিংটন ভবনের” পূর্বদিকে মুক্তভাবে স্থাপিত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। প্রতিষ্ঠানটি যিশুর মা [[মেরি, যিশুর মাতা|মেরীর]] স্মৃতিতে উৎসর্গীকৃত বলে দীর্ঘসময় ধরে পরিকল্পনা করে কলেজটির একটি প্রতীক হিসেবে এটি তৈরি করা হয়েছে।
 
এতে দেখা যায়, [[মেরি, যিশুর মাতা|মেরী]] শিশু যিশুকে বর্ণমালা শিক্ষা দিচ্ছেন আর পাশ থেকে উজ্জ্বল “দীপ্তি” পুরো পরিবেশকে আলোকিত করে রেখেছে, যা খ্রিষ্ট ধর্মমতানুযায়ী যিশুর পৃথিবীর আলোক উৎস হবার ধারণাকে প্রতীকায়িত করে। এতে মেরীকে সাধারণ [[শাড়ি|বাঙালি শাড়ি]] ও যিশুকে [[পায়জামা]]-[[পাঞ্জাবি]] পরে থাকতে দেখা যায়, যা তাদের শিক্ষার সার্বজনীনতাকে প্রতিনিধিত্ব করে।<ref group="টীকা">উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে শিক্ষার আসনরূপে কল্পনা করলে এতে দেখা যায়, [[যিশু]] তার আসন হিসেবে মেরীর কোলে বসে ধর্মগ্রন্থসহ জ্ঞানের সকল আঙ্গিনায় পদার্পণ করেছেন। তাই [[খ্রিস্ট ধর্ম|খ্রিষ্ট ধর্ম]]মত অনুযায়ী মেরীকে “জ্ঞানের আসন” বলে অভিহিত করা হয়।</ref>
 
কোলাজচিত্রটির শিল্পী হলেন - মির্জা রবিউল আলম খোকন। নটর ডেম কলেজের এ [[টালিকরণ|কোলাজচিত্রটির]] পেছনে তিনি তার দলসহ টানা একমাস সময় ব্যয় করেন। ঢাকা ও চট্টগ্রামের পাশাপাশি কিছু টালি [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশে]] না পাওয়ায় [[শ্রীলঙ্কা]] থেকে এনেছিলেন। ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৯ অক্টোবর কাজ শেষে এটি স্ব-স্থানে বসানো হয়।<ref name="সুবর্ণ স্মারক">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=|শিরোনাম=Mossaic Picture at Notre Dame College|ভাষা=ইংরেজি|অনূদিত-শিরোনাম=নটর ডেম কলেজের মোজাইক ছবি|শেষাংশ=টি বেনাস|প্রথমাংশ=জেমস|তারিখ=|বছর=১৯৯৯|সম্পাদক-শেষাংশ=আজমল|সম্পাদক-প্রথমাংশ=গাজী|সাময়িকী=সুবর্ণ স্মারক|প্রকাশক=নটর ডেম কলেজ|প্রকাশনার-তারিখ=১১ নভেম্বর ১৯৯৯|পাতা=৯৩|সংগ্রহের-তারিখ=}}</ref>
 
=== ভবন ===
১৪৭ ⟶ ১৩৯ নং লাইন:
 
২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের শুরুর দিকে "''ফাদার পিশোতো ভবনের''" কাজ শুরু হয় এবং ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বর মাসে তা উদ্বোধন করা হয়। ফাদার পিশোতো ভবনের নিচ তলার পুরোটা জুড়ে ক্যান্টিন এবং দোতলায় কলেজের জিমনেশিয়াম স্থাপন করা হয়েছে। নতুন ভবনটিতে “[[#নটর ডেম অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন|নটর ডেম অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের]]” একটি কার্যালয় স্থাপন করা হয়।
 
=== মাতা মেরী ===
[[চিত্র:Mata meri.jpg|থাম্ব|ডান|220px|কলেজের প্রবেশমুখে মেরীর কোলাজচিত্র]]
নটর ডেম কলেজের সবচেয়ে প্রতীকী স্থান হিসেবে বিবেচনা করা হয় মূল প্রবেশদ্বার থেকে কিছুটা সামনে [[মেরি, যিশুর মাতা|মেরীর]] কোলাজচিত্র “[[জ্ঞানের আসন]]” ও তৎসংলগ্ন এলাকা, যা সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে ''মাতা মেরী'' নামেই জনপ্রিয়। ৬ ফুট &times; ৮ ফুটের এ কোলাজচিত্রটি “হ্যারিংটন ভবনের” পূর্বদিকে মুক্তভাবে স্থাপিত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। প্রতিষ্ঠানটি যিশুর মা [[মেরি, যিশুর মাতা|মেরীর]] স্মৃতিতে উৎসর্গীকৃত বলে দীর্ঘসময় ধরে পরিকল্পনা করে কলেজটির একটি প্রতীক হিসেবে এটি তৈরি করা হয়েছে।
 
এতে দেখা যায়, [[মেরি, যিশুর মাতা|মেরী]] শিশু যিশুকে বর্ণমালা শিক্ষা দিচ্ছেন আর পাশ থেকে উজ্জ্বল “দীপ্তি” পুরো পরিবেশকে আলোকিত করে রেখেছে, যা খ্রিষ্ট ধর্মমতানুযায়ী যিশুর পৃথিবীর আলোক উৎস হবার ধারণাকে প্রতীকায়িত করে। এতে মেরীকে সাধারণ [[শাড়ি|বাঙালি শাড়ি]] ও যিশুকে [[পায়জামা]]-[[পাঞ্জাবি]] পরে থাকতে দেখা যায়, যা তাদের শিক্ষার সার্বজনীনতাকে প্রতিনিধিত্ব করে।<ref group="টীকা">উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে শিক্ষার আসনরূপে কল্পনা করলে এতে দেখা যায়, [[যিশু]] তার আসন হিসেবে মেরীর কোলে বসে ধর্মগ্রন্থসহ জ্ঞানের সকল আঙ্গিনায় পদার্পণ করেছেন। তাই [[খ্রিস্ট ধর্ম|খ্রিষ্ট ধর্ম]]মত অনুযায়ী মেরীকে “জ্ঞানের আসন” বলে অভিহিত করা হয়।</ref>
 
কোলাজচিত্রটির শিল্পী হলেন - মির্জা রবিউল আলম খোকন। নটর ডেম কলেজের এ [[টালিকরণ|কোলাজচিত্রটির]] পেছনে তিনি তার দলসহ টানা একমাস সময় ব্যয় করেন। ঢাকা ও চট্টগ্রামের পাশাপাশি কিছু টালি [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশে]] না পাওয়ায় [[শ্রীলঙ্কা]] থেকে এনেছিলেন। ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৯ অক্টোবর কাজ শেষে এটি স্ব-স্থানে বসানো হয়।<ref name="সুবর্ণ স্মারক">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=|শিরোনাম=Mossaic Picture at Notre Dame College|ভাষা=ইংরেজি|অনূদিত-শিরোনাম=নটর ডেম কলেজের মোজাইক ছবি|শেষাংশ=টি বেনাস|প্রথমাংশ=জেমস|তারিখ=|বছর=১৯৯৯|সম্পাদক-শেষাংশ=আজমল|সম্পাদক-প্রথমাংশ=গাজী|সাময়িকী=সুবর্ণ স্মারক|প্রকাশক=নটর ডেম কলেজ|প্রকাশনার-তারিখ=১১ নভেম্বর ১৯৯৯|পাতা=৯৩|সংগ্রহের-তারিখ=}}</ref>
 
=== গ্রন্থাগার ===