নটর ডেম কলেজ, ঢাকা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
[অপরীক্ষিত সংশোধন] | [অপরীক্ষিত সংশোধন] |
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা |
সম্পাদনা সারাংশ নেই ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা |
||
১৩৭ নং লাইন:
১৯৪৯ খ্রিষ্টাব্দ হতে ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত নটর ডেম কলেজের অবস্থান লক্ষ্মীবাজারেই ছিল। ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দে ছাত্রসংখ্যা ৯২-এ উন্নীত হয়। এতে আবাসিক ও শিক্ষাভবনের স্থানাভাব দেখা দিলে মূলত কলেজের জন্য নতুন জায়গা দেখার কাজ শুরু হয়। ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারি মাসে ঢাকার [[মতিঝিল]]<ref group="টীকা">বর্তমান ম্যাথিস হাউজের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বদিকের সম্পূর্ণ অংশ ছিল জলমগ্ন জলাভূমি বা ঝিল, যে কারণে পরবর্তীতে এই এলাকার নাম হয় ''মতিঝিল''।</ref> এলাকায় কলেজের জন্য একটি নতুন জমি কেনা হয়। ১৭ জানুয়ারি জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে [[মুম্বই|বোম্বের]] কার্ডিনাল [[ভ্যালেরিয়ান গ্রাসিয়াস]] ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং যিশুর মা মেরির নামে কলেজের নামকরণ করা হয় ''নটর ডেম কলেজ''। ''ফাদার হ্যারিংটন ভবনের'' ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য [[ওয়াল্টার অ্যালেন জেনকিন্স|ডব্লিউ এ জেনকিন্স]] ও পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর [[চৌধুরী খালিকুজ্জামান]]।<ref name="আনন্দলোকে"/> মতিঝিলে ''ফাদার হ্যারিংটন ভবন'' নির্মাণের পরপরই ১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দের মে মাসে লক্ষ্মীবাজার ত্যাগ করে নতুন স্থানে কলেজ স্থানান্তরিত হয় এবং ৮ জুলাই নতুন ভবনে প্রথম ক্লাস শুরু হয়। ব্যবহারিক ক্লাসে ব্যবহৃত টিনের ঘরটি বর্তমান ম্যাথিস হাউজের পেছনে স্থানান্তরিত করে [[খাবারঘর]] হিসেবে ব্যবহৃত হতে থাকে। এ সময়ে নটর ডেম কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আই.এ পরীক্ষায় অত্যন্ত ভালো ফলাফল অর্জন করে। এই আট বছরের মধ্যে সাত বছরই সম্মিলিত মেধা তালিকায় কলেজের ছাত্ররা প্রথম স্থান অধিকার করে।<ref name="ব্লু অ্যান্ড গোল্ড"/> বর্তমানে ভবনটির নিচতলা অধ্যক্ষের কক্ষ ও প্রশাসনিক কার্যক্রমের জন্য ব্যবহার করা হয়। দ্বিতীয় তলায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং রসায়ন গবেষণাগার, উপাধ্যক্ষ ও ছাত্রপরিচালকের কক্ষ রয়েছে। তৃতীয় তলা শিক্ষাতয়নিক কাজে ব্যবহৃত হয়।
১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দ থেকে কলেজের শিক্ষার্থী সংখ্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেতে থাকলে মূল কলেজ ভবনের উত্তরে আরেকটি চারতলা ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ভবনের দ্বিতীয় তলায় আবাসিক ছাত্রাবাস ও নিচতলায় মিলনায়তন স্থাপন করা হয়। ১৯৬০ খ্রিষ্টাব্দে নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পর ঐ বছরের ২১ মার্চ অধ্যক্ষ জেমস এল মার্টিন টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার [[হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল|হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে]] মৃত্যুবরণ করেন। তার নামানুসারে নতুন ভবনের নামকরণ করা হয় “ফাদার মার্টিন হল”। এরপর [[থিওটোনিয়াস অমল গাঙ্গুলী]] প্রথম বাঙালি অধ্যক্ষ হিসেবে জেমস মার্টিনের স্থলাভিষিক্ত হন।
১৯৬৪ খ্রিষ্টাব্দে মূল ভবনের দক্ষিণে যাজকদের জন্য ম্যাথিস হাউজ সংযোজিত হয়। ঐ বছরের ৮ ডিসেম্বর মেরির অমলোদ্ভবা পর্বদিবসে অধ্যক্ষ অমল গাঙ্গুলী ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। তৎকালীন [[পূর্ব বাংলা|পূর্ববঙ্গে]] পবিত্র ক্রুশ সংঘের ফাদারদের মিশনারি কর্মকাণ্ডের অন্যতম উদ্যোক্তা মাইকেল ম্যাথিসের নামে ভবনের নামকরণ করা হয় ম্যাথিস ভবন। ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দ থেকে এই ভবনের নিচতলা সেমিনারিয়ান ও ব্রাদারদের পাঠাগার হিসেবে ব্যবহৃত হতে থাকে।
|