জন বেক: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Suvray (আলোচনা | অবদান)
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট - অনুচ্ছেদ সৃষ্টি!
Suvray (আলোচনা | অবদান)
ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি - অনুচ্ছেদ সৃষ্টি!
৭১ নং লাইন:
 
== প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট ==
১৯৫৩-৫৪ মৌসুম থেকে ১৯৬১-৬২ মৌসুম পর্যন্ত জন বেকের [[প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট|প্রথম-শ্রেণীর]] খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। অসাধারণ ফিল্ডার ছিলেন তিনি। সকল ধরনের শট খেলায় নিপুণতা দেখান। কিন্তু, খুব দ্রুত রান তোলার দিকে মনোনিবেশ ঘটাতেন। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি মিডিয়াম পেস বোলিংয়ে দক্ষ ছিলেন।
 
১৯৫৪-৫৫ মৌসুম থেকে ১৯৬১-৬২ মৌসুম পর্যন্ত ওয়েলিংটনের পক্ষে খেলে মিশ্র সফলতার স্বাক্ষর রাখেন জন বেক।<ref>[https://cricketarchive.com/Archive/Players/0/975/f_Batting_by_Season.html John Beck batting and fielding by season]</ref> তন্মধ্যে, ১৯৫৫-৫৬ মৌসুমে [[ক্যান্টারবারি ক্রিকেট দল|ক্যান্টারবারির]] বিপক্ষে ১৪৯ রানের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেন।<ref>[https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/21/21846.html Canterbury v Wellington, 1955–56]</ref>
ওয়েলিংটন ও নর্থ আইল্যান্ডের সদস্যরূপে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ৪১টি খেলায় অংশ নিয়ে ২৩.৯০ গড়ে ১,৫০৮ রান তুলেন। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি মিডিয়াম পেস বোলিংয়ে দক্ষ ছিলেন।
 
ওয়েলিংটন ও [[North Island cricket team|নর্থ আইল্যান্ডের]] সদস্যরূপে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ৪১টি খেলায় অংশ নিয়ে ২৩.৯০ গড়ে ১,৫০৮ রান তুলেন। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি মিডিয়াম পেস বোলিংয়ে দক্ষ ছিলেন।
 
== আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ==
৮০ ⟶ ৮২ নং লাইন:
আক্রমণধর্মী বামহাতি ব্যাটসম্যানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন জন বেক। পাশাপাশি ফিল্ডার হিসেবে বেশ সুনাম কুড়িয়েছিলেন তিনি। ১৯ বছর বয়সে [[New Zealand cricket team in South Africa in 1953–54|১৯৫৩-৫৪]] মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকা গমনার্থে তাকে নিউজিল্যান্ড দলে রাখা হয়। অথচ, এরপূর্বে তিনি কোন প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলায় অংশগ্রহণ করেননি। তবে, বিদ্যালয় জীবনে তার চমৎকার ক্রীড়াশৈলী ও প্রতিশ্রুতিশীলতাকে বিবেচনায় আনা হয়েছিল।<ref name="WCA">''[[Wisden Cricketers' Almanack|Wisden]]'' 2001, pp. 1575–76.</ref> কেপটাউনে অনুষ্ঠিত সিরিজের তৃতীয় টেস্টে ৯৯ রানে দূর্ভাগ্যজনকভাবে [[রান আউট|রান আউটের]] শিকার হয়েছিলেন তিনি। এ পর্যায়ে পঞ্চম উইকেটে [[জন রিচার্ড রিড|জন রিডের]] সাথে ১৭৪ রানের জুটি গড়েছিলেন। তন্মধ্যে, দ্বিতীয় দিনে মধ্যাহ্নভোজন ও চাবিরতির মাঝখানে দুই ঘন্টায় তারা ১৬৫ রান তুলেছিলেন।<ref>''Wisden'' 1955, p. 800.</ref>
 
== ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি ==
দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শেষে ১৯৫৫-৫৬ মৌসুমের পূর্ব-পর্যন্ত তাকে আর জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ দেয়া হয়নি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে দুইবার অর্ধ-শতরানের সন্ধান পান তিনি। ১৯৫৫-৫৬ মৌসুমে নিউজিল্যান্ডের প্রথম টেস্ট বিজয়ে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। অকল্যান্ডে সফরকারী [[ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল|ওয়েস্ট ইন্ডিজের]] বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৩৮ রান তুলেন। নিম্নমূখী রানের খেলায় পঞ্চম উইকেট জুটিতে আবারও জন রিডের সাথে ১০৪ রান তুলেন। এ জুটিই খেলার সর্বোচ্চ ছিল।<ref>''Wisden'' 1957, pp. 837–38.</ref>
 
অংশগ্রহণকৃত আট টেস্টে ২৬.৮০ গড়ে ৩৯৪ রান তুলেছিলেন তিনি। ক্রিকেটের পাশাপাশি রাগবি ও টেনিস খেলতেন এবং ট্র্যাক এন্ড ফিল্ডে সফলতা পেয়েছেন। তবে, সমগ্র জীবনে ক্রিকেটের দিকেই তার আগ্রহ ছিল সমধিক। তার বয়সী অন্যতম সেরা রহস্যময় খেলোয়াড় হিসেবে চিত্রিত হন। তার মাঝে প্রতিশ্রুতিশীলতার স্বাক্ষর ছিল ও তিনি কোন কিছুই দক্ষতা প্রদর্শন করতে পারেননি।<ref>Brooke, p. 36.</ref> সর্বত্র ধারনা করা হয় যে, নিয়মানুবর্তীতার অভাবেই তিনি তার প্রতিভাকে বিকশিত করতে পারেননি।<ref name="WCA"/>
 
২৪ এপ্রিল, ২০০০ তারিখে ৬৫ বছর বয়সে ওয়েলিংটনের ওয়াইকানেই এলাকায় জন বেকের দেহাবসান ঘটে। অকল্যান্ডে ১৯৫৬ সালে বিজয়ী দলের পুণর্মিলনী অনুষ্ঠানে যোগদানের এক সপ্তাহ পর তার মৃত্যু হয়। তার আত্মার শান্তি কামনায় ছয়জন জীবিত খেলোয়াড় এক মিনিট নিরবতা পালন করেন।