অতুলচন্দ্র ঘোষ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
নতুন পরিচ্ছেদ
পাতার সংযোগ
২৪ নং লাইন:
|footnotes =
}}
'''অতুলচন্দ্র ঘোষ''' (২ মার্চ ১৮৮১ - ১৫ অক্টোবর ১৯৬২) ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক কর্মী, [[লোকসেবক সঙ্ঘ| লোকসেবক সঙ্ঘের]] প্রতিষ্ঠাতা ও পুরুলিয়া জেলার বঙ্গভূক্তি আন্দোলনের মূখ্যস্থপতি।
 
==জীবনী ==
অতুলচন্দ্র ঘোষের জন্ম [[পশ্চিমবঙ্গ|পশ্চিমবঙ্গের]] [[পূর্ব বর্ধমান জেলা|পূর্ব বর্ধমান জেলার]] খণ্ডঘোষে। পিতার নাম মাখনলাল ঘোষ ।ঘোষ। তাঁর শৈশব কাটে পিতৃব্য হিতলাল ঘোষের কাছে বর্তমান পুরুলিয়া জেলার অযোধ্যায় ।অযোধ্যায়। পরে প্রতিপালিত হন ওখানকার এক উকিল মেসোমশাইয়ের কাছে । বর্ধমান মহারাজা স্কুল থেকে ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দে প্রবেশিকা ও কলজ হতে ১৯০১ খ্রিস্টাব্দে এফ.এ পাশ করে কলকাতার মেট্রোপলিটন কলেজে বি.এ. ক্লাসে ভর্তি হন। ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে বি.এ.পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়ে ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে পুরুলিয়ায় আইন ব্যবসা শুরু করেন ।করেন। সেখানকার স্কুলের লাইব্রেরিয়ান-অ্যাকাউন্টেট অঘোরচন্দ্র রায়ের কন্যা [[লাবণ্য প্রভা ঘোষ|লাবণ্য প্রভা]]কে বিবাহ করেন।
 
== স্বাধীনতা আন্দোলন ==
অতুলচন্দ্র ও লাবণ্যপ্রভা স্বামী-স্ত্রী দু-জনে [[মহাত্মা গান্ধী]] ও নিবারণচন্দ্র দাশগুপ্তর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে রাজনৈতিক আন্দোলনে সক্রিয় হয়ে ওঠেন। ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে আইন ব্যবসা ছেড়ে অসহযোগ আন্দোলনের ঝাঁপিয়ে পড়েন। বিহার প্রাদেশিক কংগ্রেস কমিটির সেক্রেটারি (১৯২১ - ১৯৩৫) ও মানভূম জেলা কংগ্রেস কমিটির সভাপতি (১৯৩৫-১৯৪৭) হিসাবে মানভূম ও নিকটবর্তী এলাকার বহু কাজ করেন। জেলা সত্যাগ্রহ কমিটির সেক্রেটারি হন (১৯৩০) এবং লবণ-সত্যাগ্রহে ও পরে 'ভারত ছাড়ো' আন্দোলনের অংশগ্রহণ করায় এবং জাতীয় সপ্তাহ পালনকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের অপরাধে (১৯৪৫) তিনি কারারুদ্ধ হন। মানভূমের ভাষানীতির প্রশ্নে কংগ্রেস সরকারের সঙ্গে তাঁর মতবিরোধ হওয়ায় [[ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস|জাতীয় কংগ্রেস]] ত্যাগ করে (১৯৪৭) ওই বছরই [[লোকসেবক সঙ্ঘ]] প্রতিষ্ঠা করে বিহার সরকারের প্রশাসনিক,অর্থনৈতিক ও শিক্ষাসংক্রান্ত নীতির বিরোধিতা করে আন্দোলন চালিয়ে যান। মানভূম কেশরী নামে পরিচিতি লাভ করেন ।করেন। ১৯৫০ - ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত অনেকবার তিনি সত্যাগ্রহ করেছেন । ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দ থেকে সঙ্ঘ '[[টুসু উৎসব|টুসু]]' গানের ব্যবস্থা করে ।করে। রাজ্য পুনর্গঠন কমিটির কাছে এই সঙ্ঘ স্মারকলিপি রেখেছিল (১৯৫৩-১৯৫৫)। বাংলা বিহার সীমানা-সংক্রান্ত সমস্যা বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে মেটানো সম্ভব বলে তিনি বিশ্বাস করতেন। অতঃপর ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে [[পুরুলিয়া জেলা]] গঠিত হয় । সেকারণে তাঁকে বঙ্গভূক্তি আন্দোলনের স্থপতিও বলা হয়। মহাত্মা গান্ধীর আদর্শে গণতন্ত্র পঞ্চায়েতরাজ প্রতিষ্ঠা, গ্রাম্যশিল্পের উন্নতি,নিরক্ষরতা দূরীকরণ প্রভৃতিতে তিনি বিশ্বাসী ছিলেন। <ref><nowiki>{{সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান প্রথম খণ্ড পঞ্চম সংস্করণ তৃতীয় মুদ্রণ পৃষ্ঠা সংখ্যা ১২}}</nowiki></ref> অতুলচন্দ্র ঘোষ বাংলা সাপ্তাহিক সংবাদপত্র 'মুক্তি'র সম্পাদক ছিলেন । মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী স্বাধীনতা সংগ্রামী লাবণ্যপ্রভা ঘোষ সম্পাদনার দায়িত্ব নেন।
 
==তথ্যসূত্র==