অতুলচন্দ্র ঘোষ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
চিত্র
ট্যাগ: ২০১৭ উৎস সম্পাদনা
নতুন পরিচ্ছেদ
২৭ নং লাইন:
 
==জীবনী ==
অতুলচন্দ্র ঘোষের জন্ম পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব বর্ধমান জেলার খণ্ডঘোষে। পিতার নাম মাখনলাল ঘোষ । তাঁর শৈশব কাটে পিতৃব্য হিতলাল ঘোষের কাছে বর্তমান পুরুলিয়া জেলার অযোধ্যায় । পরে প্রতিপালিত হন ওখানকার এক উকিল মেসোমশাইয়ের কাছে । বর্ধমান মহারাজা স্কুল থেকে ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দে প্রবেশিকা ও কলজ হতে ১৯০১ খ্রিস্টাব্দে এফ.এ পাশ করে কলকাতার মেট্রোপলিটন কলেজে বি.এ. ক্লাসে ভর্তি হন। ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে বি.এ.পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়ে ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে পুরুলিয়ায় আইন ব্যবসা শুরু করেন । সেখানকার স্কুলের লাইব্রেরিয়ান-অ্যাকাউন্টেট অঘোরচন্দ্র রায়ের কন্যা [[লাবণ্য প্রভা ঘোষ|লাবণ্য প্রভা]]কে বিবাহ করেন।

== স্বাধীনতা আন্দোলন ==
অতুলচন্দ্র ও লাবণ্যপ্রভা স্বামী-স্ত্রী দু-জনে মহাত্মা গান্ধী ও নিবারণচন্দ্র দাশগুপ্তর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে রাজনৈতিক আন্দোলনে সক্রিয় হয়ে ওঠেন। ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে আইন ব্যবসা ছেড়ে অসহযোগ আন্দোলনের ঝাঁপিয়ে পড়েন। বিহার প্রাদেশিক কংগ্রেস কমিটির সেক্রেটারি (১৯২১ - ১৯৩৫) ও মানভূম জেলা কংগ্রেস কমিটির সভাপতি (১৯৩৫-১৯৪৭) হিসাবে মানভূম ও নিকটবর্তী এলাকার বহু কাজ করেন। জেলা সত্যাগ্রহ কমিটির সেক্রেটারি হন (১৯৩০) এবং লবণ-সত্যাগ্রহে ও পরে 'ভারত ছাড়ো' আন্দোলনের অংশগ্রহণ করায় এবং জাতীয় সপ্তাহ পালনকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের অপরাধে (১৯৪৫) তিনি কারারুদ্ধ হন। মানভূমের ভাষানীতির প্রশ্নে কংগ্রেস সরকারের সঙ্গে তাঁর মতবিরোধ হওয়ায় কংগ্রেস ত্যাগ করে (১৯৪৭) ওই বছরই [[লোকসেবক সঙ্ঘ]] প্রতিষ্ঠা করে বিহার সরকারের প্রশাসনিক,অর্থনৈতিক ও শিক্ষাসংক্রান্ত নীতির বিরোধিতা করে আন্দোলন চালিয়ে যান। মানভূম কেশরী নামে পরিচিতি লাভ করেন ।১৯৫০। ১৯৫০ - ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত অনেকবার তিনি সত্যাগ্রহ করেছেন । ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দ থেকে সঙ্ঘ 'টুসু' গানের ব্যবস্থা করে । রাজ্য পুনর্গঠন কমিটির কাছে এই সঙ্ঘ স্মারকলিপি রেখেছিল (১৯৫৩-১৯৫৫)। বাংলা বিহার সীমানা-সংক্রান্ত সমস্যা বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে মেটানো সম্ভব বলে তিনি বিশ্বাস করতেন। অতঃপর ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে পুরুলিয়া জেলা গঠিত হয় । সেকারণে তাঁকে বঙ্গভূক্তি আন্দোলনের স্থপতিও বলা হয়। মহাত্মা গান্ধীর আদর্শে গণতন্ত্র পঞ্চায়েতরাজ প্রতিষ্ঠা, গ্রাম্যশিল্পের উন্নতি,নিরক্ষরতা দূরীকরণ প্রভৃতিতে তিনি বিশ্বাসী ছিলেন। <ref><nowiki>{{সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান প্রথম খণ্ড পঞ্চম সংস্করণ তৃতীয় মুদ্রণ পৃষ্ঠা সংখ্যা ১২}}</nowiki></ref> অতুলচন্দ্র ঘোষ বাংলা সাপ্তাহিক সংবাদপত্র 'মুক্তি'র সম্পাদক ছিলেন । মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী স্বাধীনতা সংগ্রামী লাবণ্যপ্রভা ঘোষ সম্পাদনার দায়িত্ব নেন।
 
==তথ্যসূত্র==