ইবনে রুশদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্প্রসারণঃ ইবন রুশদের এ নিবন্ধটি একেবারেই অসম্পূর্ণ , এটি ইংরেজি হতে অনুবাদ করে সমৃদ্ধ করছি।
দার্শনিক ইবন রুশদের এ নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ; ইংরেজি হতে অনুবাদের মাধ্যমে সমৃদ্ধির কাজ করছি
৩৭ নং লাইন:
 
১১৬৯ সালে ইবন তুফায়েল ইবন রুশদকে আল-মোহাদ খলিফা আবু ইয়াকুব ইউসুফের সাথে পরিচয় করান। ঐতিহাসিক আবদুল ওয়াহিদ আল-মারাকুশির এক জনপ্রিয় বর্ণনায় বর্নীত আছে যে খলিফা ইবন রুশদকে জিজ্ঞাসা করেন যে মহাবিশ্ব কি চিরকাল ধরে বিরাজমান নাকি এর কোনো শুরু ছিলো। এ মতবিরোধপূর্ণ প্রশ্নে ইবন রুশদ উত্তর দিতে দ্বিধান্বিত ছিলেন। খলিফা তখন প্লেটো অ্যারিস্টটল এবং মুসলিম দার্শনিকদের এ বিষয়ে মতামতের বর্ণনা করলেন এবং ইবন তুফায়েলের সাথে আলোচনায় মগ্ন হলেন। জ্ঞানের এ প্রদর্শনীতে ইবন রুশদ আশ্বস্ত হলেন, ইবন রুশদ এ বিষয়ে তার মতামত ব্যক্ত করলেন; এতে খলিফা ইবন রুশদের উপর যারপরনাই সন্তুষ্ট হলেন। ইবন রুশদ ও ঠিক একইভাবে খলিফার পাণ্ডিত্যে অবাক হয়েছিলেন, বলেছিলেন "খলিফার জ্ঞানের আধিক্য এমন যে তা তিনি আশাতীত"।
[[চিত্র:The Disgrace of Averroes - Vies Des Savants Illustrés.jpg|alt=রাজসভার রোষে ইবন রুশদ|থাম্ব|245x245পিক্সেল|১১৯৫ সালে কিছু সময়ের জন্য ইবন রুশদকে রাজসভা হতে বহিষ্কার করা হয়।]]
 
ইবন রুশদ এবং খলিফার পরিচিত হবার পরে ,১১৮৪ সালে খলিফার মৃত্যু পর্যন্ত তার একান্ত প্রিয় ছিলেন। খলিফা যখন ইবন তুফায়েলের নিকট ক্ষোভ প্রকাশ করলেন যে তিনি [[এরিস্টটল|অ্যারিস্টটলে]]<nowiki/>র কিছু কাজ বুঝতে পারছেন না, তখন ইবন তুফায়েল খলিফাকে ইবন রুশদের অ্যারিস্টটলেলঅ্যারিস্টটলের ব্যাখ্যা সম্বন্ধে অবহিত করেন।সেই থেকে ইবন রুশদের বিখ্যাত কাজ, অ্যারিস্টটলের উপর সুবিস্তার ব্যাখাকর্মের সূচনা। এ বিষয়ে তার প্রথম লেখা লিখিত হয়েছে ১১৬৯ সালে। [[File:Colliget Auerrois totam medicinam V00026 00000002.tif|thumb|left|''Colliget'']]
 
সেই বছরই ইবন রুশদ কাজি হিসেবে সেভিলে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। ১১৭১ সালে তিনি তাঁর জন্মস্থান কর্ডোবায় ''কাজি'' হিসেবে নিয়োজিত হন। কাজি হিসেবে তিনি [[শরিয়াহ|ইসলামি শরিয়াহ]] (আইনশাস্ত্র) মোতাবেক মামলা মোকদ্দমার বিচারকার্য পরিচালনা ও [[ফতোয়া|ফতোয়া]](আইনানুগ সমাধান) দিতেন। এসময় নানা দায়িত্ব ও প্রসাশনিক কাজে ব্যপৃত থাকলেও এটা ছিল তাঁর জ্ঞান চর্চার শীর্ষ সময়, অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ তিনি এসময় সম্পন্ন করেন। আল-মোহাদ খেলাফতের বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণের সুবাদে তিনি নানা জ্যোতির্বিদীয় প্রকল্পেও অংশগ্রহণের সুযোগ লাভ করেন.১১৮২ সালে তিনি রাজ চিকিৎসক হিসেবে তার বন্ধুবর দার্শনিক ইবন তুফায়েলের স্থলাভিষিক্ত হন, একই বছর তিনি কর্ডোবার প্রধান কাজি হিসেবে নিয়োজিত হন; সেই একই মর্যাদাপূর্ণ পদে যাতে এককালে তার পিতামহ দায়িত্ব পালন করে গেছেন।
 
১১৮৪ সালে খলিফা আবু ইয়াকুব ইউসুফ মৃত্যুবরণ করেন, খলিফার পদে অভিষেক ঘটে আবু ইউসুফ ইয়াকুব আল-মানসুর এর। এর পরেও ইবন রুশদ রাজসভার সুনজরেই ছিলেন, তবে ১১৯৫ সালে পাশা উলটে যায়। তাঁর বিরুদ্ধে প্রথার বিরুদ্ধচারণের অভিযোগ সহ নানা আপত্তি তোলা হয়, কর্ডোবায় এক ট্রাইবুন্যালের মাধ্যমে তার বিচার হয়। তাঁর কাজের প্রতি তীব্র নিন্দা করে বিচারসভা, তাঁর কিছু লেখা জ্বালিয়ে দেবার নির্দেশ দেয়া হয় এবং তাঁকে লুসেনায় নির্বাসিত করা হয়, এনসাইক্লোপিডিয়া অব ইসলাম এ বলা হয়েছে যে খলিফা গোঁড়াপন্থী আলেম-উলামার সমর্থন লাভ করতে ইবন রুশদকে নিজের থেকে দূরে সরাবার ব্যবস্থা করেন। কেননা ইবন রুশদের প্রথাবিরোধী কিছু মতের সাথে এসব উলেমার মতবিরোধ ছিলো, আর তাদের সমর্থন খলিফার দরকার ছিলো- খ্রিষ্টান রাজ্যগুলো আক্রমণের জন্য।
 
== কর্মসমূহ ==
 
=== অ্যারিস্টটলের ব্যাখ্যাকর্মঃ ===
 
=== স্বতন্ত্র দার্শনিক কর্মঃ ===
 
=== ইসলামি ধর্মতত্ত্বঃ ===
 
=== ফিকহশাস্ত্র এবং আইনসংক্রান্তঃ ===
[[File:Colliget Auerrois totam medicinam V00026 00000002.tif|thumb|left|''Colliget'']]
 
==তথ্যসূত্র==