কামালপুর যুদ্ধ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ফেরদৌস ইউসুফ (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
ফেরদৌস ইউসুফ (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৬২ নং লাইন:
<blockquote>''ইয়াহিয়া খান এখনও এমন বুলেট তৈরি করতে পারেনাই, যা মমতাজকে ভেদ করবে''</blockquote>
<blockquote>''যদি মরতেই হয়, এক পাকসেনাকে সাথে নিয়ে মরো। বাংলার মাটিতে শহিদ হও''</blockquote>
সালাউদ্দিন মমতাজের অসীম সাহসে আর তাঁর কোম্পানির মুক্তিযোদ্ধাদের প্রচন্ড আক্রমনে পাকিস্তানীদের ১ম ডিফেন্স কর্ডন শেল প্রুফ বাংকারে ঢুকে পড়ে। এ সময় সালাউদ্দিন মমতাজ আরও সাহসী হয়ে উঠে ২০-২৫ জনকে নিয়ে বিওপির কমিউনিটি সেন্টারে ঢুকে পড়েন। তিনি একসময় বুঝতে পারেন যে পাকিস্তানিরা সামনের সারির বাংকার পজিশনগুলো ক্লিয়ার করে পিছিয়ে গিয়ে পুনরায় সেকেন্ড লাইনে কাউন্টার অ্যাটাকের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাই তিনি ওয়্যারলেসে সুবেদার হাই এর প্লাটুনকে ডানদিকে যাওয়ার জন্য আদেশ দেন। প্রথমবারে সম্ভবত হাই তাঁর নির্দেশ শুনতে পান নি, তাই সালাউদ্দিন পুনরায় ওয়্যারলেসে "হাই" বলেন। সাথে সাথেই তাঁর সামনে একটি গোলা বিস্ফোরিত হয়। লুটিয়ে পড়েন '''বীরউত্তম''' ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিন মমতাজ। দুর্ভাগ্য তাঁর, স্বাধীন বাংলার সূর্য দেখে যেতে পারেন নি। সালাউদ্দিনের দেহ উদ্ধারকরাউদ্ধার করা যায় নি, তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করতে গিয়ে আরো তিনজন প্রাণ হারান। পরে তাঁর ঘড়ি, স্টেনগান ও কিছু কাগজপত্র উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
<br/>
সালাউদ্দিন মমতাজ নিহত হবার খবর জানতে পেরে মেজর মইন ওয়্যারলেসে ক্যাপ্টেন মাহবুবকে কমান্ড করেন পেছন থেকে আক্রমনের জন্য। কিন্তু ক্যাপ্টেন মাহবুবের সাড়া না পেয়ে তিনি ঝোঁপঝাড় ও গাছের আড়াল থেকে খোলা জায়গায় চলে আসেন যাতে ওয়্যারলেস ভালোভাবে কাজ করতে পারে। দুর্ভাগ্য, সাথে সাথেই একঝাক মেশিনগানের গুলি এসে তাঁর ওয়্যারলেস অপারেটর শহীদ হন। এ সময় তাঁর ওয়্যারলেস সেটটিও অকেজো হয়ে যায়। মেজর মইন হতভম্ব হয়ে এসময় চিৎকার করে নির্দেশ দিতে থাকেন। দ্রুত ভোরের আলো ফুটে ওঠে। চারদিকে তখন হতাহতের ছড়াছড়ি। ক্যাপ্টেন হাফিজ আহত হয়ে মাটিতে পড়ে আছেন। লেফটেন্যান্ট মান্নানও আহত। জিয়া এসময় উদ্ধারকাজে যোগ দেন। গোলাগুলি চলা অবস্থাতেই জিয়া, মইন, লিয়াকতরা মিলে হাফিজ, মান্নান সহ অন্য আহত যোদ্ধাদের উদ্ধার করে পিছু হটেন।<br/>
অন্যদিকে ২ টি ১২০ মি. মি. মর্টার আর বেশকিছু সেনা সহ বকশীগন্জ্ঞবকশীগঞ্জ থেকে কামালপুরের দিকে আসতে থাকা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ৩ টি লরী উড়ে যায় মুক্তিযোদ্ধাদের কাট অফ পার্টির পুতেপুঁতে রাখা মাইনে। তাদেরতাঁদের অ্যামবুশে ১০ জন পাকসেনা নিহত এবং ১০-১১ জন আহত হয়। ১ মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন, ২/৩ জন আহত হন।
 
==ফলাফল==