কামালপুর যুদ্ধ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ফেরদৌস ইউসুফ (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
ফেরদৌস ইউসুফ (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৫৯ নং লাইন:
 
জিয়ার অবস্থান থেকে কামানের গোলা বর্ষনের মাধ্যমেই যুদ্ধ শুরু হয়। রাত সাড়ে ৩ টায় ক্যাপ্টেন [[সালাউদ্দিন মমতাজ]] তাঁর ২ প্লাটুন সৈন্য নিয়ে শত্রুঘাঁটিতে ঢুকে পড়েন। এটি ছিল জেড ফোর্সের ১ম অপারেশন। আর যোদ্ধাদের বড় অংশই ছিল স্বল্পপ্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। ফলে তারা শুরুর দিকে ময়দানে যথেষ্ট সাহসিকতার পরিচয় দিতে পারছিল না। তাদের গতি অপেক্ষাকৃত ধীর হয়ে পড়ে। পরিস্থিতি বিবেচনায় ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিন মমতাজ অসামান্য নেতৃত্বের পরিচয় দেন। তিনি সামনে থেকে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান, তার উচ্চ এবং উদ্দামী কন্ঠ জোয়ানদের মাঝে নিয়ে আসে গতি। উচ্চ কন্ঠে বলতে থাকেন,
<blockquote>''আভি তকতাক ওয়াক্ত হ্যায় , শালালোক সারেন্ডার করোকারো , নেহিতনেহি তো জিন্দা নেহী ছোড়েঙ্গা''</blockquote>
<blockquote>''ইয়াহিয়া খান এখনএখনও এমন বুলেট তৈরি করতে পারেনাই, যা মমতাজকে ভেদ করবে''</blockquote>
<blockquote>''যদি মরতেই হয়, এক পাকসেনাকে সাথে নিয়ে মরো। বাংলার মাটিতে শহিদ হও''</blockquote>
সালাউদ্দিন মমতাজের অসীম সাহসে আর তাঁর কোম্পানির মুক্তিযোদ্ধাদের প্রচন্ড আক্রমনে পাকিস্তানীদের ১ম ডিফেন্স কর্ডন শেল প্রুফ বাংকারে ঢুকে পড়ে। এ সময় সালাউদ্দিন মমতাজ আরও সাহসী হয়ে উঠে ২০-২৫ জনকে নিয়ে বিওপির কমিউনিটি সেন্টারে ঢুকে পড়েন। তিনি একসময় বুঝতে পারেন যে পাকিস্তানিরা সামনের সারির বাংকার পজিশনগুলো ক্লিয়ার করে পিছিয়ে গিয়ে পুনরায় সেকেন্ড লাইনে কাউন্টার অ্যাটাকের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাই তিনি ওয়্যারলেসে সুবেদার হাই এর প্লাটুনকে ডানদিকে যাওয়ার জন্য আদেশ দেন। প্রথমবারে সম্ভবত হাই তাঁর নির্দেশ শুনতে পান নি, তাই সালাউদ্দিন পুনরায় ওয়্যারলেসে "হাই" বলেন। সাথে সাথেই তাঁর সামনে একটি গোলা বিস্ফোরিত হয়। লুটিয়ে পড়েন '''বীরউত্তম''' ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিন মমতাজ। দুর্ভাগ্য তাঁর, স্বাধীন বাংলার সূর্য দেখে যেতে পারেন নি। সালাউদ্দিনের দেহ উদ্ধারকরা যায় নি, তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করতে গিয়ে আরো তিনজন প্রাণ হারান। পরে তাঁর ঘড়ি, স্টেনগান ও কিছু কাগজপত্র উদ্ধার করা সম্ভব হয়।