কামালপুর যুদ্ধ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ফেরদৌস ইউসুফ (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
ফেরদৌস ইউসুফ (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৫১ নং লাইন:
 
==যুদ্ধের বিবরণ==
'''৩১ জুলাই রাত ৩:০০''' এর দিকে লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিয়া এবং মেজর মইন ১ম বেংগলবেঙ্গল ব্যাটালিয়ন নিয়ে পাকিস্তান আর্মিরসেনাবাহিনীর ঘাঁটি থেকে প্রায় ১১০০১১-১২০০১২শ' গজ দুরেদূরে অবস্থান নেননেন। (সেদিনরাতেতখন মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছিলো।)।
* ক্যাপটেনক্যাপ্টেন মাহবুব শত্রু ঘাঁটির পেছনে অবস্থান নিলেননেন তারতাঁর কোম্পানিসহ,
* ক্যাপ্টেন হাফিজ ও ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিন ৬০০ গজ ইনসাইড এনিমি লাইন অগ্রসর হয়ে পাটক্ষেতে অবস্থান নিলেন,নেন
* মেজর মইন তারতাঁর ওয়ারলেস অপারেটর এবং ফ্লা:ফ্লাইট লে:লেফটেন্যান্ট লিয়াকত সহ পাটক্ষেতে অবস্থান নিলেন,নেন
* টিলায় মেজর জিয়া হাল্কাহালকা কামান ও হেভীহেভি মেশিনগান সহ অবস্থান নিলেন,নেন
* কাট অফ পার্টি হিসেবে একটি বাহিনী কামালপুর-বকশীগন্জ্ঞবকশীগঞ্জ সড়কে মাইন পুতেপুঁতে রেখে কামালপুর-শ্রীবর্দি জংশন এবং উঠানীপাড়ায় অবস্থান নেননেয় যাতে বকশীগন্জ্ঞযুদ্ধ শুরু হলে বকশীগঞ্জ থেকে হঠাৎ কোন পাকিস্তানী রিইনফোর্সমেন্ট ৩১ জুলাই রাতে কামালপুরে আসতে না পারে।
 
জিয়ার অবস্থান থেকে কামানের গোলা বর্ষনের মাধ্যমেই যুদ্ধ শুরু হয়। রাত সাড়ে ৩ টায় ক্যাপটেনক্যাপ্টেন [[সালাউদ্দিন মমতাজ]] তারতাঁর ২ প্লাটুন সৈন্য নিয়ে শত্রুঘাঁটিতে ঢুকে পড়েন। এটি ছিল জেড ফোর্সের ১ম অপারেশনঅপারেশন। এবংআর সম্পূর্ণযোদ্ধাদের নতুনবড় সদস্যঅংশই নিয়েছিল গঠিতস্বল্পপ্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। বাহিনীফলে অপেক্ষাকৃততারা ধীরশুরুর হয়েদিকে পড়েময়দানে গোলাগুলিরযথেষ্ট বাস্তবসাহসিকতার শব্দেপরিচয় কিছুটাদিতে বিচ্ছিন্নপারছিল না। তাদের গতি অপেক্ষাকৃত ধীর হয়ে পড়ে,পড়ে। পরিস্থিতি বিবেচনায় ক্যাপটেনক্যাপ্টেন সালাউদ্দিন মমতাজ অসামান্য নেতৃত্বের পরিচয় দেয়।দেন। তিনি সামনে থেকে দলকে এগিয়ে নিয়ে যায়যান, তার উচ্চ এবং উদ্দামী কন্ঠ জোয়ানদের মাঝে নিয়ে আসে গতি। উচ্চ কন্ঠে বলতে থাকেন,
<blockquote>''আভি তক ওয়াক্ত হ্যায় , শালালোক সারেন্ডার করো , নেহিত জিন্দা নেহী ছোড়েঙ্গা''</blockquote>
<blockquote>''ইয়াইয়াইয়াহিয়া খান এখন এমন বুলেট তৈরি করতে পারেনাই যা মমতাজকে ভেদ করবে''</blockquote>
<blockquote>''যদি মরতেই হয়, এক পাকসেনাপাকসেনাকে সাথে নিয়ে যাও।মরো। বাংলার মাটিতে শহিদ হও''</blockquote>
সালাউদ্দিন মমতাজের অসীম সাহসে আর তারতাঁর কোম্পানির মুক্তিযোদ্ধাদের প্রচন্ড আক্রমনে পাকিস্তানীদের ১ম ডিফেন্স কর্ডন শেল প্রুফ বাংকারে ঢুকে পড়ে। এ সময় সালাউদ্দিন মমতাজ আরও সাহসী হয়ে উঠে ২০-২৫ জনকে নিয়ে বিওপির কমিউনিটি সেন্টারে ঢুকে পড়েন। আচমকাতিনি মেশিনএকসময় গানেরবুঝতে পারেন যে পাকিস্তানিরা সামনের সারির বাংকার পজিশনগুলো ক্লিয়ার করে পিছিয়ে গিয়ে পুনরায় সেকেন্ড লাইনে কাউন্টার অ্যাটাকের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাই তিনি ওয়্যারলেসে সুবেদার হাই এর প্লাটুনকে ডানদিকে যাওয়ার জন্য আদেশ দেন। প্রথমবারে সম্ভবত হাই তাঁর নির্দেশ শুনতে পান নি, তাই সালাউদ্দিন পুনরায় ওয়্যারলেসে "হাই" বলেন। সাথে সাথেই তাঁর সামনে একটি গুলিগোলা থামিয়েবিস্ফোরিত দেয়হয়। শহিদলুটিয়ে পড়েন '''বীরউত্তম''' ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিন মমতাজকেমমতাজ। দুর্ভাগ্য তাঁর, স্বাধীন বাংলার মাটিতেসূর্য লুটিয়েদেখে পড়েনযেতে শুধুপারেন দুর্ভাগ্যনি। স্বাধীনসালাউদ্দিনের বাংলারদেহ সূর্যউদ্ধারকরা যায় নি, তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করতে গিয়ে আরো তিনজন প্রাণ হারান। পরে তাঁর ঘড়ি, স্টেনগান ও কিছু কাগজপত্র উদ্ধার করা দেখাসম্ভব হয়নি।হয়।
সালাউদ্দিন মমতাজ নিহত হবার খবর জানতে পেরে মেজর মইন ওয়ারলেসেওয়্যারলেসে ক্যাপ্টেন মাহবুবকে কমান্ড করেন পেছন থেকে আক্রমনের জন্য। কিন্তু ক্যাপ্টেন মাহবুবের সাড়া না পেয়ে তিনি ঝোপঝোঁপঝাড় ঝাড় গাছের আড়াল থেকে খোলা জায়গায় চলে আসেন যাতে ওয়ারলেসওয়্যারলেস ভালোভাবে কাজ করতে পারে। দুর্ভাগ্য-, সাথে সাথেই একঝাক মেশিনগানের গুলি এসে তারতাঁর ওয়ারলেসওয়্যারলেস অপারেটর শহীদ হন।এহন। এ সময় তারতাঁর ওয়ারলেসওয়্যারলেস সেটটিও অকেজো হয়ে যায়। মেজর মইন হতভম্ব হয়ে এসময় চিৎকার করে নির্দেশ দিতে থাকেন। খুব দ্রুত ভোরের আলো ফুটে ওঠে। এসময়চারদিকে তারা দেখতে পান চারদিকেতখন হতাহতের ছড়াছড়ি। ক্যাপটেনক্যাপ্টেন হাফিজ আহত হয়ে মাটিতে পড়ে আছেন। লে:লেফটেন্যান্ট মান্নানও আহতআহত। হয়েছিলেন।জিয়াজিয়া এসময় উদ্ধারকাজে যোগ দেন। গোলাগুলি চলা অবস্থাতেই জিয়া, মইন, লিয়াকতরা মিলে হাফিজ, মান্নান সহ অন্য আহত যোদ্ধাদের উদ্ধার করে পিছু হটেন।<br/>
অন্যদিকে ২ টি ১২০ মি. মি. মর্টার আর বেশকিছু সেনা সহ বকশীগন্জ্ঞ থেকে কামালপুরের দিকে আসতে থাকা ৩ টি লরী উড়ে যায় কাট অফ পার্টির পুতে রাখা মাইনে। তাদের অ্যামবুশে ১০ জন পাকসেনা নিহত এবং ১০-১১ জন আহত হয়। ১ মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন, ২/৩ জন আহত হন।
 
==ফলাফল==
যুদ্ধোত্তর বিশ্লেষণে মুলত ৪টি কারণ প্রতীয়মান হয় পরাজয়ের কারণ হিসাবেঃ