রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

[পরীক্ষিত সংশোধন][পরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
Wikifulness (আলোচনা | অবদান)
→‎কবিতা: রোগশয্যায় উইকিপিডিয়ার সংযোগ
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
১৭২ নং লাইন:
=== কবিতা ===
[[চিত্র:Tagore handwriting Bengali.jpg|thumb|left|alt=Three-verse handwritten composition; each verse has original Bengali with English-language translation below: "My fancies are fireflies: specks of living light twinkling in the dark. The same voice murmurs in these desultory lines, which is born in wayside pansies letting hasty glances pass by. The butterfly does not count years but moments, and therefore has enough time."|220px| কবির হস্তাক্ষরে কবিতা, হাঙ্গেরিতে লিখিত, ১৯২৬: বাংলা ও ইংরেজিতে]]
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রথম জীবনে ছিলেন বিহারীলাল চক্রবর্তীর (১৮৩৫-১৮৯৪) অনুসারী কবি।<ref>"বিহারীলাল ও রবীন্দ্রনাথ", অলোক রায় সম্পাদিত বিহারীলাল চক্রবর্তীর ''সারদামঙ্গল ও সাধের আসন'', পৃ. ৫৫-৫৬</ref> তাঁর ''[[কবি-কাহিনী]]'', ''[[বনফুল (কাব্য)|বনফুল]]'' ও ''[[ভগ্নহৃদয় (গীতি কাব্য)|ভগ্নহৃদয়]]'' কাব্য তিনটিতে বিহারীলালের প্রভাব সুস্পষ্ট।<ref name = sarbajaner23-24>''সর্বজনের রবীন্দ্রনাথ'', পৃ. ২৩-২৪</ref> ''সন্ধ্যাসংগীত'' কাব্যগ্রন্থ থেকে রবীন্দ্রনাথ নিজের বক্তব্য প্রকাশ করতে শুরু করেন।<ref name = sarbajaner23-24 /> এই পর্বের ''[[সন্ধ্যা সঙ্গীত]]'', ''প্রভাতসংগীত'', ''ছবি ও গান'' ও [[কড়ি ও কোমল]] কাব্যগ্রন্থের মূল বিষয়বস্তু ছিল মানব হৃদয়ের বিষণ্ণতা, আনন্দ, মর্ত্যপ্রীতি ও মানবপ্রেম।<ref name = sarbajaner23-24 /> ১৮৯০ সালে প্রকাশিত ''[[মানসী (কাব্যগ্রন্থ)|মানসী]]'' এবং তার পর প্রকাশিত ''[[সোনার তরী (কাব্য)|সোনার তরী]]'' (১৮৯৪), ''[[চিত্রা]]'' (১৮৯৬), ''[[চৈতালি]]'' (১৮৯৬), ''[[কল্পনা (কাব্য)|কল্পনা]]'' (১৯০০) ও ''[[ক্ষণিকা]]'' (১৯০০) কাব্যগ্রন্থে ফুটে উঠেছে রবীন্দ্রনাথের প্রেম ও সৌন্দর্য সম্পর্কিত রোম্যান্টিক ভাবনা।<ref name = sarbajaner23-24 /> ১৯০১ সালে ব্রহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠার পর রবীন্দ্রনাথের কবিতায় আধ্যাত্মিক চিন্তার প্রাধান্য লক্ষিত হয়। এই চিন্তা ধরা পড়েছে ''[[নৈবেদ্য]]'' (১৯০১), ''[[খেয়া (কাব্য)|খেয়া]]'' (১৯০৬), ''[[:s:গীতাঞ্জলি|গীতাঞ্জলি]]'' (১৯১০), ''[[গীতিমাল্য]]'' (১৯১৪) ও ''[[গীতালি]]'' (১৯১৪) কাব্যগ্রন্থে।<ref name = sarbajaner23-24 /> ১৯১৫ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সূচনা ঘটলে ''[[বলাকা (বাংলা কাব্য)|বলাকা]]'' (১৯১৬) কাব্যে রবীন্দ্রনাথের কবিতায় আধ্যাত্মিক চিন্তার পরিবর্তে আবার মর্ত্যজীবন সম্পর্কে আগ্রহ ফুটে ওঠে।<ref name = sarbajaner23-24 /> ''[[পলাতকা (কাব্যগ্রন্থ)|পলাতকা]]'' (১৯১৮) কাব্যে গল্প-কবিতার আকারে তিনি নারীজীবনের সমসাময়িক সমস্যাগুলি তুলে ধরেন।<ref name = sarbajaner23-24 /> ''[[পূরবী]]'' (১৯২৫) ও ''[[মহুয়া (কাব্যগ্রন্থ)|মহুয়া]]'' (১৯২৯) কাব্যগ্রন্থে রবীন্দ্রনাথ আবার প্রেমকে উপজীব্য করেন।<ref name = sarbajaner23-24 /> এরপর ''[[পুনশ্চ]]'' (১৯৩২), ''[[শেষ সপ্তক]]'' (১৯৩৫), ''[[পত্রপুট]]'' (১৯৩৬) ও ''[[শ্যামলী (কাব্যগ্রন্থ)|শ্যামলী]]'' (১৯৩৬) নামে চারটি গদ্যকাব্য প্রকাশিত হয়।<ref name = sarbajaner23-24 /> জীবনের শেষ দশকে কবিতার আঙ্গিক ও বিষয়বস্তু নিয়ে কয়েকটি নতুন পরীক্ষানিরীক্ষা চালিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ।<ref name = sarbajaner23-24 /> এই সময়কার ''[[:s:রোগশয্যায়|রোগশয্যায়]]'' (১৯৪০), ''[[আরোগ্য (কাব্য)|আরোগ্য]]'' (১৯৪১), ''[[জন্মদিনে (কাব্যগ্রন্থ)|জন্মদিনে]]'' (১৯৪১) ও ''[[শেষ লেখা]]'' (১৯৪১, মরণোত্তর প্রকাশিত) কাব্যে মৃত্যু ও মর্ত্যপ্রীতিকে একটি নতুন আঙ্গিকে পরিস্ফুট করেছিলেন তিনি।<ref name = sarbajaner23-24 /> শেষ কবিতা "[[:s:তোমার সৃষ্টির পথ|তোমার সৃষ্টির পথ]]" মৃত্যুর আট দিন আগে মৌখিকভাবে রচনা করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ।<ref name = sarbajaner23-24 />
 
রবীন্দ্রনাথের কবিতায় মধ্যযুগীয় [[বৈষ্ণব পদাবলি]], [[উপনিষদ্‌]], [[কবীর]]ের দোঁহাবলি, [[লালন]]ের বাউল গান ও [[রামপ্রসাদ সেন]]ের শাক্ত পদাবলি সাহিত্যের প্রভাব লক্ষিত হয়।<ref name=Roy_1977_201>Roy 1977, p. 201</ref><ref name=Stewart_2003_94>Stewart & Twichell 2003, p. 94</ref><ref name=Urban_2001_18>Urban 2001, p. 18</ref> তবে প্রাচীন সাহিত্যের দুরূহতার পরিবর্তে তিনি এক সহজ ও সরস কাব্যরচনার আঙ্গিক গ্রহণ করেছিলেন। আবার ১৯৩০-এর দশকে কিছু পরীক্ষামূলক লেখালেখির মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যে আধুনিকতা ও বাস্তবতাবোধের প্রাথমিক আবির্ভাব প্রসঙ্গে নিজ প্রতিক্রিয়াও ব্যক্ত করেছিলেন কবি।<ref name=Dutta_1995_281>{{harvnb|Dutta|Robinson|1995|p=281}}</ref> বহির্বিশ্বে তার সর্বাপেক্ষা সুপরিচিত কাব্যগ্রন্থটি হল ''[[গীতাঞ্জলি]]''। এ বইটির জন্যই তিনি [[সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার]] লাভ করেছিলেন।<ref name=Stewart_2003_95-96>Stewart & Twichell 2003, pp. 95–96</ref> নোবেল ফাউন্ডেশন তার এই কাব্যগ্রন্থটিকে বর্ণনা করেছিল একটি "গভীরভাবে সংবেদনশীল, উজ্জ্বল ও সুন্দর কাব্যগ্রন্থ" রূপে।<ref>{{citation |title=The Nobel Prize in Literature 1913 |publisher=The Nobel Foundation |url=http://nobelprize.org/nobel_prizes/literature/laureates/1913/ |accessdate=14 August 2009 }}</ref>