ধূমকেতু: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা |
||
২ নং লাইন:
'''ধুমকেতু''' ([[ইংরেজি ভাষা|ইংরেজি]]: Comet ''কমেট্'') হল ধুলো, [[বরফ]] ও [[গ্যাস|গ্যাসের]] তৈরি এক ধরনের মহাজাগতিক বস্তু। ধূমকেতু একটি ক্ষুদ্র বরফাবৃত সৌরজাগতিক বস্তু যা সূর্যের খুব নিকট দিয়ে পরিভ্রমণ করার সময় দর্শনীয় [[কমা (ধূমকেতু-সম্পর্কীয়)|কমা]] (একটি পাতলা, ক্ষণস্থায়ী বায়ুমন্ডল) এবং কখনও [[comet tail|লেজও]] প্রদর্শন করে । ধূমকেতুর নিউক্লিয়াসের ওপর সূর্যের বিকিরণ ও সৌরবায়ুর প্রভাবের কারণে এমনটি ঘটে। ধূমকেতুর নিউক্লিয়াস বরফ, ধূলা ও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পাথুরে কণিকার একটি দুর্বল সংকলনে গঠিত। প্রস্থে কয়েকশ মিটার থেকে দশ কি.মি. এবং লেজ দৈর্ঘ্যে কয়েকশ কোটি কি.মি. পর্যন্ত হতে পারে । মানুষ সুপ্রাচীন কাল থেকে ধূমকেতু পর্যবেক্ষণ করছে।
একটি ধূমকেতুর পর্যায়কাল কয়েক বছর থেকে শুরু করে কয়েকশ’ হাজার বছর পর্যন্ত হতে পারে। ধারণা করা হয় স্বল্পকালীন ধূমকেতুর উৎপত্তি [[
ধুমকেতু উল্কা বা [[asteroid|গ্রহাণু]] থেকে পৃথক কারণ এর কমা ও লেজের উপস্থিতি। কিছু বিরল ধূমকেতু সূর্যের খুব নিকট দিয়ে বারবার পরিভ্রমণ করার কারণে উদ্বায়ী বরফ ও ধুলা হারিয়ে ছোট গ্রহাণুর মত বস্তুতে পরিণত হয়।
এপ্রিল
কিছু ধুমকেতু নির্দিষ্ট সময় পরপর একই স্থানে ফিরে আসে। যেমন [[হ্যালীর ধুমকেতু]]।
৩০ নং লাইন:
ধূমকেতু সৌরজগতের ভেতরে অগ্রসর হলে সূর্যের বিকিরণে [[উদ্বায়ী পদার্থ|উদ্বায়ী পদার্থগুলো]] ধূলো ও গ্যাস হয়ে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। এর ফলে যে বায়ুমণ্ডল তৈরী হয় তাকে বলে কমা। সূর্যের বিকিরণ বল ও সৌরবায়ুর প্রভাবে কমার ওপর যে বল প্রযুক্ত হয় তাতে সূর্যাবিমূখি একটি বিশাল লেজ তৈরি হয়। কমা ও লেজে যেসব অতিক্ষুদ্র উপাদান থাকে সেগুলো নিউক্লিয়াস থেকে বেরিয়ে আসা উপাদান, সূর্যের আলোয় যা অত্যুজ্জ্বল হয়ে ওঠায় আমরা তা দেখতে পাই। অধিকাংশ ক্ষেত্রে তা খুবই অনুজ্জ্বল বলে [[দূরবীক্ষণ যন্ত্র]] ছাড়া দেখা যায় না।
[[চিত্র:Comet1.jpg|right|thumb|ধূমকেতুর লেজ|সংযোগ=Special:FilePath/Comet1.jpg]]
চার্জযুক্ত পরমাণুর এই লেজটি সৃষ্টি হয় নিউক্লিয়াসের গ্যাসীয় বস্তুগুলোর বাষ্পীভবনের কারণে। [[অতিবেগুনি রশ্মি|অতিবেগুনি রশ্মির]] সংস্পর্শে তা ভেঙ্গে চার্জযুক্ত বস্তুতে পরিণত হয়ে সৌরবায়ুতে [[সৌরতরঙ্গ|তরঙ্গের]] আকারে প্রবাহিত হয়।
৪৯ নং লাইন:
== ধূমকেতুর জন্ম ==
ধারণা করা হয় স্বল্পকালীন ধূমকেতুর জন্ম বামন গ্রহগুলো বা সেন্টর থেকে এবং কুইপার বেল্ট ও নেপচুনের কক্ষপথের বাইরের এলাকায় যে ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন বস্তুর চাকতির মত এলাকা আছে সেখান থেকে, প্রায় ৩০ থেকে ৫০ জ্যোতির্বিদ্যার একক দূরত্বে; দীর্ঘকালীন ধূমকেতুর জন্ম ওরট মেঘ থেকে যা সৌরজগতের সবচে দূরের এলাকা এবং এখানে বরফপিণ্ডের মত অনেক বস্তু গোলাকার কক্ষপথে ঘূর্ণায়মান বলে মনে করা হয়। কুইপার বেল্টে বড় গ্রহগুলোর মাধ্যাকর্ষণ বলের প্রভাবে বা ওরট মেঘে নিকটবর্তী কোনও নক্ষত্রের প্রভাবে কোনও বস্তু উপবৃত্তাকার কক্ষপথে সূর্যের দিকে এলে নতুন ধূমকেতুর জন্ম হবে। কিন্তু ধূমকেতুর জন্মের এই প্রক্রিয়া হিসাব করে বের করা সম্ভব হয়নি।
[[চিত্র:ধুমকেতু ওরটেন্ডকুইপার.jpg|right|thumb|ওর্ট মেঘ ও [[কাইপার বেষ্টনী|কুইপার বেল্ট]]]]
হ্যালির ধূমকেতু কাইপার বেল্ট থেকে আসলেও বেশীর ভাগ ধূমকেতুর উৎস হচ্ছে ওর্ট মেঘ। অনুমান করা হয় মূল সৌর জগতের বাইরে, প্রায় ৫০,০০০ জ্যোতির্বিদ্যার একক দূরত্বে অবস্থিত, এই অঞ্চলে হচ্ছে প্রায় এক ট্রিলিয়ন বা দশ লক্ষ কোটি ধূমকেতুর বসবাস। কোন কোন সময়ে সৌর জগতের কাছাকাছি কোন নক্ষত্র আসলে সেটার মাধ্যাকর্ষণজনিত অভিঘাতে এই ধূমকেতুগুলি সূর্যের দিকে রওনা হয়। সূর্যের কাছাকাছি পৌঁছাতে সেগুলির কয়েক মিলিয়ন বা কয়েক দশক লক্ষ বছর লেগে যায়। এই ধূমকেতুগুলির কক্ষপথ অধিবৃত্ত (প্যারাবলিক) বা পরাবৃত্ত (হাইপারবলিক) আকারের হয়ে থাকে। ওর্ট মেঘ থেকে আগত বেশীরভাগ ধূমকেতুই পুনরায় ফিরে আসে না।
৬৫ নং লাইন:
=== খণ্ড খণ্ড হয়ে যাওয়া ===
[[চিত্র:Kreutz from SOHO.jpg|thumb|left|Solar and Heliospheric Observatory (SOHO) থেকে ১৯৯৬ সালের ২৩ ডিসেম্বরে তোলা এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে একটি ধূমকেতু সূর্যে পড়ে যাচ্ছে। এই ধূমকেতুদের বলা হয় Kreutz দলভুক্ত।|সংযোগ=Special:FilePath/Kreutz_from_SOHO.jpg]]
প্রাচীন ইতিহাসবিদ ইফোরাস প্রথম খ্রি. পূর্ব ৪র্থ শতকে বলেন একটি ধূমকেতু দুইভাগে ভাগ হয়ে গেছিল। বিশাল সেপ্টেম্বর (1882 II) ধূমকেতুর নিউক্লিয়াস সূর্যের খুব কাছে গিয়ে চারটি স্বতন্ত্র নিউক্লিয়াসে ভাগ হয় যা ২৫০০ থেকে ২৯০০ সালের মধ্যে আবার ফিরে আসবে। এছাড়া ১৯৯৫ সালে Comet 73P/Schwassmann-Wachmann 3 ধূমকেতু ভেঙ্গে যেতে শুরু করে। এগুলোকে ক্রেজ সানগ্রেজার পরিবারের ধূমকেতু বলা হয়।
এই ভাঙ্গন সূর্যের খুব কাছ দিয়ে গেলে সৌর জোয়ার বা বড় গ্রহগুলোর মাধ্যাকর্ষণ বলের প্রভাবে হতে পারে।
৭৩ নং লাইন:
কোনও ধূমকেতু সূর্যে সফলভাবে পতিত হতে পারে যেমন হাওয়ার্ড-কূমন-মিশেল (1979 XI) ১৯৭৯ সালের আগস্টের শেষে অথবা গ্রহের সাথে সংঘর্ষ হতে পারে যেমন Shoemaker-Levy ধূমকেতু ১৯৯৪ সালের জুলাইতে খণ্ড খণ্ড হয়ে বৃহস্পতিতে পতিত হয়। লুইস ও ওয়াল্টার আলভারেজের মতে ৬.৫ কোটি বছর আগে কোনও ধূমকেতু বা বৃহৎ কোন উল্কাপাতের ফলে ডাইনোসরসহ অনেক প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যায়। অনেকের ধারণা পৃথিবীর জন্মের পর যথেষ্ট পরিমাণ পানি ধূমকেতু থেকে এসেছিল। ২০১৩ সালের ২৮ নভেম্বর ধূমকেতু ISON অনুসূর দূরত্বে এসে হারিয়ে যায়। ধারণা করে হচ্ছে এটি সূর্যের সম্মুখে এসে ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে গেছে।
[[চিত্র:Lspn comet halley.jpg|thumb
== নামকরণ ==
১২৭ নং লাইন:
== তথ্যসূত্র ==
{{সূত্র তালিকা}}
[[বিষয়শ্রেণী:মহাবিশ্ব]]
|