দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
→‎রাজনীতি: বানান ঠিক করা হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা
Moniah Ferdaus Khan (আলোচনা | অবদান)
→‎সমাজসেবা: তথ্য উপস্থাপন ও সংশোধন।
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৩৫ নং লাইন:
 
== সমাজসেবা ==
তিনি ছাত্র অবস্থা থেকেই সমাজসংস্কারমূলক আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন। ১৮৬৯ খ্রিষ্টাব্দে তিনি [[অবলাবান্ধব]] নামে একটি পত্রিকা প্রকাশ করেন। এই পত্রিকার মাধ্যমে তিনি তিনি সমাজের কুনিয়মের বিরূদ্ধে প্রতিবাদ করে সমাজসংস্কারের চেষ্টা করেন। এই পাত্রিকার মাধ্যমে দ্বারকানাথ প্রধানত আক্রমণ শানান ব্রাহ্মণ ও কুলীনদিগের বহুবিবাহও প্রথার বিরুদ্ধে।<ref name="ReferenceA">ছন্দক সেনগুপ্ত, দ্য রে'স বিফোর সত্যজিৎ (নিউ দিল্লীঃ অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস, ২০১৬), ৩।</ref> ১৮৭০ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ব্রাহ্ম সংস্কারকদের আমন্ত্রনে কলকাতায় আসেন। এবং মেয়েদের শিক্ষা বিস্তার এবং অসহায় মহিলাদের রক্ষাকার্যে আত্মনিয়োগ করেন। ১৮ সেপ্টেম্বর ১৮৭৩ খ্রিষ্টাব্দে [[হিন্দু মহিলা বিদ্যালয়]] স্থাপিত হয়। তিনি এই বিদ্যালয় স্থাপন এবং ছাত্রীনিবাস প্রতিষ্ঠায় প্রধান উদ্যোগী ছিলেন। তিনি এই বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকও ছিলেন। এই বিদ্যালয়টি আড়াই বছর পরে উঠে গেলে ১ জুন ১৮৭৬ খ্রিষ্টাব্দে [[বঙ্গ মহিলা বিদ্যালয়]] প্রতিষ্ঠিত হয়। এই বিদ্যালয়ের সূত্রেই তিনি ছাত্রীদের প্রবেশিকা পরীক্ষা এবং ও মহিলাদের মেডিকেল কলেজে প্রবেশাধিকার বিষয়ের আন্দোলনে প্রধান ভূমিকা গ্রহণ করেন। ১ আগস্ট ১৮৭৮ খ্রিষ্টাব্দে বঙ্গ মহিলা বিদ্যালয় বেথুন স্কুলের সাথে মিশে যায়। তার এইসমস্ত কাজে সহযোগী ছিলেন [[শিবনাথ শাস্ত্রী]], [[দুর্গামোহন দাস]], [[আনন্দমোহন বসু]], [[অন্নদাচরণ খাস্তগীর]] প্রমুখ নেতারা। দ্বারকানাথ ব্রাহ্ম বালিকা বিদ্যালয়কে অনেক অর্থ সাহায্য করেছিলেন। <ref name=ss/> তৎকালীন সমাজে মহিলাদের প্রাথমিক পর্যায়ের ঊর্ধ্বে বিদ্যাচর্চার প্রচলন সেভাবে ছিলছিলো না। দ্বারকানাথ এই মনোভাবের তীব্রতর বিরুদ্ধাচরণ করেন। নিজের ছাত্রীদের তিনি সর্বদা উচ্চশিক্ষায় উদ্বুদ্ধ করতেন। ফলস্বরূপ তারতাঁর ছাত্রী, ও পরবর্তীপরবর্তীকালে কালে তারতাঁর বিবাহিতা স্ত্রী, [[কাদম্বিনী বসু গঙ্গোপাধ্যায়]] কলিকাতাকোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে, ১৮৮৩ খ্রিষ্টাব্দে স্নাতক উপাধি লাভঅর্জন করেন। মহিলাদের মধ্যে ইনই সম্ভবত ছিলেন কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম স্নাতক। বিবাহের সময় দ্বারকানাথ ছিলেন কাদম্বিনীর চেয়ে প্রায় ২০ বছরের অগ্রজ। <ref name="ReferenceA"/> তা ছাড়া দ্বারকানাথ ছিলেন বিপত্নীক, এবং ২ সন্তানের পিতা। বলা বাহুল্য তৎকালীন রক্ষণশীল সমাজে তাদের এহ্যান পদক্ষেপ সহজে গৃহীত হয়নি। গোঁড়া হিন্দু ছাড়াও তথাকথিত আধুনিক ব্রাহ্মদের মধ্যে অনেকেই এ'বিবাহ মেনে নিতে পারেনি। পরবর্তীকালে ইতিহাসবিদ'দের মধ্যে অনেকেই যদিও এ'বিবাহকে আদর্শ বলে আখ্যায়িত করেছেন। তার অন্যতম কারণ দ্বারকানাথ আগাগোড়া ছিলেন কাদম্বিনীর বিদ্যাচর্চার অন্যতম সমর্থক। এমনকি উচ্চশিক্ষা সুত্রে কাদম্বিনীর বিলেত যাত্রার ক্ষেত্রে দ্বারকানাথের সম্পূর্ণ সহযোগিতা ছিল।
 
কলকাতায় তিনি ব্রাহ্মনেতা [[কেশবচন্দ্র সেন|কেশবচন্দ্র সেনের]] দলে ছিলেন। কিন্তু যখন কেশবচন্দ্র সেন নিজের মেয়ে সুনীতির তাদের ধর্মের নিয়ম না মেনে কুচবিহার রাজবাড়িতে অল্প বয়সে বিবাহ দেন তখন দ্বারকানাথ [[সমালোচক (পত্রিকা)|সমালোচক]] পত্রিকার সম্পাদক হিসাবে তার তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। এই ঘটনার ফলে কিছু ব্রাহ্মনেতা আলাদা হয়ে গিয়ে [[সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ]] গঠন করেছিলেন। দ্বারকানাথ ছিলেন সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠার একজন অগ্রণী ব্যক্তি। তিনি মেয়েদের উন্নতির জন্য অনেক কাজ করেছিলেন বলে তাকে ''অবলাবান্ধব'' বলা হত। <ref name=ss/>