লাদাখ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
সম্পাদনা সারাংশ নেই ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা |
||
১৭ নং লাইন:
| image_caption = ''Clockwise from top'': [[Rangdum|Rangdum village]], [[Tso Moriri]], [[Leh|Leh city]] , লাদাখে অবস্থিত তাংলাং গিরিবর্ত্ম and [[Likir Monastery]]
| map_caption = কাশ্মীরের মানচিত্রে লাল রঙ দ্বারা চিহ্নিত লাদাখ অঞ্চল{{Ref_label|A|α|none}}
| seat_type = রাজধানী
| seat = [[লেহ]],<ref>{{Cite web | url=https://kashmirobserver.net/2019/10/17/ladakh-gets-civil-secretariat/ | title=Ladakh Gets Civil Secretariat| date=17 October 2019}}</ref> [[কার্গিল]]<ref>{{Cite web|url=https://www.dailyexcelsior.com/lg-ut-hqrs-head-of-police-to-have-sectts-at-both-leh-kargil-mathur/|title=LG, UT Hqrs, Head of Police to have Sectts at both Leh, Kargil: Mathur|first=Daily|last=Excelsior|date=12 November 2019|accessdate=17 December 2019}}</ref>
| latd = 34.14
| longd = 77.55
৪১ ⟶ ৪৩ নং লাইন:
}}
'''লাদাখ''' বা লা-দ্বাগস (তিব্বতি: ལ་དྭགས, ওয়াইলি: la dwags) ভারতের একটি [[কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল|কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল]], এই অঞ্চলের উত্তরে [[কুয়েনলুন পর্বতমালা|কুনলুন পর্বতশ্রেণী]] এবং দক্ষিণে [[হিমালয় পর্বতমালা|হিমালয়]] দ্বারা
== ইতিহাস ==
৪৭ ⟶ ৪৯ নং লাইন:
[[চিত্র:The Empire of King Nyimagon with three divisions about 975 A. D.- 1000 A.D..jpg|thumb|১০০০ খ্রিষ্টাব্দে রাজা ন্যিমা-গোনের আমলে লাদাখ রাজ্যে বিস্তার]]
লাদাখের বিভিন্ন অংশে প্রাপ্ত খোদিত প্রস্তরখন্ড থেকে জানা যায় যে [[নব্য প্রস্তর যুগ|নব্য প্রস্তর যুগেও]] এই অঞ্চলে মানুষের বসবাস ছিল।<ref name=LoramCharlie>{{বই উদ্ধৃতি | শেষাংশ=Loram | প্রথমাংশ=Charlie | প্রকৃত-বছর=2000 | বছর=2004 | শিরোনাম=Trekking in Ladakh | সংস্করণ=2nd Edition | প্রকাশক=Trailblazer Publications }}</ref> [[হিরোডোটাস]], [[নিয়ার্কোস]], [[মেগাস্থিনিস]], [[প্লিনি]], [[টলেমি]] ও [[পুরাণ|পুরাণের]] <ref name =Luciano>{{বই উদ্ধৃতি | শেষাংশ=Petech | প্রথমাংশ=Luciano | বছর=1977 | শিরোনাম=The Kingdom of Ladakh c. 950–1842 A.D. | প্রকাশক=Istituto Italiano per il media ed Estremo Oriente }}</ref> বিবরণ থেকে জানা যায় এই অঞ্চলের প্রথমদিককার অধিবাসীদের মধ্যে মিশ্র ইন্দো-আর্য [[মোন]] ও [[দর্দ]] জাতির মানুষ ছিলেন <ref name =Ray>{{বই উদ্ধৃতি | শেষাংশ=Ray | প্রথমাংশ=John | বছর=2005 | শিরোনাম=Ladakhi Histories — Local and Regional Perspectives | প্রকাশক=Koninklijke Brill NV |অবস্থান=[[Leiden]], [[Netherlands]]}}</ref> প্রথম শতাব্দীর সময়কালে লাদাখ [[কুষাণ সাম্রাজ্য|কুষাণ সাম্রাজ্যের]] অন্তর্ভুক্ত ছিল। পশিম [[তিব্বত]] ও পূর্ব লাদাখে [[
অষ্টম শতাব্দীতে লাদাখে পশ্চিম দিক থেকে [[তিব্বত|তিব্বতের]] ও মধ্য এশিয়া থেকে চীনের আধিপত্য বিস্তার শুরু হয়। ৮৪২ খ্রিষ্টাব্দে [[তিব্বত সাম্রাজ্য|তিব্বত সাম্রাজ্যের]] পতন হলে অন্তিম [[তিব্বত সাম্রাজ্য|তিব্বত সম্রাট]] [[গ্লাং-দার-মা]]র পৌত্র স্ক্যিদ-ল্দে-ন্যিমা-গোন লাদাখকে নিজের রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করেন এবং লাদাখি রাজবংশের সুত্রপাত করেন। এই সময় সমগ্র লাদাখে [[বৌদ্ধ ধর্ম|বৌদ্ধ ধর্মের]] প্রসার হয় এবং লাদাখে তিব্বতীদের বসবাস শুরু হয়। সপ্তদশ শতাব্দীতে সম্পাদিত ''লা-দ্ভাগ্স-র্গ্যাল-রাব্স'' বা লাদাখের রাজাদের ধারাবিবরণীতে বলা হয় যে রাজা স্ক্যিদ-ল্দে-ন্যিমা-গোন তার তিন পুত্রের মধ্য তার সাম্রাজ্য ভাগ করে দেন। এই বিবরণীতে বলা হয় তিনি তার তার জ্যৈষ্ঠ পুত্র দ্পাল-গ্যি-ঙ্গোনকে মার্যুল, হ্গোগের স্বর্ন খনি, রু-থোগ, ল্দে-ম্চোগ-দ্কার-পো ও রা-বা-দ্মার-পো প্রদান করেন। এই বিবরণী থেকে বোঝা যায় যে, রু-থোগ বা [[রুদোক]] এবং ল্দে-ম্চোগ-দ্কার-পো বা দেমচোক মার্যুল বা লাদাখের অংশ ছিল।{{#tag:ref|''He gave to each of his sons a separate kingdom, viz., to the eldest Dpal-gyi-ngon, Maryul of Mnah-ris, the inhabitants using black bows; ru-thogs of the east and the Gold-mine of Hgog; nearer this way Lde-mchog-dkar-po; at the frontier ra-ba-dmar-po; Wam-le, to the top of the pass of the Yi-mig rock ...''<ref>Francke, A. H. (1914), 1920, 1926. ''Antiquities of Indian Tibet. Vol. 1: Personal Narrative; Vol. 2: The Chronicles of Ladak and Minor Chronicles, texts and translations, with Notes and Maps''. Reprint: 1972. S. Chand & Co., New Delhi. ([http://books.google.de/books?id=WG4J4IKd014C&dq=Antiquities+of+indian+Tibet&printsec=frontcover&source=bl&ots=BiuhhHjBgj&sig=qXScEP1IS27HYdwHmZR_IRea1dE&hl=de&sa=X&oi=book_result&resnum=5&ct=result Google Books])</ref>|group=n}}
ত্রয়োদশ শতাব্দীতে ভারতে ইসলামি বিপ্লবের সময় থেকে লাদাখ তিব্বতের কাছ থেকে ধর্মীয় পথপ্রদর্শনের সহায়তা নিতে থাকে। ষোড়শ শতাব্দী পর্যন্ত পার্শ্ববর্তী মুসলিম রাজ্যগুলি বহুবার লাদাখ আক্রমণ করলে কিছু লাদাখি [[নূরবকশিয়া ইসলাম]] ধর্মগ্রহণ করেন।
রাজা ল্হাচেন ভগন ১৪৭০ খ্রিষ্টাব্দে [[
১৫৯৪ খ্রিষ্টাব্দে বালটি রাজা [[আলি শের খান আনচান]] লাদাখ আক্রমণ করলে লাদাখের রাজা শান্তির প্রার্থনা করেন। এতে আলি শের খান লাদাখের কাছ থেকে [[গানোখ]] ও গাগ্রা নুল্লাহ অঞ্চল দুটি [[স্কার্দু]]র অধীনে নিয়ে আসেন এবং লাদাখের রাজার কাছ থেকে বার্ষিক কর প্রদানের প্রতিশ্রুতি আদায় করেন। লাদাখের রাজা [[লামায়ুরু বৌদ্ধবিহার|লামায়ুরু বৌদ্ধবিহারের]] মাধ্যমে স্কার্দুর রাজদরবারে এই কর পদান করতেন। <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=The great empire of Maqpon |ইউআরএল=http://www.mybaltistan.com/History/History%20of%20Emporor/Maqpon/English/011.htm}}</ref>
সপ্তদশ শতাব্দীর শেষ ভাগে [[তিব্বত|তিব্বতের]] সাথে [[ভূটান|ভূটানের]] দ্বন্দ্ব শুরু হলে লাদাখ [[ভূটান|ভূটানের]] পক্ষ নেয়। এর ফলে [[তিব্বত]] লাদাখ আক্রমণ করলে ১৬৭৯ থেকে ১৬৮৪ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত তিব্বত-লাদাখ-মুঘল যুদ্ধ হয়। <ref>Halkias, T. Georgios(2009) "Until the Feathers of the Winged Black Raven Turn White: Sources for the Tibet-Bashahr Treaty of 1679-1684," in ''Mountains, Monasteries and Mosques'', ed. John Bray. Supplement to Rivista Orientali, pp. 59-79</ref><ref>Emmer, Gerhard(2007) "Dga' ldan tshe dbang dpal bzang po and the Tibet-Ladakh-Mughal War of 1679-84," in ''The Mongolia-Tibet Interface. Opening new Research Terrains in Inner Asia'', eds. Uradyn Bulag, Hildegard Diemberger, Leiden, Brill, pp. 81-107</ref><ref>Ahmad, Zahiruddin (1968) "New Light on the Tibet-Ladakh-Mughal War of 1679-84." ''East and West'', XVIII, 3, pp. 340-361</ref><ref>Petech, Luciano(1947) "The Tibet-Ladakhi Moghul War of 1681-83." ''The Indian Historical Quarterly'', XXIII, 3, pp. 169-199.</ref> এই যুদ্ধে [[কাশ্মীর]] লাদাখকে সহায়তার বিনিময়ে [[লেহ]] শহরে মসজিদ নির্মাণ ও লাদাখের রাজা দেলদান নামগ্যালকে [[ইসলাম]] ধর্মগ্রহণের শর্ত রাখে। <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=See ''Islam-Tibet, Cultural Interactions (8th-17th centuries)'' |ইউআরএল=http://warburg.sas.ac.uk/islamtibet/indexit.htm |সংগ্রহের-তারিখ=২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20061205222504/http://warburg.sas.ac.uk/islamtibet/indexit.htm |আর্কাইভের-তারিখ=৫ ডিসেম্বর ২০০৬ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref> ১৬৮৪ খ্রিষ্টাব্দে টিংমোসগাংয়ের চুক্তিতে লাদাখ ও [[তিব্বত|তিব্বতের]] মধ্যে দ্বন্দ্বের অবসান হলেও লাদাখের স্বাধীনতা এতে অনেকাংশে খর্ব হয়। ১৮৩৪ খ্রিষ্টাব্দে [[ডোগরি ভাষা|ডোগরা]] সেনাপতি [[জোরাওয়ার সিং কাহলুরিয়া]] লাদাখ আক্রমণ করে কাশ্মীরের অন্তর্ভুক্ত করেন। ১৮৫০ খ্রিষ্টাব্দে লাদাখে ইউরোপীয়দের আনাগোনা শুরু হয়। ১৮৮৫ খ্রিষ্টাব্দে খ্রিষ্টধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে লেহ শহরে দপ্তর খোলা হয়।
১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে ভারত স্বাধীন হলে কাশ্মীরের ডোগরা শাসক [[হরি সিং]] [[অন্তর্ভুক্তি চুক্তি (জম্মু ও কাশ্মীর)|অন্তর্ভুক্তি চুক্তিতে]] সই করে কাশ্মীর রাজ্যকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করেন। এই সময় [[পাকিস্তান সেনাবাহিনী|পাকিস্তানী সেনাবাহিনী]] লাদাখ ও কাশ্মীরের অন্যান্য অংশ দখল করে নিলে [[ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ১৯৪৭|ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের]] মাধ্যমে এই এলাকা পাকিস্তানী দখলমুক্ত হয়। <ref name = "Madras_Sappers">Menon, P.M> & Proudfoot, C.L., ''The [[Madras Sappers]], 1947-1980'', 1989, Thomson Press, Faridabad, India.</ref>
১৯৪৯ খ্রিষ্টাব্দে চীন [[জিনজিয়াং]] ও [[নুব্রা উপত্যকা]]র মধ্যে সীমান্ত বন্ধ করে দেয়। ১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দে চীন জিনজিয়াং ও তিব্বতের মধ্যে সড়ক ও পাকিস্তানের সঙ্গে [[কারাকোরাম মহাসড়ক]] নির্মাণ করে। [[ভারত]] [[শ্রীনগর]] থেকে [[লেহ]] পর্যন্ত [[১ডি নং জাতীয় সড়ক (ভারত)|১ডি নং জাতীয় সড়ক]] তৈরী করে। <ref name="LoramCharlie"/><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি| ইউআরএল= http://articles.timesofindia.indiatimes.com/2012-07-16/india/32697465_1_main-tunnel-tunnel-construction-z-morh| শিরোনাম= Government may clear all weather tunnel to Leh today| তারিখ= 16 July 2012}}</ref>
৬৭ ⟶ ৬৯ নং লাইন:
! জেলার নাম !! সদরদপ্তর !! আয়তন (km²) !! জনসংখ্যা <br> ২০০১ জনগণনা !! জনসংখ্যা <br> ২০১১ জনগণনা
|-
| [[কার্গিল জেলা]] || [[
|-
| [[লেহ জেলা]] || [[লেহ]] || {{formatnum: 45110}} || {{formatnum: 117232}} || {{formatnum: 147104}}
৯৫ ⟶ ৯৭ নং লাইন:
[[চিত্র:Yaks in ladakh.JPG|right|thumb|[[চমরী গাই]], লাদাখ]]
লাদাখের বন্যপ্রাণী ও উদ্ভিদ নিয়ে সর্বপ্রথম গবেষণা করেন [[অস্ট্রিয়া|অস্ট্রীয়]]-[[চেক প্রজাতন্ত্র|চেক]] জীবাশ্মবিজ্ঞানী ফার্ডিনান্ড স্টোলিস্কা। ১৮৭০ সালের দিকে তিনি এ অঞ্চলে এক বিশাল অভিযান পরিচালনা করেন।এ অঞ্চলের পাহাড়ি ঝিরিসংলগ্ন ভূমি, জলাভূমি, হ্রদ ও আবাদি জমি ছাড়া অন্য কোথাও গাছপালা খুব একটা দেখা যায় না।
<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি | শেষাংশ =| প্রথমাংশ =| লেখক-সংযোগ = | coauthors = | ইউআরএল = http://www.india-travel-agents.com/ladakh/ladakh-tourism/fauna-ladakh.html| শিরোনাম = Flora and fauna of Ladakh| কর্ম = | প্রকাশক = India Travel Agents | সংগ্রহের-তারিখ = 2006-08-21}}</ref> তবে এখন পর্যন্ত ১২৫০ প্রজাতির উদ্ভিদ লিপি বদ্ধ করা হয়েছে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=|শিরোনাম=A field guide to the flora of Ladakh|শেষাংশ=Dvorský, Miroslav, 1957-|প্রথমাংশ=|বছর=|প্রকাশক=|অবস্থান=Praha|পাতাসমূহ=|অন্যান্য=Klimeš, Leoš, 1960-2007,, Doležal, Jiří, 1975-|আইএসবিএন=978-80-200-2826-6|oclc=1038797341|সংস্করণ=First edition}}</ref>
লাদাখের সাথে [[মধ্য এশিয়া|মধ্য এশিয়ার]] বন্যপ্রাণীদের মধ্যে অদ্ভুত মিল লক্ষ্য করা যায়। বিশেষ করে [[তিব্বত|তিব্বতী]] মালভূমিতে যে সমস্ত বন্যপ্রাণী দেখতে পাওয়া যায়, তাদের অধিকাংশই লাদাখের উপত্যকাগুলোতে দেখা যায়।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.journals.cambridge.org/abstract_S0030605308000768|শিরোনাম=Distributional correlates of the Tibetan gazelle Procapra picticaudata in Ladakh, northern India: towards a recovery programme|শেষাংশ=Namgail|প্রথমাংশ=Tsewang|শেষাংশ২=Bagchi|প্রথমাংশ২=Sumanta|শেষাংশ৩=Mishra|প্রথমাংশ৩=Charudutt|শেষাংশ৪=Bhatnagar|প্রথমাংশ৪=Yash Veer|তারিখ=২০০৮|সাময়িকী=Oryx|খণ্ড=42|সংখ্যা নং=01|ভাষা=en|doi=10.1017/S0030605308000768|issn=0030-6053|সংগ্রহের-তারিখ=}}</ref> তবে কয়েক প্রজাতির পাখি এখানে দেখা যায় যেগুলো আবার তিব্বতী মালভূমি বা মধ্য এশিয়ার কোনখানেই দেখা যায় না। এসব পাখি শীতের পরে [[ভারত|ভারতের]] উষ্ণতর অঞ্চলগুলো থেকে এখানে [[পাখি পরিযান|পরিযান]] করে আসে। রুক্ষ অঞ্চল হলেও লাদাখে বসবাসকারী পাখি প্রজাতির সংখ্যা অনেক বেশি; এ পর্যন্ত মোট ২২৫ প্রজাতির পাখি এখান থেকে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। গ্রীষ্মকালীন পাখিদের মধ্যে বিভিন্ন প্রজাতির [[তুতি]], রবিন, লালগির্দি (যেমন কালো লালগির্দি) আর [[মোহনচূড়া]] এখানে সচরাচর দেখা যায়। এছাড়া এ সময় চুংথাং অঞ্চলের হ্রদগুলোতে আর [[সিন্ধু নদ|সিন্ধু নদে]] প্রায়ই [[খয়রামাথা গাঙচিল|খয়রামাথা গাঙচিলকে]] বিচরণ করতে দেখা যায়। আবাসিক পাখির মধ্যে রয়েছে [[চখাচখি|খয়েরি চখাচখি]] ও [[দাগি রাজহাঁস]] ([[Ladakhi|লাদাখি]]: ''ngangpa'')। তিব্বতী মালভূমির বিরল [[কালোঘাড় সারস|কালোঘাড় সারসকে]] (''trhung-trhung'') গ্রীষ্মকালে লাদাখের বেশ কিছু অংশে প্রজনন করতে দেখা যায়। অন্যান্য পাখির মধ্যে র্যাভেন, [[তিব্বতী তুষারমোরগ]] ও [[চুকার বাতাই]] (''srakpa'') প্রধান।<ref>Namgail, T. (2005). Winter birds of the Gya-Miru Wildlife Sanctuary, Ladakh, Jammu and Kashmir, India. Indian Birds, 1: 26-28.</ref> শিকারী পাখির মধ্যে [[গৃধিনী]] ও [[সোনালি ঈগল]], এই দু'টি প্রজতি সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।
[[চিত্র:Black-necked Crane Tso Kar Ladakh Jammu and Kashmir India Asia 12.08.2013.png|thumb|left|প্রতিবছর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক [[কালোঘাড় সারস]] লাদাখে আসে প্রজননের উদ্দেশ্যে; ছবিটি সো কার, লাদাখ থেকে তোলা]]
|