ব্যবহারকারী:Ahm masum/খেলাঘর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা |
সম্পাদনা সারাংশ নেই ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা |
||
১ নং লাইন:
মূল [[দেওবন্দি|দেওবন্দী আন্দোলনের]] আত্নশুদ্ধী বিষয়টিকে বেশী গুরুত্ব দিয়ে আত্নপ্রকাশ করেছিল তাবলীগ জামাত। <ref name="Ballard 1994 64">{{harvnb|Ballard|1994|p=64}}</ref>
প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ ইলিয়াস এমন একটি সংঘবদ্ধ আন্দোলনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছিলেন যার মাধ্যমে কুরআনে নির্দেশিত<ref name="Quran">{{cite quran|3|104 |s=ns}}</ref><ref name=p65/> সঠিক কাজ ও নিষেধ কে বাস্তবায়ন করার একটি দল তৈরী হবে ঠিক যেমনটি বাস্তবায়নের স্বপ্ন তার শিক্ষক দেওবন্দের রশিদ আহমেদ গাঙ্গোহী ব্যক্ত
<দেওবন্দ আন্দোলন: ইতিহাস ঐতিহ্য অবদান▼
লেখক: আবুল ফাতাহ মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া▼
প্রকাশনী:আল-আমিন রিসার্চ একাডেমী, বাংলাদেশ >▼
▲প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ ইলিয়াস এমন একটি সংঘবদ্ধ আন্দোলনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছিলেন যার মাধ্যমে কুরআনে নির্দেশিত সঠিক কাজ ও নিষেধ কে বাস্তবায়ন করার একটি দল তৈরী হবে ঠিক যেমনটি বাস্তবায়নের স্বপ্ন তার শিক্ষক দেওবন্দের রশিদ আহমেদ গাঙ্গোহী ব্যক্ত করেছিলেন। ১৯২৬ সালে মক্কায় তার দ্বিতীয় তীর্থযাত্রাতে (হজ্জ্ব) তিনি এই আন্দোলন বাস্তবায়নের মূল অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন ৷ প্রতিষ্ঠার সময় তিনি তার পান্ডিত্য, বক্তব্য দক্ষতা বিষয়সমূহ নিয়ে নিজের মধ্যে অনেক সীমাবদ্ধতা অনুধাবন করেছিলেন তবে আন্দোলন বাস্তবায়নে দৃঢপ্রতিজ্ঞ ছিলেন। শুরুতে তিনি একগুচ্ছ মসজিদ-ভিত্তিক ইসলামি পাঠশালা-বয়স্কশিক্ষা বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছিলেন যাতে সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের মুখোমুখি মেওয়াত অঞ্চলের অশিক্ষিত দরিদ্র মুসলিমদেরকে সঠিক আকিদা ও ধর্মচর্চার শিক্ষা দিতে পারেন৷ তবে কিছুকাল পর তিনি অনুধাবণ করেন যে এ পদ্ধতিতে বেশকিছু নতুন ইসলামি পন্ডিত তৈরী হলেও কোন ধর্মপ্রচারক তৈরী হচ্ছে না।
এই ধর্মপ্রচার আন্দোলন শুরু করার জন্য ইলিয়াস মাদ্রাসা মাজহারুল উলুমে তার শিক্ষকতার চাকরীটি ছেড়ে দেন যাতে মুসলিমদের আত্নশুদ্ধির কার্যক্রমে নিজেকে পুরোপুরি আত্ননিয়োগ করতে পারেন। অতঃপর তিনি দিল্লির নিজামুদ্দিন এলাকাতে চলে আসেন এবং ১৯২৬ বা ১৯২৭ সালে আন্দোলনটি শুরু করেন। ইসলামের প্রাথমিক যুগে মুহাম্মদ যে কর্মপদ্ধতী অনুসরণ করেছিলেন, আন্দোলনের নীতিনির্ধারণ করার সময় ইলিয়াস তা থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন। যে স্লোগানটিকে সামনে রেখে তিনি আন্দোলন শুরু করেছিলেন; (উর্দু ভাষায়) "!اﮮ مسلمانو مسلمان بنو", তার অর্থ হল, "হে মুসলমান, [সত্যিকারের] মুসলমান হও!" যা প্রকৃতপক্ষে তাবলীগ জামাত আন্দোলনের মূল লক্ষ্যকে প্রকাশ করে। আর, পুনঃজাগরণ ঘটিয়ে সর্বোক্ষেত্রে মুহাম্মাদের জীবনপদ্ধতীকে দৃঢভাবে অনুসরণ করে সমগ্র মুসলিম সমাজকে একত্রিত করাই তাদের মূল উদ্দেশ্য, বলে তারা দাবী করেন।
১৪ ⟶ ১০ নং লাইন:
উৎপত্তিস্থান দিল্লির মেওয়াত অঞ্চলটিতে, মেও নৃগোষ্ঠীর কৃষিসংশ্লিষ্ট দরিদ্র জনগন বসবাস করতেন যারা রাজপুত জাতীগোষ্ঠীর অর্ন্তভুক্ত। ভারতে ইসলামপ্রচার শুরু হওয়ার পর এবং মুঘল আমলে তারা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন তবে পরবর্তীতে রাষ্ট্রের রাজনৈতিক পালাবদল ঘটার সময়কালে অনেকেই পুনরায় সনাতন ধর্মাবলম্বন ও সংখ্যাগরিষ্ঠ সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের মুখে পড়েন। রজার ব্যলার্ড এর মতানুসারে, তৎকালীন সময়ে বাঁকী মেও জনগোষ্ঠীর পক্ষেও তাদের জনজীবনে এই সাংস্কৃতিক আগ্রাসন রোধ করা সম্ভব হতনা যদিনা তাবলীগ জামাত আন্দোলনের উত্থান ঘটতো।
▲<দেওবন্দ আন্দোলন: ইতিহাস ঐতিহ্য অবদান
▲লেখক: আবুল ফাতাহ মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া
▲প্রকাশনী:আল-আমিন রিসার্চ একাডেমী, বাংলাদেশ >
|