ইয়ং বেঙ্গল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
→প্রতিক্রিয়া: বানান ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
|||
৪০ নং লাইন:
[[হিন্দু ধর্মের]] উপর আক্রমণের পাশাপাশি ইয়ং বেঙ্গল [[ঔপনিবেশিক সরকার]] সূচিত পাশ্চাত্যকরণ প্রক্রিয়াকেও জোরালোভাবে সমর্থন করে। ইয়ং বেঙ্গল আন্দোলনকে উনিশ শতকে [[বাংলার নবজাগরণের]] সর্বাপেক্ষা বিতর্কিত অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। নিন্দা ও প্রশংসা দুই-ই ইয়ং বেঙ্গল-এর সদস্যরা পেয়েছিলেন। এদেশে [[পাশ্চাত্য চিকিৎসা শাস্ত্রের]] প্রচলনের পেছনে যে উদ্যোগ কাজ করে তাতে ইয়ং বেঙ্গল সরাসরি জড়িত ছিল। এ প্রয়াস থেকেই ১৮৩৫ সালে [[কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ]] প্রতিষ্ঠিত হয়। ইয়ং বেঙ্গল শবব্যবচ্ছেদ বিষয়ে প্রচলিত সংস্কার ভেঙে ফেলার জন্য মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রদের উৎসাহিত করে। কোনো কোনো পণ্ডিতের মতে ইয়ং বেঙ্গল-এর বিদ্রোহীরাই [[বাংলার নবজাগরণের]] অগ্রদূত। এ জাগরণে ইয়ং বেঙ্গল-এর অবদান সংশয়াতীত। ইয়ং বেঙ্গল ইংরেজিকে অফিস-আদালতের ভাষা হিসেবে প্রবর্তনের সমর্থক ছিল। কলকাতায় কতিপয় গণপাঠাগার স্থাপনের বিষয়টিকে তারা স্বাগত জানায়।
পাশ্চাত্যের প্রতি অন্ধ আনুগত্যই ছিল ইয়ং বেঙ্গল-এর সবচেয়ে বড় দুর্বলতা। প্রাচ্য জীবনচর্চাকে তারা কুসংস্কারাচ্ছন্ন মনে করত। এ বিশ্বাস থেকে তারা পাশ্চাত্য রীতি-নীতি অভ্যাসকে বিনা প্রশ্নে গ্রহণ করে, যদিও এ-ক্ষেত্রে তারা সর্বাংশে সফল হতে পারে নি। সবচেয়ে বড় কথা, পাশ্চাত্য প্রীতির ফলে তারা এদেশের সাধারণ মানুষের চোখে, সর্বোপরি তাদের অভিভাবকদের চোখে ঘৃণার পাত্র হয়ে পড়ে।
[[মুক্তচিন্তা]] ও নৈব্যক্তিক জিজ্ঞাসার তাৎপর্য
== তথ্যসূত্র ==
|